পুঁজিবাজারে ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংক পিএলসিকে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার পঞ্চম সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড ছাড়ার বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ব্যাংকটি এই বন্ড ছাড়ে মূলধন বৃদ্ধি করবে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংক পিএলসি ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার আনসিকিউরড, নন-কনভার্টেবল, ফ্লোটিং রেট, ফুল্লি রিডিমঅ্যাবল বন্ড ছাড়বে। বন্ডটির ইউনিট প্রতি অভিহিত মূল্য ১ কোটি টাকা। এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ঢাকা ব্যাংকের টায়ার-২ মূলধনের ভিত্তি শক্তিশালী করা হবে।

সাব-অর্ডিনেটেড বন্ডের বৈশিষ্ট্য হলো এই বন্ডের ঋণ পরিশোধ অন্যান্য বন্ডের তুলনায় কম অগ্রাধিকার পাবে। ধরা যাক, কোনো কোম্পানি আর্থিকভাবে বিপদে পড়েছে এবং সেই সময় তাদের ঋণ পরিশোধ করতে হবে, এই বাস্তবতায় সাব-অর্ডিনেটেড বন্ডধারীদের ঋণ পরিশোধ করা হবে সবার পর।

কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময় পরিচালক ও অন্যান্য ঋণগ্রহীতাদের দায় মেটানোর পর সাব-অর্ডিনেটেড বন্ডধারীদের অর্থ পরিশোধ করা হবে। সেই সঙ্গে এই বন্ড কোম্পানির শেয়ারের সঙ্গে বিনিময় করা যাবে না।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর শ ধ

এছাড়াও পড়ুন:

সাগরে ইলিশ মিলছে কম, চড়া দাম আড়তে

নিষেধাজ্ঞা শেষে দীর্ঘ বিরতির পর আবারও সরগরম হয়ে উঠেছে দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বৃহত্তম সামুদ্রিক মৎস্য আড়ত কেবি বাজার। সাগরে প্রায় দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় আবারও সরগরম হয়ে উঠেছে বাগেরহাটের ভৈরবতীরের এ মাছ বাজার। 

সাগরে মাছ আহরণ শেষে শুক্রবার ভোরে কেবি বাজার ঘাটে দুটি ট্রলার ভেড়ে। তবে মাছের পরিমাণ চাহিদার তুলনায় অনেক কম। ব্যবসায়ীরা জানান, ৫৮ দিনের অবরোধ শেষে সাগর থেকে এই প্রথম দুটি ট্রলার এসেছে। তবে এসব ট্রলারে মাছের পরিমান খুবই কম। ফলে দাম অনেক বেশি। 

জেলে রুহুল জানান, তাদের ট্রলার সাগরে যাওয়ার পরে মাত্র কয়েকবার জাল ফেলতে পেরেছেন। এতে অল্প কিছু ইলিশসহ নানা ধরনের মাছ পেয়েছেন। পরে ট্রলারে সমস্যা হওয়ায় চলে আসতে বাধ্য হয়েছেন। 

শুক্রবার বাজারে ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, আধা কেজি থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশ ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজি এবং এক কেজি ওজনের ইলিশ ২ হাজার থেকে ২৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

এ ছাড়া রূপচাঁদা আকার ভেদে প্রতিকেজি ৫০০ থেকে ১২০০ টাকা, কঙ্কন, তুলারডাটি, ঢেলা চ্যালা, ভেটকি, লইট্টা, ছুরি, জাবা, বিড়াল জাবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ একশ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সাগর থেকে বেশি করে ট্রলারের আগমন ও মাছের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে দাম কমবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। 

মোরেলগঞ্জ থেকে মাছ কিনতে আসা তৈয়ব মুন্সি বলেন, সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা চলাকালে তিনি বাজারে আসেননি। অনেক দিন পরে আজই বাজারে এসেছেন, তবে দাম অনেক বেশি। তারপরও কিছু মাছ কিনেছেন। বেশি দামে মাছ কিনে এলাকায় বিক্রি করে লোকসানের শঙ্কা জানান তিনি। 

কেবি বাজার আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক অনুপ কুমার বিশ্বাস বলেন, নিষেধাজ্ঞার পর শুক্রবার প্রথমবারে সাগর থেকে ট্রলার এসেছে। জেলেরা তেমন মাছ পায়নি। তবে বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক পাইকার আসছে। যার কারণে দাম কিছুটা বেশি। সাগরে বেশি পরিমাণ মাছ ধরা পড়লে দাম কিছুটা কমবে বলে জানান তিনি।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত সাগরে মাছ আহরণ নিষিদ্ধ ছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাগরে ইলিশ মিলছে কম, চড়া দাম আড়তে