ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার অভাবে ৪২০ একর জমির চাষাবাদ ব্যাহত
Published: 31st, January 2025 GMT
হাজীগঞ্জে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার অভাবে প্রায় ৪২০ একর কৃষিজমির চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। বিএডিসির সেচ প্রকল্পের মোটর থাকলেও পরিচালনার অভাবে কৃষকের বোরো চাষাবাদে কাজে আসছে না। এ কারণে পানি নিষ্কাশনের সুবিধার্থে পাকা ড্রেনেজ ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন স্কিম ম্যানেজার ও কৃষকরা।
গতকাল শুক্রবার সরেজমিন দেখা গেছে, হাজীগঞ্জ উপজেলার হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের পাতানিশ, নোয়াপাড়া, সাদিপুরা চাঁদপুর ও কচুয়া উপজেলার কালচোঁ গ্রামে ৪২০ একর কৃষিজমি। পানি নিষ্কাশনের জটিলতার কারণে এসব জমির কিছু অংশে দুই ধরনের ফসল উৎপাদনের সুযোগ থাকে। কয়েক বছর ধরে সেচ প্রকল্পে জটিলতা দেখা দিলে অনেক আবাদি জমি চাষাবাদ ছাড়াই পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরই মধ্যে বিএডিসির আওতায় মাঠের কিছু অংশে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলেও ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সঠিকভাবে পানি পাচ্ছে না এখানকার কৃষক। তা ছাড়া গত বছর বিএডিসি পাম্প থেকে পানি না ওঠায় দুর্ভোগে অনেক কৃষক চাষাবাদ করতে পারেনি বলে অভিযোগ রয়েছে।
কৃষক মুকলেছুর রহমান, মেহেরাজ, সবুজ ও মালেক বলেন, চার গ্রামের প্রায় ৪২০ একর আবাদি জমি রয়েছে। আগে এ মাঠ থেকে ব্যাপক ধান উৎপাদন হতো। বর্তমানে পানি নিষ্কাশনের জটিলতা দেখা দেওয়ায় চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে।
স্ক্রিম ম্যানেজার দিদার হোসেন জানান, হাজীগঞ্জ-কচুয়া সীমান্তে পাতানিশ, নোয়াপাড়া, চান্দু, কালচোঁ গ্রামের প্রায় ৪২০ একর কৃষি মাঠ পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাবে বিপাকে রয়েছেন কৃষক। চাষাবাদের সুবিধার্থে গত বছর খননযন্ত্র দিয়ে কোনোমতে ড্রেন চালু করছেন তিনি। পাকা ড্রেন হলে প্রতিবছর এভাবে আর ড্রেন খনন করতে হবে না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সবুজ মিয়ার ভাষ্য, উপজেলা বিএডিসির আওতায় যে সেচের লাইন সরকার দিয়েছে, তা ঠিকমতো কাজ করছে না। ড্রেনেজ ব্যবস্থা পাকাকরণ করা হলে সব কৃষক ঠিকমতো জমিতে পানি পাবেন।
বিএডিসি কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ জানান, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিশাল এ কৃষি মাঠে ড্রেনেজ ব্যবস্থার জন্য চেষ্টা করবেন। সে ক্ষেত্রে কৃষক বা স্কিম ম্যানেজার আবেদনের মাধ্যমে এগিয়ে আসতে হবে।
হাজীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলরুবা খানম বলেন, ‘এ মাঠে দেখা যায়, দক্ষিণ অঞ্চলের ধান কাটার সময় হলে উত্তর অঞ্চলের কৃষক জমিতে ধান রোপণ করেন। তার পরও কৃষকের সুবিধার্থে ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার জন্য সুপারিশ করব।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড র ন জ ব যবস থ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ১০
বরিশালের হিজলায় লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের চাদর বিছানো নিয়ে বিরোধের জেরে সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শৌলা লঞ্চঘাটে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম খালেক মাঝি। তিনি হরিণাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
যাত্রী ও লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, সোমবার সকাল ৮টায় মুলাদীর মৃধারহাট থেকে এমভি জানডা নামক একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চটি ৯টায় হিজলার শৌলা লঞ্চঘাটে ভেড়ে। এ স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে বসার চেষ্টা করেন। এ সময় ডেকে আগে বিছিয়ে রাখা চাদরে জায়গা পেতে যাত্রীপ্রতি এক হাজার টাকা দাবি করেন খালেক ও তাঁর সহযোগীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে যাত্রীদের ওপর হামলা করা হয়। এতে ১০ জন যাত্রী আহত হন। তখন যাত্রীরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালেক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর পাল্টা হামলা করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মাঝি বলেন, লঞ্চের মধ্যে গোলযোগ দেখে তিনি তা থামাতে গিয়েছিলেন। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লঞ্চ কর্মচারী জানিয়েছেন, শৌলা লঞ্চঘাট খালেক মাঝিকে চাঁদা না দিলে সাধারণ যাত্রীরা ডেকে বসতে পারেন না। তারা খালেক মাঝির কাছে অনেকটা জিম্মি।