রাজশাহীতে পার্কের পাশে লাশ, স্বজনদের খুঁজছে পুলিশ
Published: 5th, February 2025 GMT
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার খেঁজুরতলা এলাকা থেকে আজ বুধবার একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৬০ বছর। পুলিশ তাঁর নাম–পরিচয় এখনো শনাক্ত করতে পারেনি। আজ সকালে খেঁজুরতলা এলাকার সাফিনা পার্কের পাশে তাঁর মরদেহ পড়েছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ ভোরে স্থানীয় লোকজন ওই ব্যক্তির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাঁরা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে। ওই ব্যক্তিকে এলাকায় দুই দিন আগে থেকে দেখা যাচ্ছে।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, মরদেহ পড়ে আছে, এই খবর পেয়ে তাঁরা গিয়ে তা উদ্ধার করেছেন। তাঁর নাম–পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই।
ওসি মুহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে শুনেছেন যে ওই ব্যক্তি দুই আগে থেকে এই এলাকায় থাকছেন। লোকজন যা দিতেন, তাই খেতেন। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। তাঁর মরদেহ স্বজনদের কাছে দেওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকবেন তাঁরা। যদি না পাওয়া যায়, তবে আইন অনুযায়ী তা আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামকে দাফনের জন্য দেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
সিজারের সময় নবজাতকের পা ভেঙে ফেলার অভিযোগ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সিজারিয়ান অপারেশনের সময় এক নবজাতকের পা ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ক্লিনিকের চেয়ারম্যান ও আবাসিক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে বিষয়টি নিয়ে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে নবজাতকসহ তাদেরকে ক্লিনিক থেকে বের করে দেওয়া হয়। ওই রাতেই শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম হাসপাতালে) নেওয়া হয়।
অভিযুক্ত চিকিৎসক পার্থ সমদ্দার কলাপাড়া পৌর শহরের জমজম ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আবাসিক চিকিৎসক এবং চেয়ারম্যান।শিশুটির
স্বজনদের অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) প্রসব বেদনা নিয়ে জমজম ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি হন লালুয়ার ইউনিয়নের গোলবুনিয়া গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার মেয়ে ও রফিকুলের স্ত্রী মিম বেগম। ওই রাতেই মিমের সিজারিয়ান অপারেশন করেন ডা. পার্থ সমদ্দার। সিজারের কিছুক্ষণ পরই টিকার কথা বলে নবজাতকের পায়ে একটি ইনজেকশন পুশ করা হয়। পরের দিন থেকেই নবজাতকের বাম পা ফুলতে শুরু করে এবং কান্না বাড়তে থাকে। বিষয়টি চিকিৎসক ও নার্সদেরকে অবহিত করলে তারা তাতে কর্ণপাত করেননি। উল্টো ওই ক্লিনিকের কর্মী ও নার্সরা নবজাতকের স্বজনদের সঙ্গে অসদাচরণের পাশাপাশি তাদের ক্লিনিক থেকে বের করে দেন। পরে অন্যত্র এক্সরে করে জানা যায়, সিজারের সময় নবাজতকের পা ভেঙে ফেলেছেন চিকিৎসক।
নবজাতকের মা মিম আক্তার বলেছেন, বাচ্চা অনবরত কান্না করলে প্রথমে নার্স ও পরে চিকিৎককে অবহিত করা হয়। বাচ্চার বাম ফুলে গেলে তা জানানো হয়। কিন্তু, তারা এর কোনো প্রতিকার না করে আমাদের ধমকাতে থাকেন। ক্লিনিক ছেড়ে চলে যেতে চাপ প্রয়োগ করেন।
নবজাতকের নানা সিদ্দিক বলেন, টিকার কথা বলে আমার নাতিকে শরীর অবশ করার ইনজেকশন দিয়েছিল নার্সরা। ইনজেকশনের কার্যকারিতা শেষ হওয়ার পরপরই আমার নাতি অনেক কান্না করে। আমার স্ত্রী নার্সদের বললে তারা তাকে মারধরের চেষ্টা করে। আমাদের সঙ্গে ক্লিনিকের সবাই অনেক খারাপ আচরণ করেছে। এভাবে রোগীদের সঙ্গে প্রাইভেট ক্লিনিকের কর্মকর্তারাও যদি অসদাচরণ করে, তাহলে আমরা কোথায় যাব?
সিজারের সময় নবজাকের পা ভাঙেনি, দাবি করে জমজম ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চেয়ারম্যান ডা. পার্থ সমদ্দার বলেছেন, আমি শিশু বিশেষজ্ঞ নই। নবজাতককে একজন শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেছেন, যদি সিজারিয়ান অপারেশনের প্রশিক্ষণ থাকে, তাহলে এনেস্থেসিস্টও সিজার করতে পারেন। তবে, এনেস্থেসিস্ট একাই সিজারিয়ান অপারেশন করতে পারেন না।
ঢাকা/ইমরান/রফিক