ট্রাম্পের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল আদেশের বিরুদ্ধে ২২টি রাজ্যের মামলা
Published: 22nd, January 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ বাতিল করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া নির্বাহী আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে ডেমোক্র্যাট অধ্যুষিত ২২টি অঙ্গরাজ্য ও ২টি শহর। এছাড়া আইনি লড়াইয়ে শরিক হয়েছে বিভিন্ন নাগরিক অধিকার সংগঠন।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে আইনি উপায়ে মোকাবিলা করতে আদালতে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল আন্দ্রেয়া জয় ক্যাম্পবেল এক বিবৃতিতে বলেছেন, অভিবাসনের ওপর ট্রাম্পের কঠোরতা হ্রাস করতে এসব মামলা করা হয়েছে। তার আদেশ বাস্তবায়িত হলে আধুনিক মার্কিন ইতিহাসে প্রথমবার বছরে দেড় লাখ শিশু নাগরিকত্ব বঞ্চিত হবে।
আরো পড়ুন:
চীনা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা ভাবছেন ট্রাম্প
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিলেন ট্রাম্প
ক্যাম্পবেল বলেন, “কারও সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার অধিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেই।”
সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পরপরই ডোনাল্ড ট্রাম্প একের পর এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন। এর মধ্যে নাগরিকত্ব সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়েছে, কোনো শিশুর বাবা বা মা কেউই যদি মার্কিন নাগরিক না হন বা আইনত স্থায়ী বাসিন্দা না হন, তবে ওই শিশুকে নাগরিকত্ব প্রদানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিষেধ করা হচ্ছে।
তার এই আদেশকে মার্কিন সংবিধানের লঙ্ঘন বলে বোস্টন ও সিয়াটলের ফেডারেল আদালতে দুটি মামলা দায়ের করেছে ওয়াশিংটন ডিসি, সিটি অব স্যান ফ্র্যানসিসকো এবং ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বাধীন ২২টি অঙ্গরাজ্য।
এছাড়া, আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন, অভিবাসী সংগঠন এবং একজন প্রসূতি মায়ের পক্ষ থেকেও পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল রব বন্টা এক বিবৃতিতে বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল বিষয়ক যে নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, তা অশোভন, অমার্জিত এবং পুরোপুরি অসাংবিধানিক।”
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীর প্রথম বাক্যেই ‘জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের’ নীতির বিষয়টি রয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া বা নাগরিক অধিকার পাওয়া সব ব্যক্তিই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
আইনি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব বাতিলের আদেশটি সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীর দীর্ঘকালীন আইনি ব্যাখ্যার বিরোধিতা করেছে এবং আদালতে এটি টিকবে না। ইয়েল ল স্কুলের অধ্যাপক আখিল রিড আমর বলেছেন, “এই আদেশ এতটাই চরম ও অবাস্তব যে আদালত এটি বাতিল করবে।”
ট্রাম্পের সমর্থিত কিছু বিচারপতি এই বিষয়ে সহানুভূতিশীল হতে পারেন, তবে বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞের মতে, আদালত এই ধরনের সাংবিধানিক পরিবর্তন প্রেসিডেন্টের একতরফা ক্ষমতার বাইরে বলে রায় দেবে।
জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব নিয়ে নতুন নিয়ম ট্রাম্প কীভাবে কার্যকর করতে চান, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ট্রাম্প যদি সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে এ অধিকার কেড়ে নিতে চান, তাহলে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ ও উচ্চকক্ষ সিনেটের দুই-তৃতীয়াংশ ভোট এবং যুক্তরাষ্ট্রের তিন-চতুর্থাংশ রাজ্যের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
লেনোভোর নতুন ল্যাপটপ বাজারে
দেশের বাজারে লেনেভোর তৈরি আইডিয়াপ্যাড স্লিম থ্রিআই ৮৩কেডি০০০কিউএলকে মডেলের ল্যাপটপ এনেছে গ্লোবাল ব্র্যান্ড পিএলসি। ৪.৭ গিগাহার্জ গতির ইন্টেলের কোর আই৩ ১০০ইউ প্রসেসরে চলা ল্যাপটপটির ধারণক্ষমতা ৫১২ গিগাবাইট। দুই বছরের বিক্রয়োত্তর সেবাসহ ল্যাপটপটির দাম ধরা হয়েছে ৫৮ হাজার ৫০০ টাকা। গতকাল শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে গ্লোবাল ব্র্যান্ড পিএলসি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৫.৩ ইঞ্চি আইপিএস পর্দার ল্যাপটপটিতে ৮ গিগাবাইট ডিডিআরফাইভ র্যাম রয়েছে, যা সর্বোচ্চ ২৪ গিগাবাইট পর্যন্ত বাড়ানো যায়। ফলে স্বচ্ছন্দে গেম খেলার পাশাপাশি সহজেই একসঙ্গে একাধিক কাজ করা যায়। ল্যাপটপটির পর্দায় ৩০০ নিটস উজ্জ্বলতার পাশাপাশি টিইউভি লো ব্লু লাইট প্রযুক্তি থাকায় দীর্ঘ সময় ব্যবহার করলেও চোখের ক্ষতি হয় না।
দুটি ডলবি স্পিকার ও টিপিএম ২.০ সুরক্ষা চিপযুক্ত ল্যাপটপটিতে ফুল এইচডি আইআর ক্যামেরা থাকায় স্বচ্ছন্দে অনলাইন বৈঠক করার পাশাপাশি গানও শোনা যায়। উইন্ডোজ হ্যালো ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি সমর্থন করা ল্যাপটপটিতে ওয়াই-ফাই ৬ই এবং ব্লুটুথ ৫.২ সুবিধাও রয়েছে।