আজ দিনাজপুরের তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস
Published: 3rd, February 2025 GMT
শীত আর ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত দিনাজপুর জেলার জনজীবন। আজও ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা এ জেলা। হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না মানুষ। থেমে গেছে নিম্ন আয়ের মানুষের কর্মচাঞ্চল্য।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জানিয়েছেন দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন।
তিনি জানান, আজ সকাল ৬ টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.
তিনি আরও জানান, দেশের অন্যান্য কয়েকটি জেলার আজকের সকাল ৬ টার তাপমাত্রা: তেতুলিয়া (পঞ্চগড়) ১২.৪, সৈয়দপুর ১৪.৫, রংপুর ১৪.৫, ডিমলা (নীলফামারী) ১৪.৫, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) ১৪.০, বদলগাছি (নওগাঁ) ১৩.৩, বগুড়া ১৫.০, বাঘাবাড়ি (সিরাজগঞ্জ):১৪.০, ঈশ্বরদী (পাবনা) ১৩.৮, রাজশাহী ১৩.৫, যশোর ১৯.৬ ও চুয়াডাঙ্গায় ১৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঢাকা/মোসলেম/টিপু
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঋত্বিকের বাড়ি যেন ‘মেঘে ঢাকা তারা’
বরেণ্য চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার এক বছর পার হয়েছে। একসময়ের ঐতিহ্যবাহী বাড়িটি এখন কেবলই ইটের স্তূপ আর আগাছায় ভরা এক ধ্বংসস্তূপ। স্মৃতিচিহ্ন বলতে টিকে আছে ভাঙা ইটের পাঁজা আর কয়েকটি ভাঙা দেয়াল, যেখানে গত বছর আঁকা হয়েছিল ঋত্বিকের একটি পোর্ট্রেট। সেই দেয়ালই যেন নির্বাক হয়ে জানান দিচ্ছে এক সাংস্কৃতিক অবহেলার করুণ ইতিহাস।
গতকাল রোববার ঋত্বিকের পৈতৃক ভিটায় গিয়ে দেখা যায়, খসে পড়া দেয়ালে ‘বাড়ী থেকে পালিয়ে’, ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘অযান্ত্রিক’-এর মতো সিনেমার নাম ও চিত্রকর্ম আঁকা। এর মাঝে মোটা ফ্রেমের চশমা চোখে ছোট চুলের ঋত্বিক ঘটক যেন তাকিয়ে আছেন তাঁরই বাড়ির ধ্বংসাবশেষের দিকে।
অথচ এই বাড়ির সূত্রেই বহু মানুষ রাজশাহীকে চিনেছেন। কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক ঋত্বিকের ‘মেঘে ঢাকা তারা’ দেখার স্মৃতিচারণায় একবার বলেছিলেন, ‘সেই সিনেমা দেখার মুগ্ধতা বুকের মধ্যে মধুর মতো জমে আছে।’ কালের পরিক্রমায় ঋত্বিকের সেই বাড়িই আজ ‘মেঘে ঢাকা তারা’ হয়ে গেছে। স্মৃতি আছে, কিন্তু অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। রাজশাহীর চলচ্চিত্রকর্মীরা চান, এই ধ্বংসস্তূপের ওপরই ঋত্বিকের স্মৃতি সংরক্ষণে টেকসই কোনো উদ্যোগ নেওয়া হোক।
ঋত্বিক ঘটক