কুয়াকাটায় রাতে বাড়ির সামনে সাংবাদিকের ওপর হামলা, দায়ের কোপে গুরুতর আহত
Published: 5th, February 2025 GMT
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সাংবাদিক ও যুবদল নেতা জহিরুল ইসলামকে (মিরন) কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে কুয়াকাটা পৌরসভার তুলাতলী এলাকার নিজ বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জহিরুল ইসলাম বেসরকারি টিভি চ্যানেল বাংলাভিশনের কলাপাড়া প্রতিনিধি। তিনি কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক। এ ছাড়া তিনি বিএনপির স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বর্তমানে তিনি কুয়াকাটা পৌর যুবদলের সদস্যসচিব। এ ছাড়া জহিরুল ইসলাম কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক।
আহত জহিরুলের বাবা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘মিরন (জহিরুল) গতকাল রাতে ঢাকা থেকে এসেছে। মাইক্রোবাস থেকে নেমে সে বাড়িতে প্রবেশ করছিল। তখন রাত সাড়ে ১২টা। আমাকে ডেকে মিরন যখন বাড়িতে প্রবেশ করতে থাকে, ঠিক ওই সময় বাড়ির পাশে লুকিয়ে থাকা দুর্বৃত্তরা দৌড়ে এসে মিরনের ওপর এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। চারজন হামলাকারী মিরনকে কোপাতে থাকে। তাদের হাতে রামদা ও বটি ছিল। আমার মনে হয়েছে, হামলাকারীরা দলে আরও বেশি ছিল।’
পরে আহত জহিরুলকে উদ্ধার করে প্রথমে কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে গতকাল রাতেই জহিরুলকে বরিশালের শের–ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে হাবিবুর রহমান বলেন, জহিরুলের হাতের কনুইয়ের ওপরের অংশ কেটে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ ছাড়া ডান হাতের কবজি বরাবর ক্ষত হয়েছে। রামদার কোপে মাথা, পেটসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ জখম হয়েছে।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, হামলার ঘটনা শোনার পর গতকাল রাত থেকেই পুলিশ জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে মাঠে নেমেছে। ওই এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি