জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতি ধারণ করে গড়ে ওঠা সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে এ মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, সব ক্ষেত্রে ভারতের আগ্রাসন রোধ, সব ধরনের অপ-রাজনীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়াও ইনকিলাব মঞ্চের কার্যক্রম সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবগত করার পাশাপাশি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনকিলাব মঞ্চের কমিটির কাঠামো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

এ সময় ইনকিলাব মঞ্চের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বলেন, “ইনকিলাব মঞ্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং ইনসাফভিত্তিক একটি রাষ্ট্র বিনির্মাণে আমাদের সাংস্কৃতিক জায়গায় কাজ করছি। সে লক্ষ্যেই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা কাজ করতে আগ্রহী, তাদের নিয়ে এ মতবিনিময় সভা।”

তিনি আরও বলেন, “গত ৫ আগস্ট পরবর্তী যে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, সেখানে যেন সাংস্কৃতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সেই লক্ষ্যেই মূলত আলোচনা করা। আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে ১৩টা উইং করেছি, যেগুলো প্রত্যেকটি সেক্টরে জুলাইকে ধারণ করে কাজ করবে। এ বিপ্লবকে ধারণ করে বাংলাদেশ যাতে নিজস্ব শক্তি-সামর্থে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে, সে লক্ষ্যে আমরা এখানে কথা বলেছি।”

এ বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ বর্ষের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মো.

হান্নান রাহিম বলেন, “কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক চাচ্ছেন ইনকিলাব মঞ্চ এখানে কাজ করুক। সেজন্যই ইনকিলাব মঞ্চের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা আজ এসে তাদের পরিচয় পর্ব সেরেছেন।”

তিনি বলেন, “তারা আমাদের প্রাথমিক ধারণা দিয়েছেন কীভাবে ইনকিলাব মঞ্চ কাজ করবে এবং ক্যাম্পাসের কাজকে গতিশীল করবে। আলোচনায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা ছিলেন, তারাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের মতামত দিয়েছেন।”

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ