কুড়িগ্রামে ভারত থেকে দেশে অনুপ্রবেশ, বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
Published: 7th, February 2025 GMT
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় এক বাংলাদেশি যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ৯৩৪ নম্বর পিলারে সাব পিলার ৯–এর পাশে বাংলাদেশের ৩০০ গজ ভেতরে খালিশাকোঠাল সীমান্তে তাঁকে আটক করা হয়।
আটক যুবকের নাম নয়ন মিয়া (২৫)। তিনি ঢাকার হাতিরঝিল থানার এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে। আটকের পর গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিজিবির নায়েক আলমগীর হোসেন তাঁকে ফুলবাড়ী থানায় সোপর্দ করে। এ ঘটনায় নয়নের বিরুদ্ধে থানায় একটি অনুপ্রবেশের মামলা করেছে বিজিবি। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বিজিবি ও থানা সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাট ১৫ বিজিবির অধীন বালারহাট ক্যাম্পের টহলরত নায়েক সুবেদার আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে বিজিবির সদস্যরা গতকাল বিকেলে নয়নকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে আসে। নয়নের বরাত দিয়ে বিজিবি জানায়, তিন বছর আগে দালালের মাধ্যমে কাজের সন্ধানে কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে তিনি ভারতে গিয়েছিলেন। সেখানে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করেছেন তিনি। শেষে কোচবিহার জেলার সাহেবগঞ্জ থানার করলা সীমান্ত দিয়ে দালালের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় তিনি ধরা পড়েন।
ফুলবাড়ী থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশীদ বলেন, অনুপ্রবেশ আইনে বিজিবির করা মামলায় নয়নকে আজ শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করা হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রাউজানে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তাঁর সহযোগী গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের রাউজানে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে যুবদল কর্মী আলমগীর আলমকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এক যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার যুবক আলমগীর আলমের সহযোগী ছিলেন। গতকাল শনিবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম মুহাম্মদ রাজু (২৮)। তিনি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার মৃত নুর নবীর ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, আলমগীর আলমকে গুলি করার সময় তাঁর পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন মুহাম্মদ রাজু।
গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল বাজারসংলগ্ন কায়কোবাদ জামে মসজিদের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় আলমকে। এ সময় তাঁর স্ত্রী ও সন্তান পেছনে একটি অটোরিকশায় ছিলেন। পাশের গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন তাঁরা। আলমের বাড়ি পার্শ্ববর্তী ঢালারমুখ এলাকায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কবরস্থানে লুকিয়ে থাকা আটজন অস্ত্রধারী আলমকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা আলম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। অস্ত্রধারীরা তাঁকে হত্যার পর রাঙামাটি সড়ক দিয়ে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে পালিয়ে গেছেন। নিহত আলমের শরীরে পাঁচটি গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়।
রাউজান থানা-পুলিশ জানায়, আলম নিহত হওয়ার দুই দিন পর তাঁর বাবা আবদুস সাত্তার বাদী হয়ে ২১ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৬ থেকে ৭ জনকে আসামি করে রাউজান থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে রাজুর নাম নেই। তবে ঘটনার তদন্তে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে।
এর আগে এ মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁরা হলেন রাউজান কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ রাসেল খান (৩২) ও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার বাসিন্দা ও যুবদল কর্মী মুহাম্মদ হৃদয় (৩০)।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, যখন অস্ত্রধারীরা আলমগীর আলমকে গুলি করার জন্য কবরস্থানে লুকিয়ে ছিলেন, তখন আলমগীর আলমের পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন রাজু। তিনি আলমগীরের সহযোগী হিসেবে পরিচিত। তবে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। রোববার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অস্ত্র-মাদকসহ বিভিন্ন মামলায় ১২ বছর কারাগারে ছিলেন আলম। তিনি গত বছরের ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পান। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত তিনি।