বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের নিয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের প্রাণের উৎসব
Published: 25th, January 2025 GMT
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের নিয়ে বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ‘এসো মিলি সবে প্রাণের উৎসবে’।
শনিবার এই বিশেষ দিনটির আয়োজন করা হয় রাজধানীর বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের খেলার মাঠ প্রাঙ্গণে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান ও ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন ও বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক ইয়াশা সোবহান। এছাড়াও ছিলেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষকসহ আরও অনেক ব্যক্তিবর্গ।
পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর একটি হৃদয়স্পর্শী অডিও-ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে দেখানো হয় বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশনের অসাধারণ যাত্রা। তুলে ধরা হয় কীভাবে এই প্রতিষ্ঠানটি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জীবন পরিবর্তনে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। বসুন্ধরা গ্রুপের বসুন্ধরা টিস্যু-সহ বিভিন্ন উদ্যোগের সহায়তায় প্রতিটি পণ্য থেকে বিক্রিত অর্থের একটি অংশ এ কাজে ব্যয় করে আসছে।
অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল বিপিএলের দল রংপুর রাইডার্সের সঙ্গে কাটানো ওদের একটি সেশন। এই শিশুদের জীবন থেকে অনুপ্রেরণা পায় ক্রিকেটাররা। আয়োজনে মুগ্ধ হয়ে নিজিদের অনুভুতিও সবার সাথে ভাগ করেন নেন তারা।
অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল শিক্ষার্থীদের মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। তারা নাচ, গান এবং নাটকের মাধ্যমে নিজেদের মেধা ও সৃজনশীলতার দ্যুতি ছড়ায়। এই পরিবেশনা সমাজের সেই ভুল ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে, যে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা বোঝা; বরং তারা সমাজের আলোকবর্তিকা।
এ ছাড়াও, শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক ও কল্যাণ কর্মীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে অনুষ্ঠানে ফাউন্ডেশনের অধ্যক্ষ শায়লা শারমিন এবং ইনচার্জ মেজর (অব.
0নিজেদের অভিজ্ঞতা ও চাওয়া-পাওয়ার কথাও জানান উপস্থিত শিক্ষক-অভিভাবকরা, কীভাবে বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশন তাদের সন্তানদের জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে।
দারুণ এক দিন কাটানোর পর সবার প্রত্যাশা, বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশন এভাবে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠনে সবসময় কাজ করে যাবে। এমনভাবেই তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে শিশুদের আত্মবিশ্বাসী ও আত্মনির্ভরশীল হতে উদ্বুদ্ধ করে যাবে।
ঢাকা/এনএইচ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।