দ্বিতীয় প্রান্তিকে মুনাফার খবরে দরবৃদ্ধির শীর্ষে এনার্জিপ্যাক
Published: 30th, January 2025 GMT
দ্বিতীয় প্রান্তিকে মুনাফা করার খবরে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ারদর গতকাল সাড়ে ৯ শতাংশ বেড়েছে। ছিল দরবৃদ্ধির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে। প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে গতকাল বৃহস্পতিবার এ কোম্পানির শেয়ার সর্বশেষ ১৩ টাকা ৭০ পয়সায় কেনাবেচা হয়েছে। সার্কিট ব্রেকার অনুযায়ী যা ছিল গতকাল কোম্পানির অনুমোদিত সর্বোচ্চ দর।
প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশনের গত অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে সাড়ে ১৬ কোটি টাকা কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে। এতে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮৭ পয়সা। গত হিসাব বছরের একই সময়ে নিট মুনাফা ছিল ৬৯ লাখ টাকা, আর ইপিএস ছিল মাত্র ৪ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে মুনাফা বাড়লেও ৬ মাসের হিসাবে এখনও লোকসানে কোম্পানিটি। গত জুলাই-ডিসেম্বর সময়কালে কোম্পানির কর-পরবর্তী নিট লোকসান ১৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরের ওই ছয় মাসে মুনাফা ছিল ১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানি নিট ৩৫ কোটি টাকা লোকসান করে।
এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ারদর পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত এক মাসের বেশি সময় ধরে শেয়ারটির দর ১২ থেকে ১৩ টাকার মধ্যে স্থির ছিল। দ্বিতীয় প্রান্তিকের মুনাফা বৃদ্ধির খবরে উল্লেখযোগ্য হারে দর বেড়েছে। এই দরবৃদ্ধির ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে সাম্প্রতিক সময়ের স্বল্পমূল্যের শেয়ারগুলোর দরের বড় উল্লম্ফন। গতকালও দরবৃদ্ধির শীর্ষে ছিল খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং কোম্পানির শেয়ার। সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ারটি গতকাল ২৬ টাকা ৪০ পয়সায় কেনাবেচা হয়েছে। অথচ বহু বছর ধরে বন্ধ এ কোম্পানির শেয়ার গত ২২ ডিসেম্বরও মাত্র ৭ টাকা দরে কেনাবেচা হয়েছিল।
বাজার সংক্ষেপ
গতকাল ঢাকার শেয়ারবাজারে অধিকাংশ শেয়ার দর হারিয়েছে। তবে বাজারটির প্রধান মূল্য সূচক আগের দিনের অবস্থানেই থেকেছে। এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে ব্যাংক খাতের শেয়ারদর বৃদ্ধি।
গতকাল ডিএসইতে ১২০ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দরবৃদ্ধির বিপরীতে ২১৯টি দর হারিয়েছে এবং অপরিবর্তিত ছিল ৫৫টির। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় মাত্র শূন্য দশমিক ৩৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫১১২ দশমিক ৯০ পয়েন্টে উঠেছে।
পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ব্যাংক এবং টেলিযোগাযোগ ছাড়া বাকি সব খাতের দর কমেছে। ব্যাংক খাতের ৩৬ কোম্পানির মধ্যে ২৫টির দর বেড়েছে এবং কমেছে ৫টির। এতে সূচকে যোগ হয়েছে ১৩ পয়েন্ট। বুধবারের তুলনায় শেয়ার কেনাবেচার পরিমাণ পৌনে ৭৬ কোটি টাকা বেড়ে ৩৮৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আগামী সরকারের মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনার অতি আগ্রহের কারণ কী, প্রশ্ন টিআইবির
অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বাতিল করে দেওয়ার পরও আগামী নির্বাচিত সরকারের মন্ত্রীদের জন্য বাড়তি দামে বিলাসবহুল গাড়ি কিনতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতি আগ্রহ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে এ ধরনের কেনাকাটায় অতি আগ্রহের কারণ অনুসন্ধানও জরুরি বলে মনে করছে সংস্থাটি।
টিআইবি বলছে, সমালোচনার মুখে প্রথম দফায় গাড়ি কেনার প্রস্তাব নাকচ হওয়ার পর আবারও আগের চেয়ে তুলনামূলক বেশি দামে গাড়ি কেনার অভিনব প্রস্তাব উত্থাপন বিগত কর্তৃত্ববাদী সরকারের আমলের মতোই একশ্রেণির আমলাদের পরবর্তী সরকারের সম্ভাব্য মন্ত্রীদের প্রতি অতি উৎসাহী তোষামোদি আচরণের ন্যক্কারজনক পুনরাবৃত্তি।
আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলে সংস্থাটি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এক শ্রেণির অতি উৎসাহী স্বার্থান্বেষী তোষণপ্রবণ আমলাদের প্রস্তাব অনুযায়ী গাড়ি কেনার এ সিদ্ধান্ত অনভিপ্রেত ও অগ্রহণযোগ্য। যা সুবিধাবাদী আমলাদের প্রভাববলয় প্রতিষ্ঠার যে চর্চাকে পতিত সরকারের আমলে স্বাভাবিকতায় পরিণত করা হয়েছিল, তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার বিব্রতকর ও আত্মঘাতী উদাহরণ।’ এ ধরনের সিদ্ধান্তকে অবিবেচনাপ্রসূত উল্লেখ করে ভবিষ্যৎ মন্ত্রীদের গাড়ি কেনার প্রস্তাব বাতিল করার দাবিও জানান তিনি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, আইন অনুযায়ী একজন মন্ত্রী সরকারিভাবে সার্বক্ষণিক একটি গাড়ি ব্যবহারের সুযোগ পেয়ে থাকেন। বিগত সময়ে মন্ত্রীরা এবং বর্তমানে উপদেষ্টারা গাড়ি ব্যবহার করছেন। হঠাৎ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আইনবহির্ভূতভাবে ভবিষ্যতের মন্ত্রীদের জন্য বিলাসবহুল টয়োটা ব্র্যান্ডের ল্যান্ড ক্রুজার কেনার জন্য উদ্গ্রীব কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। সরকারের এ জাতীয় আগ্রহের পেছনের কারণ অনুসন্ধান করা জরুরি।
অন্তর্বর্তী সরকার গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত অনুমোদন দিলেও তা পরবর্তী সরকারের মন্ত্রীদের কাছে গ্রহণযোগ্য না–ও হতে পারে উল্লেখ করে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সরকারের ব্যয় সংকোচনের নিজস্ব সিদ্ধান্তের পরিপন্থী এ ক্রয়ের মাধ্যমে এমন স্ববিরোধী পথে সরকার কেন যাচ্ছে? এটি কি জবাবদিহিমূলক সরকার ব্যবস্থাসহ রাষ্ট্র সংস্কারে অঙ্গীকারবদ্ধ সরকারের স্ববিরোধী আচরণ বলে বিবেচিত হবে না? এর দায়ভার সরকারের পক্ষ থেকে কে বা কারা নেবেন?’
আরও পড়ুনসংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ গাড়ি কেনা হচ্ছে০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫