আ.লীগ নির্বাচনে আসার আগে শেখ হাসিনার বিচার নিশ্চিত করতে হবে: হাসনাত আবদুল্লাহ
Published: 27th, January 2025 GMT
ক্ষমতার লোভ আর সংসদের আসনের লোভ দেখিয়ে তরুণ প্রজন্মকে কেনা যাবে না। শেখ হাসিনা আমাদের কিনতে পারেনি, আওয়ামী লীগ কিনতে পারেনি। এই তরুণ প্রজন্মের সাথে আপনারা বেইমানি না করে বরং জনআকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটানোর চেষ্টা করুন।
সোমবার চুয়াডাঙ্গায় ছাত্র জনতার মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আগামীতে নির্বাচনে আসবে কি আসবে না, রাজনীতি করবে কি করবে না, এসব আলাপ আলোচনা অনেক পরে। তার আগে খুনি হাসিনার বিচার নিশ্চিত করতে হবে, ওবাইদুল কাদের ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া আওয়ামী লীগের কমিটি ধরে বিচার করতে হবে। বিচারের পূর্বে যারা আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে দেখতে চান তাদের বলতে চাই- যারা আমাদের জুলাই গণঅভ্যুত্থান দেখেছেন তাদের হারানোর কিছু নেই। আওয়ামী লীগের নির্বাচনে আসার আলাপ বাদ দিয়ে প্রত্যেক রাজনৈতিক দল থেকে তাদের বিচার নিশ্চিতের আওয়াজ তুলুন।
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ক্ষমতামুখী না হয়ে জনতামুখী হোন। যারা ক্ষমতামুখী হয়েছে তাদের দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে। আপনারা জনতামুখী হলে তরুণ প্রজন্মের সঙ্গ পাবেন।
পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশ্যে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, শেখ হাসিনার পথ অনুসরণ করার দরকার নেই, ক্ষমতা কাঠামোকে অনুসরণ করার দরকার নেই। আপনার যদি রাজনৈতিক দলের দালালি করেন, তাহলে হারুন-বেনজীরের মতো দেশ ছেড়ে পালাতে হবে।
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সেলের সদস্য মোল্লা ফারুক এহসান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম।
এতে সভাপতিত্ব করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির আহ্বায়ক আসলাম অর্ক। সভা পরিচালনা করেন সদস্য সচিব সাফফাতুল ইসলাম।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুর গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা, নির্বাচনী আচরণবিধির সংশোধন চায় ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা এবং নির্বাচনী আচরণবিধি সংশোধনে নির্বাচন কমিশনকে স্মারকলিপি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের কাছে এ স্মারকলিপি দেন ছাত্রদলের নেতারা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘আসন্ন জকসু নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন গোষ্ঠী জকসু সংবিধি এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য দায়বদ্ধ। ন্যায্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিতে আমাদের অনুরোধ, ভোটার তালিকা প্রকাশের সময় প্রত্যেক ভোটারের ছবিসহ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং স্বচ্ছ, নাম্বারযুক্ত ব্যালট বক্স রাখা আবশ্যক।’
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ব্যালট ছাপার সংখ্যা, ভোট প্রদানকারীর সংখ্যা এবং নষ্ট ব্যালটের তথ্য প্রকাশ করতে হবে। মিডিয়া ট্রায়াল বা ভুল তথ্য প্রচার হলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কেন্দ্র থেকে সরাসরি ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার অনুমোদিত সব মিডিয়াকে নির্বাচনকালীন সময়ে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ডাকসুর তফসিল ঘোষণার ৪১ দিন, চাকসুর ৪৪ দিন, রাকসুর ৮০ দিন এবং জাকসুর তফসিল ঘোষণার ৩১ দিন পর নির্বাচন হয়েছে। যেহেতু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়, তাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। এ ছাড়া বাকি চার বিশ্ববিদ্যালয়ের তফসিল ঘোষণার সময় ও নির্বাচনের মধ্যবর্তী পার্থক্য বিবেচনা করে জকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করতে হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতে সুষ্ঠু একটা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়, এজন্য ছাত্রদল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। আশা করছি, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন আমাদের দাবিগুলো মেনে নেবে।’