যারা জিয়াবাদ আবিষ্কার করতে চায়, তাদের উদ্দেশ্য ভালো না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। 

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যারা বিএনপির বিরোধিতা করছে তারা জিয়াবাদ আবিষ্কার করেছে। বিএনপি কখনো জিয়াবাদ আবিষ্কার করতে পারেনি। আমরা জিয়াউর রহমানকে কোনোদিন মহামানব বানাইনি। আমরা ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে কখনো জিয়াউর রহমানের মূর্তি বানিয়ে রাস্তায় বসাইনি। কোনো বিশিষ্ট জায়গায় জিয়াউর রহমানের পোস্টার টানাইনি। জিয়াউর রহমানকে আমরা দলীয় চর্চার মধ্যে, তার জিনিসগুলো আলোচনা করেছি। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বিএনপি তিনবার ক্ষমতায় থাকতে আমরা জিয়াউর রহমানকে মূলধন করে রাজনীতি করিনি। যারা জিয়াবাদ আবিষ্কার করতে চায়, তাদের উদ্দেশ্য ভালো না।  

তিনি বলেন, বিএনপির জন্মই হয়েছে সংস্কারের জন্য। বিএনপির জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত সংস্কার হয়েছে। বাংলাদেশের যত ধরনের সংস্কার হয়েছে, সেটির ৯০ শতাংশ সংস্কার করেছে বিএনপি। কিন্তু, এখন আমাদের অনেকে সংস্কারের সবক দিচ্ছে। ৬ বছর আগে বেগম খালেদা জিয়া ভিশন টুয়েন্টি-থার্টির মাধ্যমে সংস্কারের কথা বলেছেন যে, দুইবারের অধিক কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না, দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ, প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য। শেখ হাসিনা পরবর্তী যে বাংলাদেশ হবে এটাকে মাথায় রেখে খালেদা জিয়া কথাগুলো বলেছেন। এই সংস্কারগুলো দরকার হবে আগামীর বাংলাদেশে।

তিনি আরও বলেন, আজকে তারা সেই কথাগুলো আমাদের বলছে। তারা আবার আমাদের কথাগুলোই বলছে। আবার সংস্কারের সবক দিচ্ছে। এর থেকে দুঃখজনক আর কিছু হতে পারে না।  

বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, বাংলাদেশ যে গর্তের মধ্যে পড়েছে, এখান থেকে যদি বের হতে হয় তাহলে একটা জাতীয় ঐক্য আমাদের গঠন করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতিকে এই গর্ত থেকে বের করতে হবে। 

আমীর খসরু বলেন, অনির্বাচিত সরকার যত বেশি দেশ পরিচালনা করবে, তত বেশি গণবিচ্ছিন্ন সিদ্ধান্ত আসতে থাকবে। সেজন্য নির্বাচনকে বাদ দিয়ে কোনো গণতন্ত্র আসবে না।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

জেলায় জেলায় ঘুরে গ্রাফিতির ১০ হাজার ছবি তুলেছেন মাহমুদুজ্জামান

রংপুরের একটি স্কুলের দেয়ালে গ্রাফিতি দেখে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলেন মোহাম্মদ মাহমুদুজ্জামান। গিলোটিনে একটি পেনসিল; পাশে লেখা ‘মাথা কাটিয়া দিলে লিখিতে পারি আবার’। আবার ঢাকার মিরপুরে বাঙলা কলেজের সামনে একটি গ্রাফিতি দেখে ভালো লাগল সেটির ভাষা। লেখাটি ক্যামেরায় বন্দী করলেন মাহমুদুজ্জামান, ‘মানুষ পানিতে ভিজলে কাপড় বদলায়, ঘামে ভিজলে ভাগ্য বদলায় আর রক্তে ভিজলে ইতিহাস বদলায়’।

গ্রাফিতি আর দেয়াললিখনের ছবি তুলতে তুলতে এমন কত যে শব্দ, বাক্য ও আঁকা দেখে আপ্লুত আর বুঁদ হয়ে ভেবেছেন এসবের গভীরতা। মাহমুদুজ্জামানের কথায়, ‘এত দিন আমরা জানতাম দেয়ালের কান আছে; কিন্তু জেন–জি প্রমাণ করেছে দেয়ালের মুখ আছে।’

মাহমুদুজ্জামান পড়াশোনা করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে। ইতিহাস গবেষণাবিষয়ক যুক্তরাজ্যের সংগঠন রয়্যাল হিস্টোরিক্যাল সোসাইটির অ্যাসোসিয়েট ফেলো তিনি। বাংলাদেশের গৌরবময় ইতিহাস শিশু-কিশোর ও সাধারণের সামনে তুলে ধরতে দুই দশকের বেশি সময় ধরে কাজ করছেন এই সাংবাদিক ও গবেষক।

রংপুরের একটি স্কুলের দেয়ালে গ্রাফিতি

সম্পর্কিত নিবন্ধ