দেশের প্রথম সিমেন্ট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সুনামগঞ্জের ছাতক সিমেন্ট কারখানা। প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন প্রক্রিয়ায় আনতে সর্বশেষ যে প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয় তার একাংশ থমকে আছে। জানা গেছে, ভারত সরকারের দিক থেকে প্রত্যাশিত সহায়তা না পাওয়ায় এখনও শুরু করা যায়নি প্রকল্পের আওতাধীন রোপওয়ের কাজ। 

ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরি নামে স্বায়ত্তশাসিত এই প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন পদ্ধতি ওয়েট প্রসেস থেকে ড্রাই প্রসেসে রূপান্তর করতে একটি বিশেষ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। ১ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণে শুরু করা প্রকল্পটির ৯০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। রোপওয়ে (রজ্জুপথ) নির্মাণ ও নতুন গ্যাসলাইন স্থাপনের কাজ শেষ না হওয়ায় এ প্রকল্পের কাজের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

সিমেন্ট তৈরির প্রধান কাঁচামাল চুনাপাথর আমদানির জন্য ভারত অংশের মাত্র ৫ কিলোমিটারে রোপওয়ে নির্মাণকাজ এখনও শুরু করা যায়নি। এ জন্য ভারত সরকারের গড়িমসির কারণকেই দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। দ্রুত এ জটিলতা নিরসনে বিসিআইসি ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।  

১৯৩৭ সালে সুরমা নদীর তীরে ছাতক উপজেলায় আসাম বেঙ্গল সিমেন্ট কোম্পানি নামে দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ সিমেন্ট উৎপাদনকারী কারখানা স্থাপিত হয়। ১৯৪১ সালে ওয়েট প্রসেস অনুসারে বাণিজ্যিকভাবে সিমেন্ট উৎপাদন শুরু করে আসাম বেঙ্গল। শুরু থেকেই কারখানার অধিগ্রহণ করা নিজস্ব টিলার মাটি সংগ্রহ করার পাশাপাশি সিমেন্ট তৈরির প্রধান কাঁচামাল চুনাপাথর আমদানি শুরু হয় ভারত থেকে। ছাতক সিমেন্ট কারখানাটি শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প করপোরেশনের (বিসিআইসি) একটি প্রতিষ্ঠান।

দেশের বিপুল জনপ্রিয় ব্র্যান্ড হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ডায়মন্ড ব্র্যান্ড সিমেন্টের উৎপাদন চালু অবস্থায় প্রতি বছর সর্বোচ্চ দেড় লাখ টন সিমেন্ট উৎপাদনের রেকর্ড রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। পুরোনো এ কোম্পানিটি নিয়মিত চালু রাখতে বিভিন্ন সময় কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে একাধিকবার এর সংস্কার কাজ করেছে বিএমআরই। 

২০২০ সালে করোনা মহামারির সময় ভারত চুনাপাথর রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলে কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও ভারত সরকার কেএলএমসির নিবন্ধন নবায়ন না করায় প্রতিষ্ঠানটিতে চুনাপাথর আসা বন্ধ থাকে। যদিও এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত চুনাপাথর আমদানির চুক্তি ছিল বলে জানিয়েছে ছাতক সিমেন্ট কারখানার কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে ভারত থেকে চুনাপাথর আমদানির বিষয়টি নির্ভর করছে কেএলএমসির অনুমোদন পাওয়ার ওপর।

সনাতনি উৎপাদন পদ্ধতির এ সিমেন্ট কারখানা উৎপাদন প্রক্রিয়াটি ছিল অনেকটাই ব্যয়বহুল। যে কারণে কারখানাটির উৎপাদন পদ্ধতি ওয়েট প্রসেস থেকে ড্রাই প্রসেসে রূপান্তরকরণে ২০১৬ সালে ৬৬৭ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয় বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প করপোরেশন (বিসিআইসি)। পরে সেই প্রকল্পের খরচ বাড়িয়ে ব্যয় ধরা হয় ৮৯০ কোটি টাকা। নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় পরবর্তী সময়ে বরাদ্দ বাড়িয়ে সর্বশেষ প্রকল্প ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা। 

ড্রাই প্রসেস প্রকল্পের মূল কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে চীনের নানজিং সি-হোপ নামে কোম্পানিকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ২০১৯ সালে কাজ শুরুর পর মহামারির কারণে এক বছরেরও বেশি সময় পর্যন্ত কারখানার নতুন প্রকল্পের নির্মাণকাজ বন্ধ থাকে। 

এমন পরিস্থিতিতে ২০২৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাবনা বিসিআইসির মাধ্যমে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এদিকে প্রায় দেড় বছর আগেই ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, সিমেন্ট মিলস্, পানি বিশুদ্ধকরণ কেন্দ্র, ক্লিংকার উৎপাদন, সিমেন্ট সাইলো, কনভেয়ার কারখানার প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়। চুনাপাথর ভারত থেকে আমদানির জন্য ১৭ কিলোমিটার রোপওয়ে নির্মাণকাজ নিয়ে দেখা দেয় জটিলতা। সে সময়ে সৌদি আরবের একটি কোম্পানি বিসিআইসির সঙ্গে যৌথভাবে রোপওয়ে কাজ করার একটি চুক্তি করায় ওই জটিলতা সৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।

কারখানার নির্মাণকাজ প্রায় শেষ হলেও এটি উৎপাদন চালু করতে না পারায় পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে হাজার কোটি টাকার নতুন এ কারখানা।

সম্প্রতি দেশের ভেতরে কারখানা থেকে কুমরা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার রোপওয়ে নির্মাণকাজ শুরু হলেও ভারত অংশের ৫ কিলোমিটার রোপওয়ের কাজ এখনও শুরু করা যায়নি। জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমস লিমিটেড (জেজিটিডিএসএল) এতদিন ছাতক অঞ্চলে গ্যাস সরবরাহের মূল লাইন থেকে ছাতক সিমেন্ট কারখানায় গ্যাস সরবরাহ করত। নতুন কারখানায় যে পরিমাণ গ্যাস লাগবে, তা এই লাইন থেকে দেওয়া সম্ভব নয়। কারখানাটি চালু করতে গ্যাস সরবরাহের জন্য আলাদা গ্যাস সংযোগ লাইন বসাতে হবে। কারখানাটি স্থাপনে যে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়, তাতে গ্যাসলাইন স্থাপনের বিষয়টি ছিল না। সর্বশেষ প্রকল্পটির মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানোর যে প্রস্তাব তৈরি করেছে, সেখানে ৪৩ কিলোমিটার নতুন গ্যাসলাইন স্থাপনের জন্য ৩০০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভারত থেকে চুনাপাথর আনার অনুমতি এখনও মেলেনি। বাংলাদেশের ভেতরের অংশের কাজ চলছে। ভারতের অংশের কাজের চুক্তি হয়েছে।

রোপওয়ের কাজ করবে চীনা কোম্পানি। এজন্য রাজি হচ্ছে না ভারত। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে কূটনৈতিক টানাপোড়েন বেড়ে যাওয়ায় জটিলতা বেড়েছে।
পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর সুদীপ কুমার দে জানান, ৫ বছর ধরে কারখানা বন্ধ থাকায় এখানে ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। অনেকেই চাকরি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

ছাতক সিমেন্ট কোম্পানির প্রকল্প পরিচালক (পিডি) প্রকৌশলী আব্দুর রহমান জানান, কারখানার নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ভারত অংশে রোপওয়ে নির্মাণকাজের জন্য আলোচনা চলছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ প রকল প র ব স আইস আমদ ন র র জন য সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

মে দিবস ২০২৫ : শ্রমিক-মালিক ঐক্যে গড়বে নতুন বাংলাদেশ

১৮৮৬ সালের ১ মেÑএকটি দিন, একটি দাবি, আর হাজারো শ্রমিকের আত্মত্যাগের মাধ্যমে ইতিহাসে রক্তাক্ত দাগ কেটে দিয়েছিল যে মুহূর্ত, তা আজ বিশ্বব্যাপী ‘মে দিবস’ হিসেবে পালিত হয়। তখনকার দাবিটি ছিল স্রেফ ৮ ঘণ্টা শ্রমের অধিকার। কিন্তু আজ ২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে শ্রমিকের দাবি শুধু সময়
নয়Ñমর্যাদা, সুরক্ষা ও ন্যায্যতার প্রশ্নও।

এবারের মে দিবসের প্রতিপাদ্য “শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়বো এদেশ নতুন করে”Ñএ যেন সময়ের এক গুরুত্বপূর্ণ পাঠ। উন্নয়নশীল বাংলাদেশের বাস্তবতায় এই বার্তা কেবল প্রাসঙ্গিক নয়, বরং তা রাষ্ট্র, প্রতিষ্ঠান ও সমাজের জন্য এক যৌথ দিকনির্দেশনা।

বাংলাদেশের শ্রমচিত্র ও বাস্তবতা

বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত শ্রমনির্ভর। তৈরি পোশাক শিল্পে প্রায় ৪০ লাখ, কৃষি ও নির্মাণ খাতে আরও কয়েক কোটি মানুষ নিয়োজিত। পরিসংখ্যান বলছে, দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি আসে শ্রমনির্ভর খাত থেকে। কিন্তু যাঁরা এই অর্থনীতির ইঞ্জিন হিসেবে কাজ করছেন, সেই শ্রমিকরা কি পেয়েছেন তাদের প্রাপ্য অধিকার ও মর্যাদা?

দুঃখজনক হলেও সত্য, এখনও বহু শ্রমিক পান না ন্যূনতম মজুরি, কর্মস্থলে নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সেবা কিংবা ছুটি সংক্রান্ত মৌলিক সুবিধা। নারী শ্রমিকদের পরিস্থিতি আরও জটিলÑযত্রতত্র হয়রানি, মাতৃত্বকালীন সুবিধার অভাব, কিংবা নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ গড়ে না তোলার ফলে এই খাতেও স্থিতিশীলতা আসছে না।

মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক: দ্বন্দ্ব নয়, দরকার সহমর্মিতা

এক সময় শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক মানেই ছিল দ্বন্দ্ব, ধর্মঘট ও হুমকি। তবে বর্তমান বৈশ্বিক বাস্তবতা বলছেÑসহযোগিতাই টেকসই উৎপাদনের চাবিকাঠি। মালিকপক্ষ যখন শ্রমিককে কেবল “ব্যয়” হিসেবে না দেখে “সম্পদ” হিসেবে  বিবেচনা করেন, তখন প্রতিষ্ঠান লাভবান হয়। একইভাবে শ্রমিকও যদি বুঝেন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন মানে তার কর্মস্থলের স্থায়িত্বÑতাহলে দুপক্ষের মধ্যে বিশ্বাসের
ভিত্তি গড়ে ওঠে।

এই বিশ্বাস গঠনের জন্য প্রয়োজন তিনটি স্তম্ভ: 

নীতিগত স্বচ্ছতা Ñ ন্যায্য মজুরি, নির্ধারিত কর্মঘণ্টা ও চুক্তিভিত্তিক নিরাপত্তা দায়িত্বশীল মালিকপক্ষ Ñ কর্মপরিবেশ, স্বাস্থ্যসেবা ও প্রশিক্ষণ নিশ্চিতে উদ্যোগ সচেতন শ্রমিকশ্রেণি Ñ অধিকার আদায়ের পাশাপাশি কর্তব্য পালনের মানসিকতা

নীতি ও রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ ও সংশোধিত ২০১৮ সংস্করণ অনুযায়ী শ্রমিকের অধিকার স্বীকৃত হলেও বাস্তবায়নের জায়গায় ঘাটতি রয়েছে। বিশেষ করে  অনানুষ্ঠানিক খাতে (যেমন কৃষি, গৃহপরিচারিকা, গিগ-ওয়ার্কার) শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়টি এখনও প্রায় উপেক্ষিত।

এছাড়া, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, দুর্ঘটনা বীমা, এবং পুনঃপ্রশিক্ষণের ব্যবস্থাপনা আরও জোরদার হওয়া জরুরি। সরকার শ্রমিক কল্যাণ তহবিল গঠন করলেও তা অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।

এই প্রেক্ষাপটে ‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে’ দেশ গড়ার বার্তাটি যেন শুধুই স্লোগানে সীমাবদ্ধ না থাকে। বরং এটি হোক রাজনৈতিক সদিচ্ছা, আর্থিক বিনিয়োগ ও মানবিক বিবেচনার এক বাস্তব প্ল্যাটফর্ম।
প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ ও নতুন শ্রম বাস্তবতা

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রেক্ষাপটে শ্রমবাজার দ্রুত বদলে যাচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অটোমেশন ও গিগ-ইকোনমি অনেক চাকরি বিলুপ্ত করছে, আবার নতুন দক্ষতা চাচ্ছে। বাংলাদেশ যদি সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চায়, তাহলে  শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ, পুনঃস্কিলিং এবং ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।

এখানে মালিক ও রাষ্ট্র উভয়ের উচিত হবে, শ্রমিককে প্রতিযোগিতায় টিকিয়ে রাখতে বিনিয়োগ করা, কারণ দক্ষ শ্রমিক ছাড়া কোনো শিল্পই টিকে থাকে না।

মে দিবস: উৎসব নয়, দায়বদ্ধতার প্রতীক

মে দিবস কেবল লাল পতাকা হাতে শোভাযাত্রার দিন নয়, এটি আমাদের মানবিক চেতনার প্রতিফলন। যে শ্রমিক ঘাম ঝরিয়ে ভবন গড়ে, কৃষি জমি চষে, রপ্তানি পণ্য তৈরি করেÑতার জন্য আমাদের উচিত মর্যাদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করা।

এবছর, আসুন আমরা সবাই রাষ্ট্র, মালিকপক্ষ ও শ্রমিকÑএকটি মানবিক, উৎপাদনশীল ও  শীদারিত্বভিত্তিক সমাজ গঠনের পথে এগিয়ে যাই। শ্রমিকের হাতে গড়া এই বাংলাদেশ হোক তার জন্যই গর্বের জায়গা। 


লেখক পরিচিতি:

মীযানুর রহমান
সাংবাদিক ও সমাজ বিশ্লেষক
মোবাইলঃ ০১৭৫৪১০৯০৭২
যোগাযোগ: : [email protected]

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চিনি-লবণের অনুপম পাঠ
  • মে দিবস ২০২৫ : শ্রমিক-মালিক ঐক্যে গড়বে নতুন বাংলাদেশ
  • বিদ্যালয়ের ১৮টি গাছ বিক্রি করলেন প্রধান শিক্ষক 
  • কর্ণাটকে ক্রিকেট খেলার সময় বচসা, যুবককে পিটিয়ে হত্যা
  • দেশে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে চালুর দাবি 
  • রাখাইন রাজ্যে ‘মানবিক করিডোর’ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিলেন প্রেস সচিব
  • কানাডায় আবারও লিবারেল পার্টির সরকার গঠনের আভাস