ভারতের পার্লামেন্টে ২০২৫–২৬ অর্থবছরের কেন্দ্রীয় বাজেট উত্থাপন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন শনিবার এই বাজেট পেশ করেছেন।

এবারের বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়ে ৬ দশমিক ২১ লাখ কোটি রুপি করা হয়েছে। গত বছরের বাজেটে এই খাতে বরাদ্দ ছিল ৫ দশমিক ৯৪ লাখ কোটি রুপি। এর মধ্যে মূলধনী ব্যয়ের জন্য ১ দশমিক ৭২ লাখ কোটি রুপি নির্ধারণ করা হয়েছে, যা দেশের অভ্যন্তরে যুদ্ধাস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম নির্মাণে ব্যয় হবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এই বরাদ্দ বৃদ্ধিকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে এটি প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতা ও ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচিকে আরো গতি দেবে।

এবার বাজেটের উল্লেখ্যযোগ্য একটি অংশ হলো আয়কর। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, ১২ লাখ রুপি পর্যন্ত আয়ে কোনো কর দিতে হবে না। এই ঘোষণায় বাজেটে মধ্যবিত্তদের স্বস্তি দিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। 

বাজেটে পরিকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। দেশে নতুন ১২০টি বিমানবন্দর তৈরির ঘোষণা করা হয়েছে। শহর পুনর্নির্মাণের জন্য ১ লাখ কোটি রুপি বরাদ্দ করা হয়েছে। রেল খাতে, ৪০ হাজার সাধারণ ট্রেনের কামরাকে হাই স্পিড ‘বন্দে ভারত’ কামরায় রূপান্তরিত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে এবং তিনটি বড় রেল করিডর নির্মাণের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

বাজেট ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, “১৪০ কোটি ভারতীয়ের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতিই বাজেটে প্রতিফলিত হয়েছে। মধ্যবিত্ত কর প্রদানকারী, বেতনভোগী কর্মীদের বড় সুবিধা দেবে এবারের বাজেট।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকার রাস্তায় টেসলা, রোলস–রয়েস, পোরশেসহ ২৫০০ বিলাসবহুল গাড়ি

রাজধানী ঢাকার রাস্তায় চলে বিশ্বের আলোচিত টেসলা গাড়ি। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) থেকে ছয়টি টেসলা গাড়ির নিবন্ধন নেওয়া হয়েছে। শুধু টেসলা নয়; রোলস-রয়েস, ফেরারি, বেন্টলি, পোরশের মতো বিলাসবহুল অভিজাত গাড়ি এখন ঢাকার রাস্তার বুক চিড়ে চড়ে বেড়ায়।

অন্যদিকে রেঞ্জ রোভার, বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ বেঞ্জের মতো অভিজাত গাড়িও ঢাকার রাস্তায় অহরহ দেখা যায়। এ গাড়িগুলো যেন দেশের ধনীদের আভিজাত্যের প্রতীক হয়ে গেছে।

সব মিলিয়ে দেশে এখন আড়াই হাজারের বেশি এমন বিলাসবহুল ও দামি গাড়ি আছে। এই গাড়িগুলোর দাম ১ কোটি থেকে ১২ কোটি টাকা। দেশের একশ্রেণির অতিধনী ব্যবসায়ীরা এসব বিলাসবহুল গাড়ি চালান।

গাড়ি ব্যবসায়ীরা জানান, এমন বিলাসবহুল দামি গাড়ির গ্রাহকের সংখ্যা দেড় থেকে দুই হাজারের মতো। কেউ কেউ একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছেন।

দেশে বিলাসবহুল গাড়ির মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় মার্সিডিজ বেঞ্জ, বিএমডব্লিউ ও আউডি (অনেকে অডি বলেন) ব্র্যান্ডের গাড়ি। রাজধানীর ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রামের রাস্তায় এমন দামি গাড়ি মাঝেমধ্যে দেখা যায়।

এক দশক আগেও রাস্তায় বিলাসবহুল গাড়ি অনেক কম দেখা যেত। গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, বারিধারা ও বসুন্ধরার মতো অভিজাত এলাকায় এখন প্রায়ই দেখা মিলে রেঞ্জ রোভার, মার্সিডিজ ও বিএমডব্লিউর মতো বিলাসবহুল গাড়ি। সাধারণত রাতের দিকে অভিজাত এলাকায় এমন গাড়ির আনাগোনা বেড়ে যায়। সব মিলিয়ে গত ১০ বছরে আড়াই হাজারের বেশি বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি হয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ বছরে দেশে শুধু রোলস-রয়েস ব্র্যান্ডের গাড়ি আমদানি হয়েছে ১২টি। আর গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষে (বিআরটিএ) ৮টি রোলস-রয়েস নিবন্ধিত হয়েছে।

গত জুলাই মাসে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পরে রোলস-রয়েসের ‘স্পেক্টার’ মডেলের গাড়ি। যার দাম ফিচারভেদে প্রায় ১১ থেকে ১২ কোটি টাকা। তখন এই দামি গাড়ি নিয়ে বেশ আলোচনা হয়।

টেসলা ব্র্যান্ডের ‘মডেল এস’ গাড়ি

সম্পর্কিত নিবন্ধ