সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে গাছ ফেলে বাস ও মাইক্রোসহ বেশ কয়েকটি যাত্রীবাহী পরিবহনে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা চালকদের মারধর করে যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, নগদ টাকা এবং স্বর্ণালংকার লুটে নেয়।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাত ১টার দিকে ছাতক উপজেলার জগন্নাথপুর-ডাবর আঞ্চলিক সড়কের দাড়াখাই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে একদল ডাকাত ধারালো অস্ত্র নিয়ে ছাতক উপজেলার ভাতগাঁও এলাকার সড়কে গাছ ফেলে বাস ও মাইক্রোসহ কয়েকটি গাড়ি আটকায়। পরে ডাকাতরা চালক-যাত্রীদের মারধর করে তাদের কাছ থেকে মোবাইল টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ডাকাতি করতে থাকে। এ সময় আশপাশ এলাকার মানুষজন যাত্রীদের চিৎকার শুনে ডাকাত দলকে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। তবে এই ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সড়কের যাত্রী ও এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। 

শান্তিগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা মোহাম্মদ হাসান বলেন, “শহর থেকে পাগলা বাজার হয়ে বাড়িতে যাচ্ছিলাম। পথে ডাকাত পড়েছে শুনে ভয়ে আবারো শহরের দিকে ফিরে যাই। আমাদের এসব এলাকার বাড়িঘরে প্রায় চুরির ঘটনা ঘটে। পুলিশের টহল একদম নেই বললেই চলে। এসব বন্ধ করতে হলে পুলিশকে আরো তৎপর হতে হবে।” 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাউয়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল কবির। তিনি বলেন, “জগন্নাথপুর-ডাবর আঞ্চলিক সড়কে গাছ ফেলে বন্ধ করে ডাকাতরা। প্রথমে একটি ট্রাক সড়কের মধ্যে আটকিয়ে চাবি নিয়ে যায়। পরে  ঢাকাগামী বাস মামুন পরিবহনে ডাকাতরা হানা দেয়। এ সময় গাড়িটির চালক দরজা না খুললে ডাকাতরা গাড়ির জানালা ভেঙে উঠে চালককে মারধর ও যাত্রীদের জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়।” 

তিনি আরো বলেন, “জগন্নাথপুর-ডাবর আঞ্চলিক সড়কে ঢাকাগামী বাসসহ বিভিন্ন পরিবহন জ্যামের সৃষ্টি হয়। ফলে মামুন পরিবহন থেকে নেমে ডাকাত দল আল মোবারাকা পরিবহন নামের আরেকটি গাড়িতে হানা দেয়। তখন যাত্রীদের চিৎকার শুনে পাশের বাজারের লোকজন ধাওয়া দিলে ডাকাত দল হাওরের দিকে পালিয়ে যায়।” 

ছাতক থানার ওসি গোলাম কিবরিয়া হাসান বলেন, “প্রায় ১৫-২০ জনের ডাকাত দল ধারালো অস্ত্র নিয়ে বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে এবং চালক-যাত্রীদের মারধর করে তাদের কাছ থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করে।”

তিনি আরো বলেন, “গত কয়েক বছরের মধ্যে এই সড়কে ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। গতকাল রাতে কুয়াশা বেশি পরায় ডাকাতরা সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। মামলাও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”

ঢাকা/মনোয়ার/ইমন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এল ক র ম রধর ক সড়ক

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি

সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’

অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ