ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক বৈঠকে যোগ দিতে চার দিনের সরকারি সফরে সুইজারল্যান্ড গেলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা  অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। 

সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাত ১টায় তিনি সুইজারল্যান্ডের ডাভোসের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন। 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিউল আলম জানান, অধ্যাপক ইউনূস ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট রাত ১টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

এর আগে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, “এই সফরে প্রধান উপদেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেবেন। এর মধ্যে জার্মানির চ্যান্সেলর, ফিনল্যান্ডের চ্যান্সেলর, বেলজিয়ামের রাজা ও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন। এই চার জন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা।” 

প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব বলেন, “এই সফরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম সম্মেলনে ‘বাংলাদেশবিষয়ক’ আলাদা সংলাপ হবে। বিশ্বের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক প্রতিনিধি বা ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ, বেশ কিছু আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এই সংলাপে যোগ দেবেন। যা বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং বিরল সুযোগ। উন্নত দেশগুলোই এমন ফোরামে এ ধরনের সংলাপের সুযোগ পায়। বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সম্মেলনে প্রথমবারের মতো এই বিরল সুযোগ পেয়েছে।”

সফর শেষে ২৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

১৯৭১ সালে ক্লস এম.

শআব নামক সুইজারল্যান্ডের একজন অধ্যাপক ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের গোড়াপত্তন করেন। সভার আয়োজন ছাড়াও এই সংগঠনটি বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদন ও বিভিন্ন অঞ্চলে সুনির্দিষ্ট কাজে এর সদস্যদের কাজ করতে উৎসাহী করে। 

সংগঠনটির সভায় চলতি বিশ্বের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পর্কিত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য বিশ্বের সর্বোচ্চ ব্যবসায়িক ব্যক্তিত্ব, আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক নেতা, খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবী, ও সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।

ঢাকা/হাসান/ইভা

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্রদলের দেওয়া বিবৃতি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য হুমকি: ডুজা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ছাত্রদলের কর্মসূচি নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে সংগঠনটির দেওয়া বিবৃতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা)।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) এক যৌথ বিবৃতিতে ডুজার সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহি ও সাধারণ সম্পাদক মাহাদী হাসান ছাত্রদলের এমন বিবৃতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিভিন্ন মহল থেকে চাপ প্রয়োগ করে বিভিন্ন সময়ে সংবাদ সরিয়ে নেওয়া, বিবৃতিতে সংবাদকর্মীদের নিয়ে আপত্তিকর শব্দচয়নের মতো আচরণকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য হুমকিস্বরূপ বলে দাবি করেছে ডুজা।

আরো পড়ুন:

ঢাবিতে পাণ্ডুলিপিবিষয়ক কর্মশালা শুরু

ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে আইডিইএ পরিচালকের সাক্ষাৎ

সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ছাত্রদলের কর্মসূচি নিয়ে ‌‘আওয়ামী এমপিকে পুনর্বাসন/ভাগ বাটোয়ারা দ্বন্দ্বে জাবিতে ভ্যাকসিন কর্মসূচি স্থগিত’ শিরোনামে জাগোনিউজ২৪.কম-এ সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ সংবাদকে ঘিরে একটি বিবৃতি দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। যেখানে স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকিস্বরূপ কিছু শব্দচয়ন করে সংগঠনটি।

বিবৃতিতে ডুজা নেতৃবৃন্দ বলেন, সম্প্রতি সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতা মেনে নিউজ করার পরেও দু’একটি গণমাধ্যমের উপর ছাত্রদলের প্রভাব খাটিয়ে সংবাদ সরিয়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। যা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকি। গত ৫ আগস্টের পর নতুন বাংলাদেশে গণমাধ্যমের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়।

বিবৃতিতে আরও বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আমাদের আকাঙ্ক্ষা ছিল সংবাদ মাধ্যমে উঠে আসা অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্টরা নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করবেন। কেউ নিজেকে ক্ষতিগ্রস্ত মনে করলে নিয়ম অনুযায়ী প্রতিকার চাইবেন। কিন্তু ছাত্রদলের এ ধরনের আচরণ আমাদের সে আকাঙ্ক্ষাকে আশাহত করেছে।

ডুজা নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রতিবেদন প্রকাশের পর জাগোনিউজ২৪.কম-এর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সৈকত ইসলামকে ‘সময়ের আলো’র স্টাফ রিপোর্টার সাব্বির আহমেদ নামে একজন ফোন দিয়ে চাপ প্রয়োগেরও নিন্দা জানাই।

নেতৃবৃন্দ সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যম কর্তৃক সাব্বির আহমেদের অপেশাদার ও অনৈতিক আচরণের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে তিতুমীরে মানববন্ধন
  • রাজধানীতে পরপর তিন দিনে তিন জনসমাবেশ
  • প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চেয়ে ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের চিঠি
  • ছাত্রদলের দেওয়া বিবৃতি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য হুমকি: ডুজা