প্রবাত জয়সুরিয়ার বলটা কাভারের দিকে ঠেলে ১ রানের জন্য জায়গা পরিবর্তন করলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার উসমান খাজা। এরপর স্বস্তির নিঃশ্বাস ছেড়ে ব্যাট উঁচু করে সতীর্থদের অভিবাদনের জবাব দিলেন। ক্যারিয়ারের প্রথম দ্বিশতক বলে কথা। ছাড়িয়ে গেলেন ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করা ক্যারিয়ারের আগের সর্বোচ্চ ১৯৫ রান।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি, ২০২৫) দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে এই কীর্তি গড়লেন খাজা। এই ৩৮ বছর বয়সী ব্যাটসম্যানের পূর্বে কোন অজি দ্বিশতকের দেখা পাননি  রাবণের দেশে।

আজ সফরকারীরা ২ উইকেটে ৩৩০ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করে। খাজা ১৪৭ রান নিয়ে আগের দিন অপরাজিত ছিলেন। খাজা ও স্টিভেন স্মিথ তাদের আগের দিনের অবিচ্ছিন্ন ১৯৫ রানের জুটিকে টেনে নিয়ে যান ২৬৬ পর্যন্ত। যা এশিয়ার মাটিতে অজিদের সর্বোচ্চ। এই জুটি আজ পেছনে ফেলেছেন ১৯৭৯ সালে চেন্নাইয়ে ভারতের বিপক্ষে অ্যালেন বোর্ডার ও কিম হিউজেসের গড়া ২২২ রানের জুটিকে।

আরো পড়ুন:

বাঁচা-মরার লড়াইয়ে রংপুরের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে খুলনা

বিপিএলে দল কমানোসহ সূচি পরিবর্তনের প্রস্তাব তামিমের 

স্মিথ ১৪১ রান করে জেফরি ভ্যানডারসের বলে থামলেও, ঠিকই রানের চাকা সচল রেখেছিলেন খাজা। 
এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৩ উইকেটের বিনিময়ে ৫৪৭ রান। খাজা অপরাজিত আছেন ৩৫১ বলে ২৩২ রান করে। অন্যদিকে জস ইগলিশের ৭৯ বলে ৮৭ রানের ঝড় তুলে ক্রিজে আছেন।    
 

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উসম ন খ জ

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকার রাস্তায় টেসলা, রোলস–রয়েস, পোরশেসহ ২৫০০ বিলাসবহুল গাড়ি

রাজধানী ঢাকার রাস্তায় চলে বিশ্বের আলোচিত টেসলা গাড়ি। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) থেকে ছয়টি টেসলা গাড়ির নিবন্ধন নেওয়া হয়েছে। শুধু টেসলা নয়; রোলস-রয়েস, ফেরারি, বেন্টলি, পোরশের মতো বিলাসবহুল অভিজাত গাড়ি এখন ঢাকার রাস্তার বুক চিড়ে চড়ে বেড়ায়।

অন্যদিকে রেঞ্জ রোভার, বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ বেঞ্জের মতো অভিজাত গাড়িও ঢাকার রাস্তায় অহরহ দেখা যায়। এ গাড়িগুলো যেন দেশের ধনীদের আভিজাত্যের প্রতীক হয়ে গেছে।

সব মিলিয়ে দেশে এখন আড়াই হাজারের বেশি এমন বিলাসবহুল ও দামি গাড়ি আছে। এই গাড়িগুলোর দাম ১ কোটি থেকে ১২ কোটি টাকা। দেশের একশ্রেণির অতিধনী ব্যবসায়ীরা এসব বিলাসবহুল গাড়ি চালান।

গাড়ি ব্যবসায়ীরা জানান, এমন বিলাসবহুল দামি গাড়ির গ্রাহকের সংখ্যা দেড় থেকে দুই হাজারের মতো। কেউ কেউ একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছেন।

দেশে বিলাসবহুল গাড়ির মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় মার্সিডিজ বেঞ্জ, বিএমডব্লিউ ও আউডি (অনেকে অডি বলেন) ব্র্যান্ডের গাড়ি। রাজধানীর ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রামের রাস্তায় এমন দামি গাড়ি মাঝেমধ্যে দেখা যায়।

এক দশক আগেও রাস্তায় বিলাসবহুল গাড়ি অনেক কম দেখা যেত। গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, বারিধারা ও বসুন্ধরার মতো অভিজাত এলাকায় এখন প্রায়ই দেখা মিলে রেঞ্জ রোভার, মার্সিডিজ ও বিএমডব্লিউর মতো বিলাসবহুল গাড়ি। সাধারণত রাতের দিকে অভিজাত এলাকায় এমন গাড়ির আনাগোনা বেড়ে যায়। সব মিলিয়ে গত ১০ বছরে আড়াই হাজারের বেশি বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি হয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ বছরে দেশে শুধু রোলস-রয়েস ব্র্যান্ডের গাড়ি আমদানি হয়েছে ১২টি। আর গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষে (বিআরটিএ) ৮টি রোলস-রয়েস নিবন্ধিত হয়েছে।

গত জুলাই মাসে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পরে রোলস-রয়েসের ‘স্পেক্টার’ মডেলের গাড়ি। যার দাম ফিচারভেদে প্রায় ১১ থেকে ১২ কোটি টাকা। তখন এই দামি গাড়ি নিয়ে বেশ আলোচনা হয়।

টেসলা ব্র্যান্ডের ‘মডেল এস’ গাড়ি

সম্পর্কিত নিবন্ধ