Samakal:
2025-11-03@19:30:54 GMT

যত্নে থাকুক শখের চুড়ি

Published: 28th, January 2025 GMT

যত্নে থাকুক শখের চুড়ি

‘চুড়ি দিও গো মোরে শ্যাম, রাঙা চুড়ি দিও গো।
তোমার রাঙা চরণে সেথা বাজবে রাঙা রূপকথা’– কাজী নজরুল ইসলাম
দু’হাত ভর্তি চুড়ির রিনিঝিনি আওয়াজ যেন বাঙালি নারীর হৃদয়াবেগেরই প্রতিধ্বনি। শখের চুড়ির ভাঙা টুকরোগুলোও নারীরা গভীর মমতায় যত্নে রেখে দেন। চুড়ি শুধু অলংকার নয়, এটি নারী হৃদয়ের আবেগ, ভালোবাসা আর স্মৃতির আধার। আধুনিকতার ছোঁয়ায় জীবন যান্ত্রিক হলেও বাংলার নারীর কাছে চুড়ির কদর এক বিন্দুও কমেনি। সাজগোজ শেষে দু’হাত ভর্তি চুড়ি না পরলে সাজটাই যেন অসম্পূর্ণ রয়ে যায়। 
আধুনিক নারীর কাছে এখনও সবচেয়ে প্রিয় অলংকার হিসেবে কাচের চুড়িই সমাদৃত। যান্ত্রিকতা যেন এ আবেগকে একটুও কেড়ে নিতে পারেনি। চুড়ির দাম যেমনই হোক, প্রিয়জনের দেওয়া একগুচ্ছ কাচের চুড়িতেই যেন ভালোবাসা লেপ্টে থাকে আর নারীরা এ ভালোবাসার উপহার সযতনে রেখে দেন। 
বর্তমান যুগে ফ্যাশনসচেতন শৌখিন নারীর প্রবল আগ্রহ বাড়ছে নান্দনিকতায়। তাই তো কাচের চুড়িতে বাহারি রং আর ডিজাইনে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে নান্দনিকতার ছোঁয়া । 
কালের স্রোতে বয়ে চলা রেশমি চুড়ি, জয়পুরি চুড়ি, ঢাকাই চুড়ির পাশাপাশি সমানভাবে স্থান করে নিয়েছে চৌকো, ত্রিকোণ, ডিম্বাকৃতির প্লাস্টিক ও মেটাল চুড়ি। কাঠ, সুতা, মাটি, রাবার, পুঁতি, পাথর, সিটি গোল্ডসহ বিভিন্ন ধরনের চুড়িও বৈচিত্র্য বাড়িয়ে দিচ্ছে। 
শৌখিন নারীরা এখন শাড়ির পাশাপাশি ফতুয়া, সালোয়ার-কামিজ, লং স্কার্ট এবং ওয়েস্টার্ন পোশাকের সঙ্গেও সামঞ্জস্য রেখে চুড়ি পরেন। শখের চুড়িগুলো যাতে সযতনে অনেক দিন থেকে যায় সে জন্য জানা প্রয়োজন কীভাবে আপনার শখের চুড়িগুলো যত্নে রাখবেন। 
চলুন জেনে নিই কীভাবে যত্নে থাকবে শখের চুড়ি।
ব্যবহারের পর বাতাসে উন্মুক্ত করে রাখুন: যে কোনো ধরনের চুড়ি ব্যবহারের পর বাড়িতে এসে সুতির নরম কাপড় দিয়ে মুছে বাতাসে উন্মুক্ত করে রাখুন। এতে চুড়িতে লেগে থাকা ঘাম শুকিয়ে যাবে এবং চুড়ির ঔজ্জ্বল্য ঠিক থাকবে। 
যে কোনো চুড়ি সংরক্ষণের উপায়: বাঙালি নারীর শখের চুড়ি সংরক্ষণের জন্য চুড়ির আলনা আবহমানকাল ধরেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বর্তমানের আধুনিক যুগে চুড়ি সংরক্ষণের জন্য নারীরা ব্যবহার করেন বাহারি ডিজাইনের চুড়ির বাক্স বা কৌটা। যেখানে যত্নে থাকে শখের চুড়িগুলো। 
মেটাল ও পাথরের চুড়ি সংরক্ষণের উপায়: সংরক্ষণের জন্য পরিষ্কার নরম সুতি কাপড়ে চুড়িগুলো মুড়িয়ে রাখুন। 
চুড়িগুলো আলাদা করে রাখুন: চুড়িগুলো একসঙ্গে রাখলে ঘষা লেগে স্ক্র্যাচ পড়তে পারে। বিভিন্ন ধরনের চুড়ি আলাদা আলাদা কৌটায় বা বাক্সে রাখুন। যদি কাচের বা মেটালের চুড়ি হয়, সেগুলো নরম কাপড়ে মোড়ানো উচিত।
শুকনো জায়গায় রাখুন: চুড়ি সংরক্ষণের জায়গা শুকনো ও ঠান্ডা হওয়া উচিত। মনে রাখবেন, আর্দ্রতা মেটালের চুড়ির ক্ষতি করতে পারে এবং কাচের চুড়ি সহজেই ভেঙে যেতে পারে।
অ্যান্টি-টার্নিশ পেপার ব্যবহার করুন: ধাতব চুড়ির রং নষ্ট হওয়া ঠেকাতে অ্যান্টি-টার্নিশ পেপারে মুড়ে রাখুন।
কেমিক্যাল থেকে দূরে রাখুন: চুড়ি ব্যবহারের সময় পারফিউম, লোশন, সাবান বা অন্য কেমিক্যাল থেকে দূরে রাখুন। এগুলোর প্রভাবে চুড়ির রং বা গ্লসিভাব নষ্ট হতে পারে।
খেলাধুলা, সুইমিং বা ভারী কাজের সময় খুলে রাখুন: ভারী কাজ বা খেলাধুলা এবং সুইমিং করার সময় চুড়ি পরা থেকে বিরত থাকুন। এতে চুড়ি ভেঙে যাওয়া বা ক্ষতির ঝুঁকি বেশি। 
নিয়মিত পরিষ্কার করুন: কাচের চুড়ি নরম কাপড় দিয়ে মুছে উজ্জ্বল রাখতে পারেন। ধাতব চুড়ি পরিষ্কার করার জন্য নির্দিষ্ট পলিশ ব্যবহার করুন।
ভ্রমণের সময় সতর্ক থাকুন: ভ্রমণের সময় চুড়ি একটি সেফটি কেসে বা বাক্সে রাখুন। 
এ নিয়মগুলো মেনে চললে আপনার শখের চুড়িগুলো দীর্ঘদিন পর্যন্ত নতুনের 
মতো থাকবে। v

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবহ র র জন য র কর ন র সময়

এছাড়াও পড়ুন:

জকসুর গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা, নির্বাচনী আচরণবিধির সংশোধন চায় ছাত্রদল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা এবং নির্বাচনী আচরণবিধি সংশোধনে নির্বাচন কমিশনকে স্মারকলিপি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের কাছে এ স্মারকলিপি দেন ছাত্রদলের নেতারা।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘আসন্ন জকসু নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন গোষ্ঠী জকসু সংবিধি এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য দায়বদ্ধ। ন্যায্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিতে আমাদের অনুরোধ, ভোটার তালিকা প্রকাশের সময় প্রত্যেক ভোটারের ছবিসহ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং স্বচ্ছ, নাম্বারযুক্ত ব্যালট বক্স রাখা আবশ্যক।’

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ব্যালট ছাপার সংখ্যা, ভোট প্রদানকারীর সংখ্যা এবং নষ্ট ব্যালটের তথ্য প্রকাশ করতে হবে। মিডিয়া ট্রায়াল বা ভুল তথ্য প্রচার হলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কেন্দ্র থেকে সরাসরি ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার অনুমোদিত সব মিডিয়াকে নির্বাচনকালীন সময়ে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ডাকসুর তফসিল ঘোষণার ৪১ দিন, চাকসুর ৪৪ দিন, রাকসুর ৮০ দিন এবং জাকসুর তফসিল ঘোষণার ৩১ দিন পর নির্বাচন হয়েছে। যেহেতু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়, তাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। এ ছাড়া বাকি চার বিশ্ববিদ্যালয়ের তফসিল ঘোষণার সময় ও নির্বাচনের মধ্যবর্তী পার্থক্য বিবেচনা করে জকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করতে হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতে সুষ্ঠু একটা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়, এজন্য ছাত্রদল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। আশা করছি, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন আমাদের দাবিগুলো মেনে নেবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ