ট্রাক আটকে ছাত্রলীগের সাবেক নেতার চাঁদাবাজি
Published: 2nd, February 2025 GMT
নবীগঞ্জে মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের বালুর ট্রাক আটকে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ছাত্রলীগের এক নেতা ও তাঁর অনুসারীদের বিরুদ্ধে। রোববারের ওই ঘটনায় প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নবীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
 ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জ অংশে ছয় লেনে উন্নীতকরণের কাজ করছে মা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ কাজের জন্য বরাদ্দকৃত বালু আনা হয় জগন্নাথপুরের রানীগঞ্জ থেকে। ঘটনার দিন এ কাজের জন্য কুশিয়ারা নদী থেকে উত্তোলন করা সাত ট্রাক বালু আসছিল নবীগঞ্জে। ঘটনার দিন সকালে সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর-আউশকান্দি বাইপাস মহাসড়ক পার হয়ে কামারগাঁওয়ের মুচিবাড়ি এলাকায় পৌঁছলে ট্রাকগুলো আটক করেন উপজেলার ৪ নম্বর দীঘলবাক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল হক ও তাঁর লোকজন। এ সময় তারা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির সংশ্লিষ্টদের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। পরে নবীগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় সেগুলো উদ্ধার করা হয়।
 এ ঘটনায় দায়ের করা অভিযোগে মা এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক সাঈদ আলী জানান,  মুচিবাড়ির ব্রিজ-সংলগ্ন রাস্তায় ট্রাকগুলো আটকে ১০ লাখ টাকার জন্য চাপ দেন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও তাঁর ৭ থেকে ৮ অনুসারী। তাদের মধ্যে ছিলেন– স্বস্তিপুর গ্রামের জগলু মিয়া, কামারগাঁওয়ের মুকিদ মিয়া ও শিপন মিয়া, বহরমপুরের রউফ মিয়া এবং নগরকান্দির জয়নাল মিয়া। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা হক ও তাঁর লোকজন ট্রাকের সঙ্গে থাকা লোকজনকে মারধর এবং গাড়ি ভাঙচুর করে বলেও জানান সাঈদ আলী।
 এ ব্যাপারে দীঘলবাক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল হক জানান, চাঁদা আদায়ের জন্য তারা ট্রাকগুলো আটক করেননি। নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে অতিরিক্ত বালু বহন করায় সেগুলো আটক করা হয়।
 মা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মতিউর রহমান জানান, বৈধভাবে মহাসড়কের কাজের জন্য বালু আনা হয়েছে। একটি চক্র অনেক দিন ধরেই বালুর ট্রাক আটকে চাঁদাবাজি করে আসছে। 
 নবীগঞ্জ থানার ওসি কামাল হোসেন জানান,  ট্রাকগুলো উদ্ধারের পর গন্তব্যে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ তদন্ত করে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’