‘তারুণ্যের উৎসব’ আয়োজনে ৫০ জেলায় নৃত্যানুষ্ঠান
Published: 28th, January 2025 GMT
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে জানুয়ারি মাসজুড়ে চলছে ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’। সারাদেশে জেলা, বিভাগ এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়ে এসব কর্মসূচি আয়োজিত হচ্ছে। তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের আয়োজনে ২৯ ও ৩১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টায় দেশের ৫০টি জেলায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নৃত্যানুষ্ঠান।
২৯ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় গাইবান্ধা জেলায় নৃত্যানুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় নৃত্যানুষ্ঠান আয়োজিত হবে নারায়ণগঞ্জ, ফেনী, নড়াইল, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুষ্টিয়া, বরগুনা, খুলনা, গাজীপুর, শরীয়তপুর, নেত্রকোনা, বগুড়া, নীলফামারী, লক্ষ্মীপুর, ঝিনাইদহ, হবিগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও, খাগড়াছড়ি, নওগাঁ, ঝালকাঠি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রংপুর, বরিশাল ও চট্টগ্রাম জেলায়।
৩১ জানুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় মুন্সীগঞ্জ, নোয়াখালী, যশোর, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, রাজশাহী, পটুয়াখালী, সাতক্ষীরা, ময়মনসিংহ, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, মাগুরা, মৌলভীবাজার, বান্দরবান, চাঁদপুর, লালমনিরহাট, পঞ্চগড়, রাঙামাটি, জয়পুরহাট, শেরপুর, পিরোজপুর, সুনামগঞ্জ ও নরসিংদী জেলায় নৃত্যানুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিতব্য নৃত্যানুষ্ঠানগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।
কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।
এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।
অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।
একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।
যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’