শায়েস্তাগঞ্জে ইউএনও’র নম্বর হ্যাক করে টাকা দাবি
Published: 27th, January 2025 GMT
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পল্লব হোম দাসের সরকারি মোবাইল ফোনের নম্বর হ্যাক করে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন লোকের কাছে টাকা চাওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় অজ্ঞাতনামা প্রতারক হোয়াটসঅ্যাপে বিভিন্ন লোককে ০১৮৭১৬৩০০৬৩ বিকাশ নম্বর দিয়ে ম্যাসেজের মাধ্যমে টাকা চাইছিল। এক পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি জানতে পারেন।
পরে ইউএনও পল্লব হোম দাস তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ০১৭৩০৩৩১১৩৮ নম্বরটি পুনরুদ্ধার করেন। নিরাপত্তার স্বার্থে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এ ব্যাপারে বিভ্রান্তি না হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আরো পড়ুন:
রাষ্ট্রদূতের ছেলে পরিচয়ে প্রতারণা, সিলেটে যুবক গ্রেপ্তার
বগুড়ায় পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষায় প্রতারণা, গ্রেপ্তার ১৬
ঢাকা/মামুন/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’