জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের অভিযোগ করে বলেছেন, জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈষম্য শুরু হয়েছে। রাজনীতিতে কোণঠাসা করতে চাইছে সরকার। স্বাভাবিক রাজনীতিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে। সে হিসেবে আমরা নব্য ফ্যাসিবাদের স্বীকার। 

জাপার বনানী কার্যালয়ে নরসিংদী জেলা জাপা নেতাদের সঙ্গে বুধবার মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সঙ্গে গত চার নির্বাচনে সমঝোতা করায় স্বৈরাচারের দোসর তকমা পাওয়া জাপাকে ছাত্র নেতৃত্বের বিরোধিতার মুখে কিছুতেই ডাকছে না অন্তর্বর্তী সরকার।

জি এম কাদের গত আগস্টে সরকারকে সমর্থন জানালেও অভ্যুত্থানের মামলার আসামি হওয়ার পর সমালোচনা করেছেন। বুধবার তিনি বলেছেন, দেশ সঠিকভাবে চলছে না। দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় মানুষের মাঝে হাহাকার। আধাপেট খাওয়া মানুষ বাড়ছে। কলকারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় বেকার বাড়ছে। দুর্বল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে ক্ষুধার্ত মানুষ বাড়লে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, একটি শক্তিশালী সরকার প্রয়োজন। জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়, তেমন নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকার ছাড়া পরিস্থিতি সামাল দেওয়া অসম্ভব। ৪০টির বেশি রাজনৈতিক দলের কয়েকটির সঙ্গে সরকার ঐক্য করছে। এতে বেশির ভাগ মানুষের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দল থাকছে আলোচনার বাইরে। সরকারের বিরুদ্ধে লিখতে পারছে না গণমাধ্যম, যা আওয়ামী লীগের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। মানুষ বিচার, সেবা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা পাচ্ছে না।

সভায় জাপা মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু, অতিরিক্ত মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকাসহ নরসিংদীর নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ এম ক দ র র জন ত সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি

‎নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল  সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।

সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে  একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য। 

সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের  গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র‍্যাব, বিজিবি,  সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।

‎‎মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর)  শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

‎দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।

‎‎জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।

‎‎এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।

‎‎তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।

‎‎এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
  • নুরুল হকের ওপর হামলার ঘটনায় জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
  • ১৭ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ, নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুই হাজার সদস্য
  • ফরিদপুরে অবরোধ শনিবার পর্যন্ত স্থগিত
  • আসন্ন নির্বাচনে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের