৮ মাসের বেতন নিয়ে ফেডারেল কর্মীদেরকে পদত্যাগের প্রস্তাব ট্রাম্পের
Published: 29th, January 2025 GMT
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই সরকারি ব্যয় কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন। তারই অংশ হিসেবে এবার ফেডারেল কর্মীদের স্বেচ্ছায় পদত্যাগের জন্য আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন মার্কিন সরকারের আকার ও ব্যয় কমানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০ লাখ বেসামরিক ফেডারেল কর্মীদের জন্য স্বেচ্ছা পদত্যাগ প্যাকেজ চালু করেছে।
আরো পড়ুন:
ট্রাম্পের ফেডারেল অনুদান ও ঋণ বন্ধের আদেশ আটকে গেল আদালতে
ট্রাম্পের দাবি মেনে নিল কলম্বিয়া
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) মার্কিন প্রশাসন তাদের লাখ লাখ কর্মীর কাছে ইমেইলে এই প্রস্তাব পাঠিয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, কর্মীদের ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তারা ‘পদত্যাগ প্রোগ্রামে’ অংশ নিতে চান কিনা। যদি তারা এই তারিখের মধ্যে পদত্যাগ করতে সম্মত হন, তাহলে তাদের প্রায় ৮ মাসের বেতন এককালীন প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া হবে।
ট্রাম্প প্রশাসন আশা করছে, প্রায় ১০ শতাংশ কর্মী এই প্রস্তাব গ্রহণ করবেন, যা প্রায় ২ লাখ কর্মীর সমান। মার্কিন সরকারে বর্তমানে ২০ লাখেরও বেশি কর্মী কাজ করছেন। ট্রাম্পের সিনিয়র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সরকার প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করতে পারবে।
যেসব কর্মী এই প্রস্তাব গ্রহণ করতে চান, তাদের ইমেইলের সাবজেক্ট লাইনে ‘রিজাইন’ লিখে রিপ্লাই করতে বলা হয়েছে। এই প্রস্তাবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেতন ও অন্যান্য সুবিধা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সরকারের মানবসম্পদ সংস্থা অফিস অব পার্সোনেল ম্যানেজমেন্টের বার্তায় কর্মীদের ভবিষ্যতে ছাঁটাইয়ের বিষয়ে সতর্ক করেছে, যা তাদের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে যারা থাকতে চান।
অফিস অব পার্সোনেল ম্যানেজমেন্ট তাদের কর্মীদের কাছে পাঠানো বার্তায় বলেছে, “আপনার পদ বা সংস্থার নিশ্চিততা সম্পর্কে আমরা আপনাকে পূর্ণ নিশ্চয়তা দিতে পারি না। তবে আপনার পদ বাতিল করা হলে আপনার সঙ্গে মর্যাদার সাথে আচরণ করা হবে।”
পোস্টাল কর্মী, সামরিক বাহিনীর সদস্য, ইমিগ্রেশন অফিসার এবং কিছু জাতীয় নিরাপত্তা কর্মীদের এই প্রস্তাবের বাইরে রাখা হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণার সময় সরকারের আকার ও ফেডারেল ব্যয় কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর ম দ র পদত য গ ল কর ম সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত পিলার ২৫৬/৭ এস কাছ দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হলে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং আটজন নারী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।
আরো পড়ুন:
গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ
আটকরা হলেন—আছমা বেগম (৪০), খাদিজা বেগম (৩৪), পাখি বেগম (২৪), রুমা বেগম (২৫), কাকলি আক্তার (২৭), রুজিনা আক্তার (৩৩), কোহিনুর বেগম (২৬), নাসরিন বেগম (৩৩), মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬), সুমন হোসেন (২৭)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।
বিজিবি জানিয়েছে, আগ্রাদ্বিগুন বিওপির টহল কমান্ডার জেসিও সুবেদার মো. জিহাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মহেষপুরে ওই ১০ জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। মুম্বাই শহরে পুরুষ দুজন রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং নারী আটজন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে তাদেরকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। গত ২৯ জুলাই ভারতের হরিবংশীপুর বিএসএফ ক্যাম্পে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিএসএফ ওই ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলে বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা/সাজু/রফিক