বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের নিয়ে বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ‘এসো মিলি সবে প্রাণের উৎসবে’।

শনিবার এই বিশেষ দিনটির আয়োজন করা হয় রাজধানীর বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের খেলার মাঠ প্রাঙ্গণে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান ও ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন ও বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক ইয়াশা সোবহান। এছাড়াও ছিলেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষকসহ আরও অনেক ব্যক্তিবর্গ।

পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর একটি হৃদয়স্পর্শী অডিও-ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে দেখানো হয় বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশনের অসাধারণ যাত্রা। তুলে ধরা হয় কীভাবে এই প্রতিষ্ঠানটি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জীবন পরিবর্তনে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। বসুন্ধরা গ্রুপের বসুন্ধরা টিস্যু-সহ বিভিন্ন উদ্যোগের সহায়তায় প্রতিটি পণ্য থেকে বিক্রিত অর্থের একটি অংশ এ কাজে ব্যয় করে আসছে।

অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল বিপিএলের দল রংপুর রাইডার্সের সঙ্গে কাটানো ওদের একটি সেশন। এই শিশুদের জীবন থেকে অনুপ্রেরণা পায় ক্রিকেটাররা। আয়োজনে মুগ্ধ হয়ে নিজিদের অনুভুতিও সবার সাথে ভাগ করেন নেন তারা।

অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল শিক্ষার্থীদের মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। তারা নাচ, গান এবং নাটকের মাধ্যমে নিজেদের মেধা ও সৃজনশীলতার দ্যুতি ছড়ায়। এই পরিবেশনা সমাজের সেই ভুল ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে, যে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা বোঝা; বরং তারা সমাজের আলোকবর্তিকা।

এ ছাড়াও, শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক ও কল্যাণ কর্মীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে অনুষ্ঠানে ফাউন্ডেশনের অধ্যক্ষ শায়লা শারমিন এবং ইনচার্জ মেজর (অব.

) মোহসিনুল করিম বক্তব্য রাখেন। এরপর ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন ইয়াশা সোবহান তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন এবং বিশেষ শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে তার স্বপ্ন ও লক্ষ্য নিয়ে কথা বলেন।

0নিজেদের অভিজ্ঞতা ও চাওয়া-পাওয়ার কথাও জানান উপস্থিত শিক্ষক-অভিভাবকরা, কীভাবে বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশন তাদের সন্তানদের জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে।

দারুণ এক দিন কাটানোর পর সবার প্রত্যাশা, বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশন এভাবে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠনে সবসময় কাজ করে যাবে। এমনভাবেই তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে শিশুদের আত্মবিশ্বাসী ও আত্মনির্ভরশীল হতে উদ্বুদ্ধ করে যাবে।

ঢাকা/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

চ্যাম্পিয়নস লিগ: কোথায় হবে ২০২৮ ও ২০২৯ সালের ফাইনাল

ইউরোপের সেরা ক্লাবগুলোর লড়াই চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল মানেই তো এক বিরাট উৎসব। আর সেই উৎসবের মঞ্চ হতে পারাটাও বিশাল ব্যাপার। উয়েফার এক বিবৃতিতে জানা গেছে, ২০২৮ সালে আবারও চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল হবে বায়ার্ন মিউনিখের মাঠে। তার ঠিক পরের বছর, অর্থাৎ ২০২৯ সালের ফাইনালের আয়োজক হওয়ার দৌড়ে মুখোমুখি লন্ডন স্টেডিয়ামের ওয়েম্বলি ও বার্সেলোনার নবসাজে সজ্জিত ক্যাম্প ন্যু স্টেডিয়াম।

ইউরোপিয়ান ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা উয়েফা গতকাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে যেসব সংস্থা ফাইনাল আয়োজনের আগ্রহ দেখিয়েছে, সেই তালিকা তৈরি হয়েছে। যে তালিকা থেকেই বোঝা যাচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরে যে গুঞ্জন ছিল—নিউইয়র্কে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল হবে, তা অন্তত ২০৩০ সালের আগে হচ্ছে না।

২০২৮ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের আয়োজক হওয়ার জন্য একমাত্র প্রার্থী মিউনিখের আলিয়াঞ্জ অ্যারেনা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘নয়া মানুষ’
  • সুন্দরবনে দুবলার চরে রাস উৎসব শুরু আজ, এবারও নেই মেলার আয়োজন
  • শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
  • ‘মবের’ পিটুনিতে নিহত রূপলাল দাসের মেয়ের বিয়ে আজ
  • এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
  • চ্যাম্পিয়নস লিগ: কোথায় হবে ২০২৮ ও ২০২৯ সালের ফাইনাল
  • ডাইনির সাজে শাবনূর!
  • প্রার্থনার সুরে শেষ হলো ‘ফাতেমা রানীর’ তীর্থোৎসব 
  • ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
  • টগি ফান ওয়ার্ল্ডে উদযাপিত হলো হ্যালোইন উৎসব