বাংলালিংক-এর টিভিসি’র মাধ্যমে সবার কাছে পরিচিতি পেয়েছিলেন নিরব। এরপর অসংখ্য বিজ্ঞাপনে তাকে দেখা গেলেও গেল কয়েক বছর ধরে নিরব সিনেমায় মনোযোগী। এবার বিজ্ঞাপনে দেখা গেলো নিরবকে। এ যাত্রায় তার সঙ্গী ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী কেয়া পায়েল।
শুক্রবার বিএফডিসিতে সেট ফেলে হয়েছে বিজ্ঞাপনটির দৃশ্যধারণ। এটি নির্মাণ করছেন ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’-খ্যাত নির্মাতা প্রবীর রায় চৌধুরী। নব্বই দশকের সাড়া জাগানো মডেল নোবেল ও মৌ-এর পারফর্ম করা ‘শাহাজাদী মেহেদী’র বিজ্ঞাপনের ছোয়া রেখে রিমেক করা হচ্ছে এটি।
নিরব বলেন, নাইন্টিজ কিডসরা সহজেই রিকল করতে পারবেন ‘শাহাজাদী মেহেদী’র এই বিজ্ঞাপন। যেখানে নোবেল ভাই ও মৌ আপু ছিলেন। সেই কাজটি নতুন করে আবার রিমেক হচ্ছে। আয়োজনও বেশ ভালো। এ কারণে আমার কাছে মনে হলো ভালো এই কাজটির সঙ্গে থাকা যায়।
অমিতাভ ভাই (অমিতাভ রেজা)-এর পরিচালনায় নোবেল ভাইয়ের সঙ্গে একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করেছিলাম বহু বছর আগে। এবার নোবেল ভাইয়ের সেই বিজ্ঞাপন আমি করছি, সঙ্গে কেয়া পায়েল রয়েছে। কাজটি করতে গিয়ে পজিটিভ ভাইব পাচ্ছি। দর্শকরাও হয়তো পাবেন।
নির্মাতা সূত্রে জানা যায়, নিরব-কেয়া পায়েলের এই বিজ্ঞাপনটির আগামী মাস থেকে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও অনলাইনে প্রচারে আসবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
হস্তক্ষেপ নয়, পর্যবেক্ষণ ও সহযোগিতায় বিশ্বাসী টিম ডিরেক্টর রাজ্জা
সংবাদ সম্মেলন তখন শেষ। আব্দুর রাজ্জাককে মনে করিয়ে দেওয়া হলো, ‘‘বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর কিন্তু টসেও ইনপুট দিতেন। আপনি কি…?’’ রাজ্জাক মুখে হাসি আটকে রাখেন। এই পদে আসন্ন আয়ারল্যান্ড সিরিজে দায়িত্ব পাওয়া রাজ্জাক স্রেফ এতোটুকুই বলতে পারেন, ‘‘আমাদের থেকে এমন কিছু কখনোই দেখতে পারবেন না। আমরা নতুন কিছু নিয়ে ভাববো।’’
জাতীয় দলকে নিয়ে সেই ভাবনা থেকেই আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বোর্ড একজনকে টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের জাতীয় পুরুষ দলের ব্যর্থতার কারণে আলোচনা হচ্ছিল, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ওপরে একটি ছায়া বিভাগ থাকবে যারা সরাসরি জাতীয় দল পর্যবেক্ষণ করবে।
সেই ছায়া বিভাগে সাবেক ক্রিকেটাররাই থাকবেন। প্রথম টিম ডিরেক্টর হিসেবে রাজ্জাক পেলেন দায়িত্ব। কেন টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব হলো সেই প্রশ্ন করা হয় তাকে। নাজমুল হাসান বোর্ড সভাপতির দায়িত্বে থাকার সময় টিম ডিরেক্টর পদটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। সাবেক অধিনায়ক ও বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ এই দায়িত্ব পালন করেছেন বিশ্বকাপসহ বেশ কয়েকটি সিরিজে। দলের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে যেতেন তিনি। টস থেকে শুরু করে টিম মিটিংয়ে দিতেন ইনপুট। যা নিয়ে পরবর্তীতে অভিযোগ করেছিলেন কোচ ও অধিনায়ক।
তবে রাজ্জাক নিজের কাজ, পরিধি এবং দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন বলেই নিশ্চিত করলেন,"অন্যান্য যে কোনো টিম ডিরেক্টরের মতোই হবে আমার কাজ। আমি সব কিছু পর্যবেক্ষণ করব, সব কিছুতে নজর রাখব। আর কখনও যদি টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে আমার কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন, তাহলে সেটিও দেওয়ার চেষ্টা করব। তাদের সাহায্য প্রয়োজন হলে আমি করব।"
"ক্রিকেট বোর্ডের মনে হয়েছে, দলের সঙ্গে একজন টিম ডিরেক্টর থাকলে ভালো হবে। এই পদটি কিন্তু আগেও ছিল। অনেক দিন ধরেই ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বোর্ড পরিচালকের সংখ্যা কম থাকায় হয়তো দলের সঙ্গে কেউ যায়নি। তবে এর আগে প্রায় সিরিজেই দলের সঙ্গে টিম ডিরেক্টর থাকত।" - যোগ করেন তিনি।
ঢাকা/ইয়াসিন