চট্টগ্রাম নগরীতে পাঁচ হাজার বিদেশি সিগারেটসহ আটক এক যুবককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার আটক আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

এর আগে বুধবার রাতে নগরীর বাকলিয়া থানার শাহ আমানত সেতু এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বান্দরবান সীমান্ত দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে ভারত থেকে সিগারেটগুলো আনা হয়েছে। আটক রিপন বড়ূয়া (৩৫) বান্দরবান সদর উপজেলার জামছড়ি ইউনিয়নের বাঘমারা বাজারপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রিপন বড়ুয়াকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে ওরিস ব্র্যান্ডের পাঁচ হাজার প্যাকেট বিদেশি সিগারেটের এক লাখ শলাকা উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রিপন পুলিশকে জানিয়েছে, সিগারেটের চালানটি ভারতের মিজোরাম থেকে বান্দরবানে আসে। সেখান থেকে বাসে করে এনে বিক্রির জন্য চট্টগ্রামের রিয়াজ উদ্দিন বাজার নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ ঘটনায় বাকলিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে। তাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

নাফ নদীতে বড়শিতে ধরা পড়ল ২০ কেজির কোরাল

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীর ট্রানজিট জেটিতে বড়শিতে ধরা পড়েছে ২০ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ। মাছটি স্থানীয় বাজার থেকে ২৪ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছেন এক ব্যবসায়ী।

গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাছটি ধরা পড়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ বাসস্টেশন মাছ বাজারের সভাপতি মোহাম্মদ তাহের।

টেকনাফ পৌরসভার ট্রানজিট জেটিঘাটের ইজারাদার আবদুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা মনু মিয়া নামের এক ব্যক্তি বড়শিতে মাছটি ধরেন। সন্ধ্যায় বড়শি ফেলেও তিনি কোনো মাছ পাননি। ঘরে ফেরার আগমুহূর্তে আবার বড়শি ফেললে কোরালটি ধরা পড়ে। বড়শি টেনে মাছটি জেটিতে তোলা হলে আশপাশের লোকজন একনজর দেখার জন্য ভিড় করেন।

বড়শির মালিক মনু মিয়া বলেন, মাছটির দাম চেয়েছিলেন ২৬ হাজার টাকা। টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা ও মাছ ব্যবসায়ী আবু হানিফ ২৪ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন।

আবু হানিফ বলেন, তাঁর কাছ থেকে অনেকে প্রতি কেজি ১ হাজার ৩০০ টাকা দামে কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি প্রতি কেজি ১ হাজার ৪০০ টাকা দামে মাছটি বড় বাজারে কেটে বিক্রি করবেন।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ১১ জুন সাগরে ৫৮ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। তবে নাফ নদী এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল না। মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির তৎপরতার কারণে অনেক বাংলাদেশি জেলে নদীতে জাল নিয়ে যেতে পারছেন না। তাই তাঁরা বড়শিতে মাছ ধরছেন। নাফ নদীতে প্রায়ই বড় কোরাল ধরা পড়ছে। এখানকার কোরালের স্বাদও ভালো।

সম্পর্কিত নিবন্ধ