সেই অটোচালককে বুকে জড়িয়ে ধরলেন সাইফ আলী খান
Published: 22nd, January 2025 GMT
গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া অটোচালক রানার সঙ্গে দেখা করেছেন বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খান।
এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গতকাল বিকালে লীলাবতী হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান আহত অভিনেতা সাইফ আলী খান। তার আগে অটোচালক ভজন সিং রানার সঙ্গে দেখা করেন সাইফ। স্বল্প সময়ের সাক্ষাতে রানাকে পেয়েই তাকে বুকে জড়িয়ে ধরেন এবং ধন্যবাদ জানান সাইফ। সব মিলিয়ে পাঁচ মিনিটের মতো কথা বলেন তারা। এসময় সাইফের মা শর্মিলা ঠাকুর রানার জন্য অনেক দোয়া করেন।
ইন্ডিয়া টুডের সঙ্গে কথা বলেছেন ভজন সিং রানা। সেই রাতের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে রানা বলেন, “আমি ওই বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ গেট থেকে শব্দ শুনতে পাই। একজন নারী সাহায্য চেয়ে চিৎকার করছিলেন, ‘রিকশা থামান’ বলে ডাকছিলেন। প্রথমে আমি জানতাম না যে, তিনি সাইফ আলী খান। আমি এটিকে সাধারণ হামলার ঘটনা বলে মনে করেছিলাম।”
আরো পড়ুন:
সাইফের বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্ব নিলেন ‘কে.
হাতছাড়া হতে পারে সাইফের পতৌদি পরিবারের ১৫ হাজার কোটি রুপির সম্পত্তি
অটোতে উঠার পরের ঘটনা বর্ণনা করে রানা বলেন, “তিনি (সাইফ আলী খান) পায়ে হেঁটে অটোতে ওঠেন। তার সঙ্গে ছোট একটি ছেলে ও একজন নারী ছিলেন। অটোতে ওঠার পরই তার প্রথম প্রশ্ন ছিল— ‘হাসপাতাল পৌঁছাতে কতক্ষণ লাগবে?’ আমরা দশ মিনিটের মধ্যে হাসপাতালে পৌঁছেছিলাম।”
রক্তাক্ত সাইফ আলী খানকে হাসপাতালে নিয়ে যেত ভয় পাননি রানা। তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তার কাঁধ ও পিঠ থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তার সাদা রঙের কুর্তা রক্তে লাল হয়ে গিয়েছিল। তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে আমার ভয় করেনি। বরং সেই সময়ে তাকে সাহায্য করতে পেরে ভালো লেগেছে।”
গত ১৫ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাতে সাইফ আলী খানের মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বাড়িতে ঢুকে তাকে ছুরিকাঘাত করেন এক দুর্বৃত্ত। এতে গুরুতর আহত হন ‘রেস’ তারকা। গ্যারেজ দামি গাড়ি থাকার পরও তা নিয়ে হাসপাতালে যেতে পারেননি। পরে রক্তাক্ত সাইফকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যান অটোচালক রানা। গতকাল বিকালে হাসপাতাল থেকে বান্দ্রার বাড়িতে ফিরেছেন সাইফ আলী খান।
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনা আটকে দিয়েছিলেন ট্রাম্প
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলের পরিকল্পনা কয়েক দিন আগে আটকে দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইসরায়েল গত শুক্রবার ভোর রাতে হামলা করে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ পদের প্রায় সব কর্মকর্তাকে হত্যা করে। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় খামেনির একজন উপদেষ্টাও নিহত হন।
মার্কিন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইরানিরা কি এখন পর্যন্ত কোনো আমেরিকানকে হত্যা করেছে? না, যতক্ষণ না তারা এটা করছে, ততক্ষণ আমরা কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্বকে আক্রমণের কথা ভাবছিও না।’
এদিকে গতকাল রোববার ফক্স নিউজকে সাক্ষাৎকার দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সেখান তাকে খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনার বিষয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে প্রশ্ন করেলে নেতানিয়াহু বলেন, ‘কখনো আলাপই হয়নি, এমন অনেক বিষয় নিয়েও খবর প্রকাশ করা হয়েছে। আমি সে বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।’
ফক্সের ‘স্পেশাল রিপোর্ট উইথ ব্রেট বেয়ার’ অনুষ্ঠানে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যা করার দরকার, তা করি।’ নেতানিয়াহু বলেন, ইরানে ইসরায়েলের সামরিক হামলার একটি ফল হতে পারে সরকার পরিবর্তন। তেহরানের সৃষ্ট ‘অস্তিত্বের হুমকি’ দূর করতে ইসরায়েল যা যা প্রয়োজন, তা-ই করবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে চলমান এই সংঘাত ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেড়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, এটি সহজেই শেষ করা যেতে পারে। একই সঙ্গে ইরানকে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, যদি ইরান কোনো আমেরিকান লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে, তবে যুক্তরাষ্ট্রও এ সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে।