জামালপুরে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
Published: 5th, February 2025 GMT
জামালপুরের বকশীগঞ্জে ট্রাকচাপায় মনিরুজ্জামান মিন্টু (৪৫) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে বকশীগঞ্জ-শেরপুর সড়কের মাষ্টারবাড়ি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মনিরুজ্জামান মিন্টু কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার মিয়ারচর গ্রামের মৃত মোতাহার হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে মোটরসাইকেলযোগে শেরপুর যাচ্ছিলেন মনিরুজ্জামান মিন্টু। পথে একটি ট্রাক চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
বকশীগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘‘ঘটনার পরপরই ট্রাকচালক পালিয়ে গেছেন। তবে, ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’
ঢাকা/শোভন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই ঘোষণাপত্রে সশস্ত্র বাহিনী ও সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের স্বীকৃতি দাবি
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রতিষ্ঠান হিসেবে সশস্ত্র বাহিনী ও সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের অবদানের স্বীকৃতি জুলাই ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করার দাবি জানানো হয়েছে। শনিবার গণ-অভ্যুত্থানে অবদান রাখা অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা থেকে এ দাবি জানানো হয়।
‘গৌরবোজ্জ্বল জুলাই ৩৬’ উদ্যাপনের অংশ হিসেবে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি নিজেদের দলীয় কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। মতবিনিময়ে অংশগ্রহণকারী সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও দলটির নেতারা এ দাবি জানান। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
সভায় এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলেন, ‘যখন রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্ব একীভূত হয়, তখনই মুক্তিযুদ্ধ বা গণ-অভ্যুত্থানের সূচনা হয়। আন্দোলনের চূড়ান্ত মুহূর্তে বিবেকের দায় থেকে অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্যরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনসাধারণকে আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।’
এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘সাধারণত অবসরপ্রাপ্ত সেনারা রাজনৈতিক দাবিতে রাজপথে নামেন না। কিন্তু সেদিন ডিওএইচএসগুলোতে সেই রীতির ব্যত্যয় ঘটিয়েছিলেন বলেই প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সেনাবাহিনী গণহত্যার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পেরেছিল। তাঁদের মাঠে নামার কারণেই গণ-অভ্যুত্থান সহজ হয়েছে।’
এ সময় সাবেক সেনা কর্মকর্তা মনিশ দেওয়ান বলেন, সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি। জগদ্দল পাথরকে সরানো গেলেও তা সম্পূর্ণরূপে সরানো যায়নি। ফুটো বল দিয়ে খেলা চলে না।
লে. কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, ‘দুই–একজনের অপকর্মে পুরো বাহিনী কলুষিত হতে পারে না। জুলাইয়ের যুদ্ধ এখনো চলমান। সংস্কার দরকার মিডিয়া ও সশস্ত্র বাহিনী উভয় ক্ষেত্রেই। সংস্কার থাকলে হয়তো হিলি বা কাউল পালাতে হতো না। সংস্কারবিহীন নির্বাচন মানেই স্বৈরতন্ত্রের পুনর্বাসন।’
মেজর (অব.) আবদুল ওহাব মিনার বলেন, দেশ এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ছোটখাটো মতপার্থক্য ভুলে জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে হবে। সেই সঙ্গে সরকারের উচিত অবিলম্বে ‘জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ করা।
এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলমের সঞ্চালয়নায় মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন, সাবেক সামরিক কর্মকর্তা কামরুজ্জামান ও আমিরুল ইসলাম, কর্নেল (অব.) মোশাররফ, মেজর (অব.) জিয়া, লেফটেন্যান্ট (অব.) খান সোয়েব আমানুল্লাহ, সাবেক সামরিক কর্মকর্তা ইমরান ও জামাল উদ্দিন, মেজর (অব.) আফসারী প্রমুখ বক্তব্য দেন।