অনেক অনেক আগের কথা। তখন টিকটিকিটি ছিলো কঠোর পরিশ্রমী। তার ছিলো বিশাল এক তরবারি। ফসল কাটার কাজে ব্যবহার করতো সেই তরববারি। টিকটিকির নির্দেশ খুব ভালোভাবেই পালন করতো তরবারিটি।
অন্যদিকে খরগোশের টিকটিকির মতো তরবারি ছিলো না। সে ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে দেখে, তরবারিটি টিকটিকির জন্য কাজ করছে। এতে তার খুব মন খারাপ হয়। একদিন চুপিচুপি তরবারিটি চুরি করে খরগোশ। তারপর হেসে বলে, তরবারির মালিক এখন আমি। টিকটিকির মতো খরগোশও তরবারিকে নির্দেশ দেয়। তরবারি কাজ শুরু করে। এদিক-সেদিক ঘুরে ফসল কাটে। খরগোশ তাকে থামানোর চেষ্টা করে। পারে না। এর মধ্যে খরগোশের বাড়ি পর্যন্ত চলে আসে। খরগোশ একই নিয়মে বার বার নির্দেশ দিতে থাকে। তরবারি দ্রুত খরগোশের বাড়ি কেটে আরও সামনে এগোতে থাকলো। খরগোশ কোনোভাবেই তাকে থামাতে পারলো না।
টিকটিকি লুকিয়ে সব দেখছিলো। সে দেখছে আর হাসছে। তরবারি চুরি করার সময় খরগোশ নিজেকে খুব বুদ্ধিমান ভেবেছিলো। এখন শীতের দিনে থাকার জন্য, এমনকি খাবারের জন্য খরগোশের কিছুই অবশিষ্ট থাকলো না। তরবারি কেটে সব সাফ করে দিয়েছে।
তখনই খরগোশ টিকটিকিকে চিৎকার করে ডাকে– টিকটিকি, তরবারি থামাও!
খরগোশের একটু আড়ালে গিয়ে তরবারিটিকে থামার নির্দেশ দিলো টিকটিকি। সে থেমে গেলো। তারপর হাসতে হাসতে তরবারি কোলে তুলে বাড়ির পথ ধরলো।
খরগোশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে টিকটিকির চলে যাওয়াটা দেখতে থাকলো!
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রূপগঞ্জে ডাইং কারখানায় গ্যাস বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৪
রূপগঞ্জে মঞ্জু ডাইং অ্যান্ড টেক্সটাইল নামে একটি ডাইং কারখানায় গ্যাসের বিস্ফোরণে চার জন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধদের উদ্ধার করে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ও ১ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তাদের মধ্যে কারখানটির একাউন্টস অফিসার সাইফুল ইসলাম (২০), নিরাপত্তা কর্মী কবির হোসেন (৪৫) ও হান্নান (৫২) এর নাম জানা গেছে।
কারখানায় রাতের নাইট ডিউটি শেষে বৃহস্পতিবার (১ মে) সকাল ৮টার দিকে শ্রমিকরা চলে যাওয়ার ঠিক পরপরই তিতাস গ্যাস সংযোগের আরএমএস রুমে গ্যাসের অতিরিক্ত চাপে বিকট শব্দে একটি দেয়াল ধসে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। এতে দগ্ধ হন তারা।
এদিকে বিস্ফোরণ ও আগুনের তীব্রতায় আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে। তবে কারখানায় দায়িত্বে থাকা টেকনিশিয়ান ও অন্যান্য নিরাপত্তাকর্মীরা দ্রুত গ্যাসের চাবি বন্ধ করে নিজেরাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ বিষয়ে কাঁচপুর ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম জানান, সকাল পৌনে ৯টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই গ্যাসের বাল্প বন্ধ করার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এলাকাবাসী।
এসময় গ্যাস বিস্ফোরণ ৪ জন দ্বগ্ধ হয়েছে এবং তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান ডাইংয়ের দায়িত্বরতরা।
প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে গ্যাস লাইনের ত্রুটি থেকে বিস্ফোরণ ঘটে আগুনের সূত্রপাত হয়। তাৎক্ষণিক ভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।