‘৯’ গোলের মহারণে জয়ী বার্সা, চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোতে
Published: 22nd, January 2025 GMT
বেনফিকা ৪-৫ বার্সালোনা! চোখ কপালে উঠার মতই একটা স্কোরলাইন। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে এমন স্কোরলাইন যে এবারই প্রথম। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে (২১ জানুয়ারি, ২০২৫) একবার নয়, দুইবার ‘দুই’ গোলে পিছিয়ে পড়েও শেষমুহূর্তের নাটকীয়তায় বেনফিকাকে তাদেরই মাঠে ৪-৫ ব্যবধানে হারিয়েছে হান্সি ফ্লিকের বার্সালোনা। এই জয়ের ফলে চ্যাম্পিয়নস লিগে নিশ্চিত হলো কাতালান ক্লাবটির শেষ ষোলো।
স্টাদিও দা স্পোর্টিং লিসবনে ৯ গোলের থ্রিলার মাঠেই শেষ হয়নি, এর রেষ চলে গিয়েছিল খেলোয়াড়দের টানেল পর্যন্ত! যোগকরা সময়ে (৯৬ মিনিটে) গোল করা বার্সার জয়ের নায়ক রাফিনহা দাবি করেছেন বেনফিকার ফুটবলারদের সাথে তার হাতাহাতি হয়েছে ম্যাচ শেষে!
ম্যাচের প্রথমার্ধেই বেনফিকার হয়ে হ্যাটট্রিক করেন ভাঙ্গেলিস পাভলিদিস। মাত্র ৩০ মিনিটেই তিন গোল করে বার্সাকে স্তব্ধ করে দেন এই গ্রীক স্ট্রাইকার। চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে ম্যাচের শুরু থেকে হিসাব করলে এটি তৃতীয় দ্রুততম হ্যাটট্রিক। ২০২২ সালে সালজ্বুর্গের বিপক্ষে রবার্ট লেভানডফস্কির ২৩ মিনিটের মধ্যে হ্যাটট্রিকটাই দ্রুততম।
আরো পড়ুন:
কোয়ার্টার ফাইনালে লিগানেসকে পেল রিয়াল, ভ্যালেন্সিয়াকে বার্সা
তলানির দলের কাছে পয়েন্ট হারালো বার্সা
৩-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়া বার্সার হয়ে বিরতির আগে পেনাল্টি থেকে একটি গোল শোধ করেন পোলিশ সুপারস্টার লেভানডফস্কি। ম্যাচের ৬৪ মিনিটে রাফিনহা গোলের ব্যবধান কমিয়ে এনে স্কোরলাইন করেন ৩-২। এরপর ৪ মিনিটের মাথায় আত্মঘাতী গোলের সুযোগে ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় বেনফিকা। ভুলে নিজেদের জালে বল জড়িয়ে দেন বার্সার রোনাল্ড আরাওহো।
ম্যাচ শেষ হওয়ার ১৫ মিনিট আগে পর্যন্ত ৪-২ গোলে এগিয়ে ছিল স্বাগতিক ক্লাবটি। তবে ম্যাচের ৭৮ মিনিটে আবারও পেনাল্টিতে গোল পান লেভানডফস্কি। বদলি তারকা এরিক গার্সিয়ার দুর্দান্ত হেডে ম্যাচের ৮৬ মিনিটে ৪-৪ সমতায় ফেরে কাতালানরা।
নাটক বাকি আছে তখনও। রেফারি শেষ বাঁশি বাজানোর ঠিক আগমুহূর্তে রাফিনহা জয়সূচক গোলটি করে। এই ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গারের দ্বিতীয় গোলে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিয়ে ঘরে ফেরে সফরকারীরা।
তবে মাঠের উত্তাপ সেখানেই যে শেষ হয়নি তার প্রমাণ মিলল জয়ের নায়ক রাফিনহার কথায়, “যখন আমি মাঠ ছেড়ে যাচ্ছিলাম, বেনফিকা খেলোয়াড়রা আমাকে অপমান করছিল। আমি তাদের অপমানের জবাব দিয়েছি। আমি জানি, আমাকে সেটা করা উচিত ছিল না। বেনফিকা খেলোয়াড়দের সাথে বিষয়টি বেশ উত্তপ্ত হয়ে গিয়েছিল। তারা আমাকে অপমান করতে চেয়েছিল।”
বার্সা কোচ অবশ্য এসব ঝামেলায় না গিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়লেন। ফ্লিক তার দলের খেলোয়াড়দের প্রশংসা করে বলেন, “পাগলাটে ম্যাচ হল একটা। বেনফিকা প্রথমার্ধে ভাল খেলেছে। আমরা অনেক ভুল করেছি। তবে আমি দলের (বার্সালোনা) মানসিকতার প্রশংসা করব। ওরা সব সময়ে নিজেদের উপরে বিশ্বাস রাখে। অবিশ্বাস্য ভাবে ম্যাচে ফিরে এল।”
৩৬ দলের অংশগ্রহণে রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে হওয়া গ্রুপ পর্বে সেরা ৮ দল সরাসরি যাবে শেষ ষোলোতে। বার্সা সেই সেরা ৮ দলের মধ্যে অন্যতম হিসেবে গ্রুপপর্ব শেষ করলো। যদিও সাত ম্যাচ খেলে প্রতিটি জেতা লিভারপুল ২১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে। দ্বিতীয় স্থানে বার্সা। সাত ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১৮। তৃতীয় স্থানে থাকা আতলেতিকো মাদ্রিদের পয়েন্ট ১৫।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল চ য ম প য়নস ল গ চ য ম প য়নস ল গ ব যবধ ন
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’
ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।