রূপগঞ্জে আবাসন কোম্পানির নামে জবর দখলে বাঁধা, হামলা, লুটপাট
Published: 29th, January 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পূর্বাচল মেগা সিটি নামের অবৈধ আবাসন কোম্পানি জমি না কিনেই বসত ঘর ও ফসলি জমি দখল ও নিজেদের দাবী করার প্রতিবাদ করায় নিরীহ বাসিন্দাদের উপর হামলা করে ৪ জনকে কুপিয়ে জখম, বাড়ি ঘরে লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার পলখান গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার ভুক্তভোগী ও রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগকারী বাদী মামুন শেখ জানান, দাউদপুরের পলখান এলাকায় তাদের বসত ভিটা ও ফসলি জমি মেগা সিটির নামে নিজেদের সাইনবোর্ডে দিয়ে দখলে নেয়ার প্রতিবাদ করার একই এলাকার বাছিরের ছেলে তুহিন( ৩২), ছমির উদ্দিনের ছেলে রিয়াদ ও নাহিদ, ওহাদ আলীর ছেলে বাবুল, আব্দুর রহমানের ছেলে মাছুমসহ ফয়সাল,সোহাগ,মানিকসহ ২০/৩০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাড়িতে প্রবেশ করে হামলা ও লুটপাট করতে থাকে। এতে বাঁধা দিলে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ভাই মোশাররফ,মাসুমসহ একই পরিবারের ৪জনকে গুরুতর আহত করে। এ সময় মসজিদদের মাইকে হামলার ঘটনা জানালে গ্রামবাসি এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় প্রথমে ৯৯৯ এ কল দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ পরিদর্শন করেন। পরে এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সংশ্লিষ্ট সদস্য শাহীন আকন্দ মুঠোফোনে জানান, ঘটনাটি পূর্ব শত্রুতার জের ও রাজনৈতিক গ্রুপিং দ্বন্দ্বে ঘটেছে। উভয় পক্ষের হামলার ঘটনায় দু পক্ষেরই আহতের ঘটনা রয়েছে। আমাদের ৩ জন আহত হয়েছে।
দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি লিয়াকত আলী বলেন, ঘটনা তদন্ত চলছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র পগঞ জ এ ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
গণভোট নিয়ে মতভেদে উপদেষ্টা পরিষদের উদ্বেগ
জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুতত সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়। যদিও এর আগেই এক সংবাদ সম্মেলনে এমন কথায় জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
প্রেস উইং জানায়, জাতীয় ঐক্যমত কমিশন থেকে প্রণীত জুলাই সনদ এবং এর বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য স্থাপনের প্রচেষ্টার জন্য এবং বহু বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলির প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।
এতে বলা হয়, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) আদেশ চূড়ান্তকরণ এবং এতে উল্লেখিত গণভোট আয়োজন ও গণভোটের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করা হয়। এতে লক্ষ্য করা হয় যে, ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘদিন আলোচনার পরও কয়েকটি সংস্কারের সুপারিশ বিষয়ে ভিন্ন মত রয়েছে। এছাড়া, গণভোট কবে অনুষ্ঠিত হবে ও এর বিষয়বস্তু কী হবে এসব প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে সে জন্য সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে গণভোটের সময় কখন হবে, গণভোটের বিষয়বস্তু কী হবে, জুলাই সনদে বর্ণিত ভিন্নমতগুলো প্রসঙ্গে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা নিয়ে ঐক্যমত কমিশনের প্রস্তাবগুলোর আলোকে জরুরী ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে সভা অভিমত ব্যক্ত করে।
এসব ক্ষেত্রে ফ্যসিবাদবিরোধী আন্দোলনের দীর্ঘদিনের মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে স্বীয় উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে দ্রুততম সময়ে ( সম্ভব হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে) সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা প্রদান করার আহ্বান জানানো হয়। এমন নির্দেশনা পেলে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনেক সহজ হবে। বলেও উল্লেখ করা হয়। পরিস্থিতিতে কালক্ষেপণের যেকোনো সুযোগ নাই সেটাও সবার বিবেচনায় রাখার জন্য বলা হয়।
সভায় ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্থে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা না পেলে কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরা আলাপ-আলোচনা করে এই বিষয়েও আমাদের একটি ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা দেবে—এ প্রত্যাশা করছি। ওনারা যদি আলাপ-আলোচনা করেন, আমাদের জন্য কাজটি অত্যন্ত সহজ হয়। ওনারা যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, অবশ্যই সরকার সরকারের মতো সিদ্ধান্ত নেবে।”
ঢাকা/ইভা