বরিশালের বিপক্ষে খুলনার চ্যালেঞ্জিং পুঁজি
Published: 27th, January 2025 GMT
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দিনের প্রথম ম্যাচে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ১৮৭ রানের শক্তিশালী পুঁজি গড়েছে খুলনা টাইগার্স। শুরুতে নাঈম শেখের ফিফটি এবং শেষ দিকে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ১২ বলে ২৭ রানের ঝোড়ো ইনিংসে বড় স্কোর পায় দলটি।
মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে খুলনাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান বরিশালের অধিনায়ক। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত শুরু করে খুলনা টাইগার্স। উদ্বোধনী জুটিতে নাঈম শেখ ও মেহেদী হাসান মিরাজ মিলে তোলেন ৪৭ রান। অধিনায়ক মিরাজ ১৮ বলে ২৯ রান করে আউট হলেও পাওয়ারপ্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে খুলনা তোলে ৫৬ রান।
পাওয়ারপ্লের পরেও নাঈম শেখের ঝোড়ো ব্যাটিং চলতে থাকে। ২৬ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি। তবে ফিফটির পর পরই থেমে যান এই ওপেনার। ২৭ বলে ৫১ রানের দারুণ ইনিংস খেলে দলীয় ৯৯ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। নাঈমের বিদায়ের পর রান তোলার গতি কিছুটা কমে যায় খুলনার। তবে মাঝের ওভারে অ্যালেক্স রস ১৫ বলে ২০ এবং আফিফ হোসেন ধ্রুব ২৭ বলে ৩২ রান করে স্কোরবোর্ড সচল রাখেন। উইলিয়াম বোসিস্তো শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ১৬ বলে ২০ রান যোগ করেন।
শেষের ওভারে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে চ্যালেঞ্জিং স্কোরে পৌঁছে খুলনা। অঙ্কন মাত্র ১২ বলে ২৭ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে দলের স্কোরকে নিয়ে যান ১৮৭ রানে। বরিশালের হয়ে ফাহিম আশরাফ সর্বোচ্চ ২ উইকেট শিকার করেন। এছাড়া জেমস ফুলার, মোহাম্মদ নবী এবং এবাদত হোসেন প্রত্যেকে নেন ১টি করে উইকেট।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব প এল
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকার রাস্তায় টেসলা, রোলস–রয়েস, পোরশেসহ ২৫০০ বিলাসবহুল গাড়ি
রাজধানী ঢাকার রাস্তায় চলে বিশ্বের আলোচিত টেসলা গাড়ি। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) থেকে ছয়টি টেসলা গাড়ির নিবন্ধন নেওয়া হয়েছে। শুধু টেসলা নয়; রোলস-রয়েস, ফেরারি, বেন্টলি, পোরশের মতো বিলাসবহুল অভিজাত গাড়ি এখন ঢাকার রাস্তার বুক চিড়ে চড়ে বেড়ায়।
অন্যদিকে রেঞ্জ রোভার, বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ বেঞ্জের মতো অভিজাত গাড়িও ঢাকার রাস্তায় অহরহ দেখা যায়। এ গাড়িগুলো যেন দেশের ধনীদের আভিজাত্যের প্রতীক হয়ে গেছে।
সব মিলিয়ে দেশে এখন আড়াই হাজারের বেশি এমন বিলাসবহুল ও দামি গাড়ি আছে। এই গাড়িগুলোর দাম ১ কোটি থেকে ১২ কোটি টাকা। দেশের একশ্রেণির অতিধনী ব্যবসায়ীরা এসব বিলাসবহুল গাড়ি চালান।
গাড়ি ব্যবসায়ীরা জানান, এমন বিলাসবহুল দামি গাড়ির গ্রাহকের সংখ্যা দেড় থেকে দুই হাজারের মতো। কেউ কেউ একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছেন।
দেশে বিলাসবহুল গাড়ির মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় মার্সিডিজ বেঞ্জ, বিএমডব্লিউ ও আউডি (অনেকে অডি বলেন) ব্র্যান্ডের গাড়ি। রাজধানীর ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রামের রাস্তায় এমন দামি গাড়ি মাঝেমধ্যে দেখা যায়।
এক দশক আগেও রাস্তায় বিলাসবহুল গাড়ি অনেক কম দেখা যেত। গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, বারিধারা ও বসুন্ধরার মতো অভিজাত এলাকায় এখন প্রায়ই দেখা মিলে রেঞ্জ রোভার, মার্সিডিজ ও বিএমডব্লিউর মতো বিলাসবহুল গাড়ি। সাধারণত রাতের দিকে অভিজাত এলাকায় এমন গাড়ির আনাগোনা বেড়ে যায়। সব মিলিয়ে গত ১০ বছরে আড়াই হাজারের বেশি বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ বছরে দেশে শুধু রোলস-রয়েস ব্র্যান্ডের গাড়ি আমদানি হয়েছে ১২টি। আর গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষে (বিআরটিএ) ৮টি রোলস-রয়েস নিবন্ধিত হয়েছে।
গত জুলাই মাসে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পরে রোলস-রয়েসের ‘স্পেক্টার’ মডেলের গাড়ি। যার দাম ফিচারভেদে প্রায় ১১ থেকে ১২ কোটি টাকা। তখন এই দামি গাড়ি নিয়ে বেশ আলোচনা হয়।
টেসলা ব্র্যান্ডের ‘মডেল এস’ গাড়ি