পা বাঁধা, হাত ভাঙা ও দুই চোখ উপড়ানো ছাত্রদল কর্মীর লাশ উদ্ধার
Published: 22nd, January 2025 GMT
বরিশালের বাবুগঞ্জে নিখোঁজের ৪ দিন পরে ছাত্রদল কর্মী রাব্বি খানের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে উপজেলার পূর্ব রহমতপুর এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় তার পা বাঁধা, হাত ভাঙা এবং দুই চোখ উপড়ানো ছিল। গত শনিবার রাত ১২ টার দিকে নিখোঁজ হন রাব্বি।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে তাকে অপহরণের পরে হত্যা করা হয়েছে।
রাব্বি খান (১৯) বাবুগঞ্জ উপজেলার পূর্ব রহমতপুর গ্রামের বাচ্চু খানের ছেলে এবং বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির রহমানের ছোট ভাই। রাব্বি নিজেও ছাত্রদলের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। শনিবার রাতে তিনি নিখোঁজ হওয়ার পরদিন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিল তার পরিবার। বুধবার সকালে তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়েছে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ।
নিহতের বড় ভাই সাব্বির রহমান বলেন, রাজনৈতিক কারণে স্থানীয় একটি গ্রুপের সঙ্গে তাদের বিরোধ রয়েছে। ওই বিরোধের জেরেই শনিবার রাতে রাব্বিকে ফোন করে ডেকে নিয়ে অপহরণ করা হয়। ৩ দিন অজ্ঞাত স্থানে আটকে নির্যাতনের পরে তাকে খুন করা হয়।
এয়ারপোর্ট থানার ওসি জাকির শিকদার বলেন, নিহত রাব্বির পা বাঁধা, হাত ভাঙা এবং দুই চোখ উপড়ানো ছিল। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পূর্ব বিরোধের জেরে হত্যার পর মরদেহ মঙ্গলবার রাতের কোনো এক সময় রহমতপুর-মোহনগঞ্জ সড়কে একটি পরিত্যক্ত গোডাউনের পাশে ফেলে রাখা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বর শ ল ছ ত রদল ছ ত রদল মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।