টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্টস এসোসিয়েশন (টিসিজেএ) চট্টগ্রামের বার্ষিক ইনডোর ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৪-এর বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর নুর আহমদ সড়কের টিসিজেএ মিলনায়তনে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সংবাদ কর্মীরা নিজেদের ব্যক্তি জীবনের অনেক সুখ-স্বাচ্ছন্দ ত্যাগের মনমানসিকতা নিয়েই এই মহান পেশায় মনোনিবেশ করেছেন। তাই কর্মজীবনের কিছুটা ক্লান্তি দূর করার পাশাপাশি শারীরিক ও মানসিক উৎকর্ষ সাধনের জন্য ক্রীড়া চর্চার প্রতি মনোযোগী হতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তারা।

আরো পড়ুন:

ফরিদপুরে সাংবাদিকের বাসার গ্রিল কেটে চুরি

ইয়ুথ জার্নালিস্ট কমিউনিটির সভাপতি কামরুল, সম্পাদক সজিব

এসোসিয়েশনের সভাপতি শফিক আহমেদ সাজীবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- বনজৌর রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পলাশ কান্তি দে। বিশেষ অতিথি ছিলেন- এনুমিয়া আয়শা খাতুন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম রাহী, হোমস টেক্স-এর কর্ণধার ব্যবসায়ী নেতা মুহাম্মদ মহিউদ্দিন, রেষ্টুরেন্ট এন্ড ট্যুরিজম ব্যবসায়ী মো.

আক্কাস উদ্দিন।

টিসিজেএ সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলমগীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- সাবেক সভাপতি এনামুল হক, সহ-সভাপতি ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী আকবর, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীপংকর দাশ বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক বাসুদেব। স্বাগত বক্তব্য রাখেন- সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফুল আলম চৌধুরী।

অর্ধশত প্রতিযোগির অংশগ্রহণে আয়োজিত টিসিজেএ ইনডোর ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ক্যারাম এককে চ্যাম্পিয়ন হারুন উর রশিদ, রানার্সআপ শীতল মল্লিক উত্তম, ক্যারাম দ্বৈততে চ্যাম্পিয়ন নুর জামান আতিক ও শীতল মল্লিক উত্তম, রানার্সআপ নাছিরুল আলম ও হারুন উর রশিদ, লুডু এককে চ্যাম্পিয়ন আবদুল আজিজ মুন্না, রানার্সআপ মো. হাসান উল্লাহ, লুডু দ্বৈততে মো. সেলিম  উল্ল্যাহ ও নাজিম উদ্দিন, রানার্সআপ মোহাম্মদ আলমগীর ও মো. পারভেজুর রহমান, দাবায় চ্যাম্পিয়ন মো. আলী আকবর, রানার্সআপ রবিউল হোসেন টিপু।

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আসামি না হয়েও স্বেচ্ছায় কারাগারে যাওয়া সেই যুবক প্রতারণা মামলায় গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে মাদকের একটি মামলায় আসামি সেজে আদালতে আত্মসমর্পণের পর কারাগারে যাওয়া এক যুবককে জালিয়াতি ও প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার (শ্যোন অ্যারেস্ট) দেখিয়েছেন আদালত। তাঁর নাম মো. রাকিব। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদ শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রকৃত আসামি মো. সুমনের হয়ে আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেন রাকিব। আদালতের আদেশে ১ জুলাই থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে আটক রাকিবকে জালিয়াতি ও প্রতারণা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেন। আসামিকে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের ৩১ আগস্ট নগরের আকবর শাহ থানার কৈবল্যধাম এলাকায় একটি পিকআপ ভ্যানে অভিযান চালিয়ে ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে র‌্যাব, যার মূল্য ৪ লাখ টাকা। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় গাড়িচালক রাহাত ইসলামকে। পালিয়ে যান চালকের সহকারী (হেলপার) মো. সুমন। এ ঘটনায় র‌্যাব কর্মকর্তা বাদী হয়ে আকবর শাহ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। তদন্ত শেষে চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। এতে রাহাত ইসলাম ও মো. সুমনকে আসামি করা হয়।

আদালত পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করে পলাতক আসামি সুমনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরই মধ্যে সুমনের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। বিষয়টি জানতে পেরে সুমন নিজেকে কারামুক্ত রাখতে তাঁর পরিবর্তে নোয়াখালীর রাকিবকে আদালতে আত্মসমর্পণ করায় ১ জুলাই। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তফা শুনানি শেষে আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। সুমনের হয়ে রাকিব আত্মসমর্পণের সময় তাঁর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ওয়াহিদ মুরাদ।

আদালতে একজনের পরিবর্তে আরেকজন আত্মসমর্পণের বিষয়টি ধরা না পড়লেও কারাগারে গিয়ে ধরা পড়ে। জাতীয় পরিচয়পত্রের ডেটাবেজে (তথ্যভান্ডার) ভোটারদের আঙুলের ছাপ সংরক্ষিত আছে। এ পদ্ধতিকে বলা হয় ফিঙ্গারপ্রিন্ট আইডেনটিফিকেশন অ্যান্ড ভেরিফিকেশন সিস্টেম। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পদ্ধতি ব্যবহার শুরু করে চট্টগ্রাম কারা কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে আঙুলের ছাপে ধরা পড়েছে অনেক বন্দীর আসল পরিচয়। এসব ঘটনায় মামলাও হয়েছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি মাসের জুলাই পর্যন্ত আত্মসমর্পণ করে জালিয়াতির মাধ্যমে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আসা ১৬ জনের আঙুলের ছাপে শনাক্ত করা হয়।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক মো. ইকবাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আদালত থেকে কারাগারে আসা প্রত্যেক নতুন আসামির আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়। সেখানে আসামির জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা আসল পরিচয় উঠে আসে। ইকবাল হোসেন আরও বলেন, ‘সুমনের হয়ে কারাগারে আসা রাকিব স্বীকার করেছেন তিনি মাদক মামলার প্রকৃত আসামি নন। ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে তিনি সুমন সেজেছেন। তাঁকে বলা হয়েছে, দ্রুত কারাগার থেকে ছাড়িয়ে নেওয়া হবে। তাই তিনি রাজি হয়েছেন। বিষয়টি চিঠি দিয়ে আদালতকে জানানো হয়েছে।’

আরও পড়ুনচট্টগ্রামে ‘আয়নাবাজি’, ধরা পড়েছে আঙুলের ছাপে০৮ নভেম্বর ২০২৩

কারাগার থেকে চিঠি পাওয়ার পর মামলা করার নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মিজানুর রহমান। একই সঙ্গে আসামিকে আত্মসমর্পণকারী আইনজীবী ওয়াহিদ মুরাদের কাছে কারণ ব্যাখ্যা চেয়েছেন আদালত। আদালতের প্রসিকিউশন শাখার আকবর শাহ থানার জিআরও সাইদুর রহমান বাদী হয়ে গত রোববার রাতে নগরের কোতোয়ালি থানায় প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় মো. রাকিব ও মো. সুমনকে আসামি করা হয়। সুমন এখনো পলাতক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আমাদের কাছে এসে সমস্যার কথা বলছে মানুষ: মির্জা ফখরুল
  • রাউজানে উত্তেজনা থামেনি, পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি বিএনপির দুই পক্ষের
  • থমথমে পরিস্থিতিতে এক পক্ষের বিক্ষোভের ডাক
  • চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
  • রাউজানে সংঘর্ষের পর চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত, গিয়াস কাদেরের পদ স্থগিত
  • রাউজানে বিএনপি নেতা গোলাম আকবরের গাড়িবহরে হামলা, আহত ২০
  • রাউজানে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ–গুলি, উত্তর জেলা আহ্বায়কসহ আহত ২০
  • মানুষের প্রয়োজনে না এলে সেই সংস্কার কাজে আসবে না: মির্জা ফখরুল
  • আসামি না হয়েও স্বেচ্ছায় কারাগারে যাওয়া সেই যুবক প্রতারণা মামলায় গ্রেপ্তার