নিত্যপণ্যের বাজারে আলু, পেঁয়াজ, সবজিসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের দর আরও কমেছে। এ ছাড়া কমেছে চালের দামও। মানভেদে বিভিন্ন জাতের চালের কেজিতে কমেছে সর্বোচ্চ ৪ টাকা পর্যন্ত। তবে গত সপ্তাহের মতোই ভোজ্যতেলের সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি দেখা গেছে। চড়া ভাব রয়েছে মুরগির বাজারেও। বৃহস্পতিবার মহাখালী কাঁচাবাজার, আগারগাঁও এবং কারওয়ান বাজার ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি বাড়ার কারণে মোকামগুলোতে চালের দাম কমতে শুরু করেছে। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। অন্যদিকে, আমদানিকারকরা ও তাদের ডিলাররা বোতলজাত ভোজ্যতেলের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে পাইকারি পর্যায়ে বোতলজাত তেলের দর বেড়ে গেছে। 

রাজধানীর বাজারে গতকাল প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হয় ৫২ থেকে ৫৫ টাকা দরে। এক সপ্তাহ আগে মোটা চালের কেজি ছিল ৫৩ থেকে ৫৫ টাকা। এ ছাড়া বর্তমানে মাঝারি চাল ৫৮ থেকে ৬৪ টাকা ও সরু চাল ৭২ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে মাঝারি চালের কেজি ৬২ থেকে ৬৫ এবং সরু চালের কেজি ৭৫ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে; অর্থাৎ মানভেদে এসব চালের কেজিতে ১ থেকে ৪ টাকা কমেছে।

তবে খোলা সয়াবিনের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও কোথাও কোথাও বোতলজাত তেলের সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি দেখা গেছে। তেজকুনিপাড়ার চাঁদপুর ট্রেডার্সের মালিক রুবেল হোসেন সমকালকে বলেন, খোলা সয়াবিন আছে। তবে বোতলজাত তেল কম দিচ্ছেন ডিলাররা। তারা পাইকারি পর্যায়ে লিটারে প্রায় ৪ টাকা বেশি নিচ্ছেন। কিন্তু খুচরা ব্যবসায়ীরা বোতলের গায়ে লেখা দরের চেয়ে বেশি নিতে পারছেন না। ফলে খুচরা ব্যবসায়ীরা মুনাফা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

বাজারে এখন সব ধরনের সবজির দর কম। ২০ টাকা কেজিতে মিলছে নতুন আলু, যা দেড়-দুই মাস আগেও ৬০ টাকায় কিনতে হয়েছে। কারওয়ান বাজারের আলু ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান বলেন, এবার বাম্পার ফলন হয়েছে আলুর। কৃষক লোকসানে পড়বে। দর এভাবে পড়তে থাকলে আগামী বছর অনেকেই আলু উৎপাদন করবেন না।
বেশির ভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। যেমন– মানভেদে প্রতি কেজি শিম ৩০ থেকে ৫০ টাকা, পাকা টমেটো ৩০ থেকে ৪০, বেগুন মানভেদে ৪০ থেকে ৬০, চিচিঙ্গা ৪০ থেকে ৫০, শসা ৪০ থেকে ৫০, মিষ্টিকুমড়া ৪০ থেকে ৫০, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০, গাজর ৪০ থেকে ৬০, মুলা ২০ থেকে ৩০ ও কাঁচামরিচের কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতি পিস ২০ থেকে ৩০ টাকা এবং লম্বা লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকায় কেনা যাচ্ছে।

পেঁয়াজ ও আদার দামেও স্বস্তি রয়েছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা ও নতুন দেশি রসুনের কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা রসুন আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে, প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা। আর আদার কেজি পড়বে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা।

তবে বাজারে মুরগির দাম এখনও চড়া। ব্রয়লার মুরগি কেজি ১৯৫ থেকে ২০০ টাকা এবং সোনালি মুরগি কেজি মানভেদে ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ডিমের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। খুচরায় ফার্মের মুরগির ডিম প্রতি ডজন ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন ত যপণ য ন ত যপণ য র দ ম ন ত যপণ য আমদ ন ব তলজ ত ত ল র সরবর হ ব যবস য় ৪০ থ ক ২০ থ ক ৩০ থ ক

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশে আতঙ্ক-উত্তেজনা, ট্রাম্প আসলে কী চান

যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর ভাইস অ্যাডমিরাল রিচার্ড কোরেল ভেবেছিলেন, দেশটির পারমাণবিক বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে তাঁর নিয়োগ নিশ্চিত হওয়া নিয়ে গত বৃহস্পতিবার শুনানি সহজভাবেই শেষ হবে। তবে তাঁর সাক্ষ্য গ্রহণের আগের দিন বুধবার রাত ৯টা ৪ মিনিটে সে আশা ভেঙে গেছে।

ওই সময় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে বিশ্বকে চমকে দেন। বলেন, তিনি মার্কিন বাহিনীকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা অবিলম্বে শুরু করতে বলেছেন। তাঁর যুক্তি, যুক্তরাষ্ট্র এ ক্ষেত্রে রাশিয়া ও চীনের পেছনে থাকতে পারে না।

ট্রাম্প বলেন, ‘পারমাণবিক অস্ত্রে রাশিয়া দ্বিতীয় এবং চীন বেশ দূরে তৃতীয় অবস্থানে। কিন্তু দেশটি পাঁচ বছরের মধ্যে আমাদের সমপর্যায়ে উঠে আসতে পারে।’

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সিনেটে সশস্ত্র বাহিনী কমিটির প্রায় ৯০ মিনিটের শুনানিতে ট্রাম্পের মন্তব্য নিয়ে বারবার কোরেলকে প্রশ্ন করা হয়। ট্রাম্পের মন্তব্যে অনেক আইনপ্রণেতাই এ সময় ছিলেন বিভ্রান্ত। এ থেকে বোঝা যায়, রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ওয়াশিংটন ও এর বাইরে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন।

মার্কিন কর্মকর্তারা পরিষ্কার করেননি যে ট্রাম্প পারমাণবিক অস্ত্র সরবরাহ ব্যবস্থার পরীক্ষা করতে বলছেন, নাকি বিস্ফোরক পরীক্ষায় ৩৩ বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ করতে চাইছেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ট্রাম্পের নির্দেশ বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে ও প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়াতে পারে, যা শীতল যুদ্ধের ভয়ংকর স্মৃতি ফিরিয়ে আনে।

কমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট সদস্য সিনেটর জ্যাক রিড কোরেলকে প্রশ্ন করেন, যুক্তরাষ্ট্র আবারও পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা শুরু করলে তা কি বিশ্বে পারমাণবিক অস্ত্রের প্রতিযোগিতা বাড়াবে এবং অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করবে।

কোরেল বলেন, ‘যদি আমাকে স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের (স্ট্র্যাটকম) কমান্ডার হিসেবে নিশ্চিত করা হয়, আমার কাজ হবে, পারমাণবিক পরীক্ষাবিষয়ক যেকোনো আলোচনা সম্পর্কে সামরিক পরামর্শ দেওয়া।’

ভাইস অ্যাডমিরাল কোরেলকে গত সেপ্টেম্বরে ট্রাম্প স্ট্র্যাটকমের প্রধান করার জন্য মনোনীত করেন। স্ট্র্যাটকম পারমাণবিক হামলা প্রতিরোধ ও আক্রমণের সক্ষমতা নিয়ে কাজ করে। কোরেল পুরো শুনানিতে সতর্কভাবে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।

পারমাণবিক অস্ত্রে রাশিয়া দ্বিতীয় ও চীন বেশ দূরে তৃতীয় অবস্থানে। কিন্তু দেশটি পাঁচ বছরের মধ্যে আমাদের সমপর্যায়ে উঠে আসতে পারে।ডোনাল্ড ট্রাম্প, মার্কিন প্রেসিডেন্ট

শুনানির এক পর্যায়ে স্বতন্ত্র সিনেটর অ্যাঙ্গাস কিং প্রশ্ন করেন, ট্রাম্প কি পারমাণবিক ডিভাইসের বিস্ফোরক পরীক্ষা নয়, বরং ক্ষেপণাস্ত্র বা অন্য সরবরাহ ব্যবস্থা পরীক্ষার কথা বলছেন কি না।

জবাবে কোরেল বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্টের উদ্দেশ্য জানি না, তবে এটি এমন একটি ব্যাখ্যা হতে পারে, আমি তা মেনে নিই।’

দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে গত বৃহস্পতিবার মুখোমুখি বৈঠকে যোগ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সি চিন পিং

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিশ্বকে ১৫০ বার ধ্বংস করার মতো পারমাণবিক অস্ত্র আমাদের আছে: ট্রাম্প
  • দুই সপ্তাহের মধ্যে তেহরানে সুপেয় পানি ফুরিয়ে যেতে পারে
  • চলন্ত অবস্থায় বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম সড়ক চালু ফ্রান্সে
  • জ্বালানি খাতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন
  • বাজারে আগাম সবজি আসতে দেরি, দাম চড়া
  • যশোরে জিআই পণ্য খেজুর গুড় তৈরির রস সংগ্রহে গাছ প্রস্তুতির উদ্বোধন
  • টমাহক কত দূরে আঘাত হানতে পারে, রাডারে কেন ধরা পড়ে না
  • সামুদ্রিক মাছে ভরপুর আড়ত, দাম কেমন
  • যুক্তরাষ্ট্রকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশে আতঙ্ক-উত্তেজনা, ট্রাম্প আসলে কী চান
  • ইউক্রেনকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দিতে পেন্টাগনের সায়, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ট্রাম্প