বাংলাদেশ-ভারত সেক্টর কমান্ডারদের পতাকা বৈঠক
Published: 26th, January 2025 GMT
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বিপরীতে ভারতের কুচবিহার জেলার অভ্যন্তরে বিজিবি এবং বিএসএফের মধ্যে সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এই পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে রংপুর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল সাব্বির আহম্মেদ এবং ভারতের পক্ষে কুচবিহার সেক্টরের ডিআইজি গুরজান্ট সিং ধাওয়াল নেতৃত্ব দেন।
এছাড়াও উক্ত বৈঠকে বিজিবি’র লালমনিরহাট ব্যাটালিয়নের ১৫ জন বিজিবি এবং কুড়িগ্রাম ব্যাটালিয়ন ২২ জন বিজিবির অধিনায়ক এবং বিএসএফ’র ১৪, ৯০, ১৩৮ এবং ১৬২ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্টরা অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে বিজিবি এবং বিএসএফ এর মধ্যে সেক্টর পর্যায়ে সীমান্ত হত্যা কমিয়ে আনার ব্যাপারে উভয় পক্ষ সম্মতি দেন। এছাড়াও সীমান্তে নারী ও শিশু, মাদক পাচার এবং চোরাচালান রোধে যৌথ টহল জোরদার করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এবং সীমান্তে ১৫০ গজের ভিতরে উভয় দেশে কোন প্রকার স্থাপনা নির্মাণ না করার ব্যাপারে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এ বিষয়ে রংপুর বিজিবি সূত্র নিশ্চিত করেন, খুব সুন্দর পরিবেশে উভয় দেশের প্রতিনিধিদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠক শেষ হয় ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
তেঁতুলিয়া সীমান্তে পুশইনের সময় ভারতীয় নাগরিকসহ আটক ৫
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার পেদিয়াগঞ্জ সীমান্তে পুশইনের সময় পাঁচজনকে আটক করেছে বিজিবি। শনিবার সকালে পেদিয়াগঞ্জ বিওপির সদস্যরা তাদের আটক করে। তাদের তিনজন বাংলাদেশি ও দুইজন ভারতীয় নাগরিক।
বিজিবি জানায়, তেঁতুলিয়া পেদিয়াগঞ্জ বিওপির সীমান্তের মেইন পিলার ৪৩০/২ এস থেকে প্রায় ৭০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গুচ্ছগ্রাম থেকে ভারতের প্রতিপক্ষ ১৩২/পুরোহিতগঞ্জ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা চান্দাপাড়া এলাকা থেকে বিএসএফের পুশইন করা দুইজন নারী ও তিনজন পুরুষকে আটক করে বিজিবির টহলদল।
আটক বাংলাদেশিরা হলেন- যশোরের শার্শা থানার বড় কলোনি গ্রামের মারফত আলীর ছেলে কোরবান গাজী (৩৩), অভয়নগর থানার ডাকহিদিয়া শ্যামলনগর গ্রামের মৃত মকবুল শেখের ছেলে তরিকুল শেখ (৪২) ও নড়াইল সদর থানার গোবরা বাজারের বীরগ্রাম গ্রামের মৃত ঈশ্বর গোপাল চন্দ্র বিশ্বাসের মেয়ে শ্রী বন্দনা রানী বিশ্বাস (৩৭)।
ভারতীয় নাগরিকরা হলেন- মোছা. নাজমা (২৭) এবং মোছা. ফারজানা (২৩)। নাজমা পালঘর জেলার বুড়িগুলি থানার কান্দেওয়ালি গ্রামের ইয়াসিন সরকারের মেয়ে এবং ফারজানা পালঘর জেলার ধানিউ থানার পালঘাট ভাসাই গ্রামের মারফত আলী গাজীর মেয়ে।
আটককৃত ব্যক্তিদের তেঁতুলিয়া মডেল থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।