মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিট করে স্থিতিশীল রাখা, ডলারের যোগান স্বাভাবিক রাখাসহ অনিচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের নীতিসহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে অর্থনীতিতে পুনর্বাসনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে বেশকিছু সুপারিশ জানিয়েছে এফবিসিসিআই। 

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের মতবিনিময় সভায় এসব সুপারিশ তুলে ধরেন এফবিসিসিআইর প্রশাসক মো.

হাফিজুর রহমান।

সভায় ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প-কারখানাকে নীতিসহায়তা প্রদান, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময়জনিত ক্ষতি মোকাবিলায় উদ্যোক্তাদের সহায়তা প্রদান, সময়মত এক্সপোর্ট বিল পরিশোধ, এসএমই এবং কৃষি খাতের জন্য বিশেষ ঋণ সুবিধা সম্প্রসারণসহ দেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এফবিসিসিআই।

এ সময় স্থানীয় শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বজায় রাখতে সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে নিয়ে আসার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানান, আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশ ব্যাংক নিবিড়ভাবে কাজ করছে। অর্থনীতির টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সমর্থন ও সহযোগিতা আহ্বান করেন তিনি।

সভায় এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন, এফবিসিসিআইর সাবেক সহ-সভাপতি আবুল কাশেম হায়দার, সাবেক পরিচালক আব্দুল হক, মো. গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী (খোকন), প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী, বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি এসএম ফজলুল হক উপস্থিত ছিলেন।

এনএফ/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এফব স স ব যবস য়

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির প্রার্থীর তালিকায় নেই তারকারা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে কয়েকজন জনপ্রিয় তারকার মনোনয়ন পাওয়ার গুঞ্জন থাকলেও শেষ পর্যন্ত প্রার্থী তালিকায় তাদের নাম নেই।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭ আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন:

শাহরুখের অজানা এই সাত তথ্য জানেন?

মালয়েশিয়ায় পরীমণির দশ দিন

তবে আলোচনায় থাকা কোনো তারকা প্রার্থী চূড়ান্ত তালিকায় আসেননি। সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন (নীলফামারী–৪), মনির খান (ঝিনাইদহ–৩) ও রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা (সিরাজগঞ্জ–১) মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।

তাদের মধ্যে বেবী নাজনীন ও মনির খানের আসনে যথাক্রমে আবদুল গফুর সরকার ও মেহেদী হাসান মনোনয়ন পেয়েছেন। কনকচাঁপার আসনের প্রার্থী এখনো ঘোষণা হয়নি।

২০১৮ সালের নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ–১ আসন থেকেই বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন কনকচাঁপা। তখন আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। এবারের নির্বাচনে আবারো লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে জানা যায়।

মনির খান ও কনকচাঁপা দুজনই বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাসাসের কেন্দ্রীয় নেতা। এছাড়া দলটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও চলচ্চিত্র অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বলের নামও আলোচনায় ছিল।

উজ্জ্বল বলেন, “দল যদি মনে করে আমার প্রার্থী হওয়া দরকার, আমি প্রস্তুত।”

বিএনপির এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে আপাতত স্পষ্ট—বিনোদন অঙ্গনের জনপ্রিয় মুখগুলো এবারো দলীয় প্রার্থী তালিকার বাইরে থাকছেন।

ঢাকা/রাহাত/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ