সিদ্ধিরগঞ্জে স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষক ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী পালন করেছেন মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সংগ্রামী সভাপতি এডভোকেট রাকিবুর রহমান সাগর।

স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষক ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার সাবেক সংগ্রামী সভাপতি এডভোকেট রাকিবুর রহমান সাগরের উদ্যোগে সোমবার (২০ জানুয়ারি) সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী নগর কবরস্থান কমপ্লক্সে মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও মাদ্রাসার এতিম ছাত্রদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরন করা হয়েছে। 

এ সময় এডভোকেট রাকিবুর রহমান সাগর বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও কর্মকাণ্ডকে যদি আমরা বুকে ধারণ এবং লালন করতে পারি তাহলে জিয়াউর রহমান এদেশের মানুষের মনের ভিতরে যে স্থান করে নিয়েছে এটাকে আমরা আরো ত্বরান্বিত করতে পারব।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্ম না হলেও এবং সাহসিকতার কর্মকান্ড না ঘটলে আজকে বাংলাদেশ পৃথিবীর মানচিত্রে বুকে একটি আলাদা রাষ্ট্র হিসাবে স্থান করে নিতে পারতো না বলে আমার মনে হয়। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এদেশের মানুষের মনের ভিতরে স্থান করে নিয়েছেন কিভাবে অনেকগুলো কারণ রয়েছে।

জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে সততার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে নিজেকে তার কর্মকাণ্ড দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। বাংলাদেশে অবৈধ সরকার ছিল। স্বৈরাচারী শাসক সরকার ছিল। তারা কখনো শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সততাকে নিয়ে একটি প্রশ্ন তুলতে পারেনি।

বাংলাদেশে যে কলুষিত হওয়ার রাজনীতি কারণ হলো মানুষ সৎ রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাওয়ার কারণেই। আমরা যদি যার যার স্থান থেকে সততা ও আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করতে পারি তাহলে বাংলাদেশের মানুষ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মতন প্রত্যেকটা নেতাকে তাদের বুকে টেনে নিবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ নাদিম মাহামুদ, সিফাতুর রহমান রাজু,মুক্তাদির হোসেন হৃদয়, মোঃ কামাল, মোঃ বাবু, মোঃ মুন্না, নবির হোসেন, মোঃ মানিক, মোঃ কাদির,মোঃ রাসেল  সাবেক যুগ্ন সম্পাদক, মুহাম্মদ আলী,মোঃ হাবিব,
সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক, মোঃ সালাউদ্দিন,  সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক, মোঃ মোহন  সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন, আরাফাত খালেক, সাবেক সহ প্রচার সম্পাদক মোঃ মিরাজ সাবেক সদস্য মোঃ ফয়সাল, রাজীব,আকতার, সাজ্জাদ, বিপ্লব, আশিক, ইব্রাহিম, সোহেল, ইকবাল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন সহ বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আগত নেতাকর্মীরা।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ছ ত র দল স দ ধ রগঞ জ র রহম ন র ছ ত রদল র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

১০ দিন ছুটির পরও কর্মস্থলে অনুপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারী

রোববার সকাল ১০টা ৩২ মিনিট। ঈদুল আজহার দীর্ঘ ছুটি শেষে প্রথম কর্মদিবসে এমন সময়ে সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাভাবিক কাজে ব্যস্ত থাকার কথা। কিন্তু কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দপ্তরে গিয়ে দেখা গেল, তাঁর কক্ষে ঝুলছে তালা। দপ্তরের অফিস সহকারী-কাম কম্পিউটার অপারেটর বজলুর রুশিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপনি যেখানে নিজে উপস্থিত আছেন, দেখতে পাচ্ছেন। আমার বক্তব্য দেওয়ার কী আছে?’
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে গিয়ে পাওয়া যায় একই চিত্র। নির্বাহী প্রকৌশলী বসেননি তাঁর চেয়ারে। সেখানে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী এলেও তারা ‘স্যারদের’ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে নারাজ। নির্বাহী প্রকৌশলীর মোবাইল ফোনে কল করলেও তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। কুড়িগ্রামে ঈদুল আজহার ১০ দিন ছুটি শেষে এভাবে সময়মতো উপস্থিত হননি বিভিন্ন দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
কোনো কোনো দপ্তরে দুই-চারজন কর্মচারী উপস্থিত হলেও অনেক সরকারি দপ্তর ছিল ফাঁকা। পাওয়া যায়নি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। রোববার জেলা শহরের সরকারি দপ্তর ঘুরে পাওয়া গেছে এমন চিত্র। জেলার গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতি বিষয়ে সচেতন নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক আহসান হাবীব নীলু বলেন, এই প্রথম দীর্ঘ ছুটি পেয়েছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তার পরও প্রথম দিনে তাদের অনুপস্থিতি নতুন বাংলাদেশ নির্মাণে অযোগ্যতার শামিল।
১০টা ৩০ মিনিটে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরে গিয়ে দেখা যায়, তালা ঝুলছে। প্রকৌশল কক্ষে ততক্ষণে উপস্থিত হননি একজনও। দুই-একজন কর্মচারীর দেখা মিললেও তারা খোশগল্পে মেতে ছিলেন। এর পর গন্তব্য মৎস্য কর্মকর্তার দপ্তর। ঘড়ির কাঁটায় তখন ১০টা ৩৮ মিনিট। সেখানেও কক্ষে তালা ঝুলতে দেখা যায়। 
সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠে প্রথমে সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরে ১০টা ৪২ মিনিটে গিয়ে দেখা যায়, কক্ষে ঝুলছে তালা। যখন বেলা ১১টা ২০ মিনিট, গণপূর্ত অধিদপ্তরে ঢুকতেই পাওয়া গেল সুনসান নীরবতা। এসও, এসডির কক্ষ ছিল তালাবদ্ধ। গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে গিয়ে কথা বললে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল ফারুক বলেন, ‘এসওরা সম্ভবত সাইটে থাকতে পারেন। খোঁজ নিলে সঠিক তথ্য জানা যাবে।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসে গেলে ভারপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ হামিদুল হককে পাওয়া যায়। কিন্তু অন্য কর্মচারীরা ছিলেন অনুপস্থিত। এ বিষয়ে হামিদুল হক বলেন, ‘আমি হিসাবরক্ষক ইউসুফকে একটু বাইরে পাঠিয়েছি। অন্যরা আসছেন।’ উপজেলা সমাজসেবা দপ্তরে ১০টা ৪৪ মিনিটে গিয়ে দেখা যায় একই অবস্থা। দপ্তরে সাংবাদিক পরিচয় দিলে কয়েক কর্মচারী তড়িঘড়ি করে নিজের আসনে বসেন। কেউ বলেন, ‘স্যার ছুটিতে আছেন’। আবার কেউ বলেন, ‘স্যার সরকারি শিশু পরিবারে গেছেন, একটু পরে আসবেন।’ পরে সমাজসেবা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানের মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি বলেন, ‘জেলা অফিসে আছি’।
কুড়িগ্রাম উন্নয়ন ফোরামের আহ্বায়ক খ ম আতাউর রহমান বিপ্লব বলেন, দেশ পরিবর্তনের আওয়াজ উঠেছে। কিন্তু বিগত সময়ে যারা আয়েশ-আমেজ করে লুটপাট করেছেন, তারা এখনও বহাল। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে নতুন রাষ্ট্রের দাবিদার সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সততা ও নিষ্ঠার জন্যই জুলাই গণঅভ্যুত্থান হয়েছে উল্লেখ করে গণঅধিকার পরিষদ সদস্য এস এম নুরে এরশাদ সিদ্দিকী বলেন, এসব অনিয়ম নতুন যুগে দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতা মেনে নেবে না। আমলাদের অনিয়মের বিরুদ্ধে গণঅধিকার পরিষদ সব সময় সোচ্চার।’
এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আতিক মুজাহিদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে আমরা তাড়িয়েছি। আমলাদের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে আমরা ফুঁসে উঠেছি, সফলতা পেয়েছি। তারপরও এসব অনিয়ম আমরা মানতে পারি না। যথাযথ প্রমাণ সাপেক্ষে এনসিপি রাজপথে দাঁড়াবে। নতুন বাংলাদেশে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনিয়ম পেলে আমরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব।’
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি। খুদে বার্তা দিয়েও সাড়া মেলেনি।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ