তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের অনশন চলছে
Published: 31st, January 2025 GMT
রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন ওই কলেজের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) তিতুমীর কলেজের মূল ফটকের সামনে গিয়ে দেখা গেছে, অনশনরত শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অন্য শিক্ষার্থীরাও সেখানে অবস্থান করছেন।
তিতুমীর ঐক্যর উপদেষ্টা নূর মোহাম্মদ বলেছেন, “গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জয়েন্ট সেক্রেটারি আমাদের কোনো বিষয়ে আশ্বস্ত করতে পারেননি। গত ৫ মাসে ফিজিবিলিটি টেস্টের নামে আমাদের সঙ্গে যে প্রহসন করা হয়েছে, আমরা তার নিন্দা জানাই। আমরা সাত দফা দাবিতে অনড়।”
নতুন কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমাদের এই অনশন কর্মসূচির ৪১ ঘণ্টা হয়েছে। কিন্তু, আমরা এখনো কোন আশানুরুপ ফল পাই নি। যদি রাষ্ট্রপক্ষ থেকে কোনো বার্তা না আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতির বিষয়ে, পরবর্তী সময়ে আমাদের কর্মসূচি তিতুমীর ঐক্যের অফিসিয়াল পেজে জানিয়ে দেব।”
অনশনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, “সড়ক ছেড়ে দিয়েছি জনদুর্ভোগ কমাতে। আমরা কলেজের মূল ফটকের সামনে অবস্থান করছি। যতক্ষণ না রাষ্ট্র আমাদের যৌক্তিক দাবির মর্যাদা দেয়, ততক্ষণ এ অনশন চালিয়ে যাব।”
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, অনশনরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিতুমীর কলেজের সাত শিক্ষার্থী শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। বাংলা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রানা আহমেদ ও গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম চিকিৎসাধীন আছেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নুরুজ্জামান অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তিনি তাদের অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। তবে, শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
ঢাকা/উম্মে হাফছা/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশিদের বন্দর দেওয়ার সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হবে
নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালসহ চট্টগ্রাম বন্দরের স্থাপনা দেশি বা বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে গণ–অনশন কর্মসূচি পালন করছে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)। আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে শুরু হওয়া অনশন চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
সকালে শতাধিক শ্রমিক প্রেসক্লাব চত্বরে জড়ো হন। একে একে বক্তব্য দেন শ্রমিক সংগঠনের বিভিন্ন নেতা-কর্মী। তাঁরা দাবি করেন, দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব সক্ষমতায় সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এখানে বিদেশি অপারেটরের প্রয়োজন নেই।
স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক রিজওয়ানুর রহমান খান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব ব্যবস্থাপনাতেই ভালোভাবে চলছে। বছরে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি মুনাফা করে এই প্রতিষ্ঠান। এমন একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই। ফলে সরকারকে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে।
কর্মসূচিতে বক্তারা অভিযোগ করেন, লাভজনক প্রতিষ্ঠান হয়েও নিউমুরিং টার্মিনাল ও লালদিয়া চর বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তাঁরা বলেন, চট্টগ্রামের মানুষ কোনোভাবেই এটি সফল হতে দেবে না। বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া মানে দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে খেলা।
অনশন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বাম গণতান্ত্রিক জোট চট্টগ্রাম জেলা পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক শফি উদ্দিন কবির বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার কাউকে না জানিয়ে বিদেশিদের হাতে বন্দর তুলে দেওয়ার চুক্তি করেছিল। বর্তমান সরকারও সেটি পর্যালোচনা না করে বাস্তবায়ন করছে। এটি দেশের মানুষের কাছে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
চট্টগ্রাম বন্দরের চারটি কনটেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগ ও পরিচালনার জন্য বিদেশি অপারেটর নিয়োগ নিয়ে দেশে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। আওয়ামী লীগ সরকারের তৃতীয় মেয়াদে শুরু হওয়া সেই প্রক্রিয়া বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও এগিয়ে নিচ্ছে।
এর আগে গত ২২ অক্টোবর ইজারা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে স্কপ। সমাবেশ শেষে বন্দর এলাকার দিকে মিছিল নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। ওই কর্মসূচি থেকেই আজকের গণ–অনশনের ঘোষণা দেওয়া হয়। ২৭ অক্টোবর ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা।