বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন।  শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে উপজেলার কড়িতলা বাজারে সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ। 

সারিয়াকান্দি থানার ওসি জামিরুল ইসলাম বলেন, “আগামী বুধবার গাবতলীতে ঐতিহাসিক পোড়াদহের মেলা। গত কয়েক বছর ধরে মেলার দিন বিভিন্ন এলাকায় মাছের মেলাও বসে। কড়িতলা বাজারে মাছের মেলা বসানোকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটে। পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি।”

কামালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম ঠান্ডু জানান, কড়িতলা হাটের ইজারা এবং আগামী বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) পোড়াদহ মেলা বসানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। 

আরো পড়ুন:

শাহজাদপুরে বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২ গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আহত ১২, বাড়ি ভাঙচুর

তিনি আরো জানান, শনিবার রাত ৮টার দিকে মেলা বসানোকে কেন্দ্র করে কামালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি মোখলেছুর রহমান হিল্টুর নেতৃত্বে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের কিছু লোক দেশি অস্ত্র নিয়ে তার লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এতে তার পক্ষের সাতজন আহত হন। তাদের সবাই বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি মোখলেছুর রহমান হিল্টু জানান, তার লোকজন বাজারে চা পান করছিল। এসময় সভাপতি রেজাউল করিম ঠান্ডুর নেতৃত্বে  কয়েকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে তার গ্রুপের ছয়জন আহত হন। তাদের মধ্যে কয়েকজন শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং বাকিরা অন্য হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। 

সারিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান বলেন, “আহতদের মধ্যে সাতজন বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের চিকিৎসার খোঁজ খবর রাখছি।”

ঢাকা/এনাম/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ ব এনপ আহত ব এনপ র স র স ঘর ষ র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাইব্যুনালে গুমের মামলা তদন্ত, বিচারে সহযোগিতা করবে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক গ্রুপ: চিফ প্রসিকিউটর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হওয়া গুমের মামলার তদন্তের পাশাপাশি বিচারে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ সব ধরনের সমর্থন ও সহযোগিতা করবে। আজ সোমবার দুপুরে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এনফোর্সড অর ইনভলান্টারি ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স (ডব্লিউজিইআইডি)-এর ভাইস চেয়ার গ্রাজিনা বারানোস্কা ও আনা লোরেনা ডেলগাদিলো পেরেজ বর্তমানে বাংলাদেশ সফরে রয়েছেন। এই দুজন ও ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকারবিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খানসহ জাতিসংঘের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি আজ দুপুরে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

পরে এ বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের গুমের কেসগুলোকে কীভাবে আমরা ডিল করছি এবং এই কেসের যে তদন্ত, বিচার কোন পর্যায়ে আছে; কী কী চ্যালেঞ্জ আমরা ফেস করছি, এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার জন্য কী কী ধরনের সাপোর্ট দরকার, তাঁরা কী ধরনের সাপোর্ট আমাদের দিতে পারেন, সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই বিচার অব্যাহত রাখার ব্যাপারে সব ধরনের সমর্থন ও সহযোগিতা করতে এই কমিটি প্রস্তুত আছে এবং তাঁরা এটা করবেন।’

গুমের শিকার, এমন ভুক্তভোগীরা সাক্ষী দিতে এসে যাতে বিপদে না পড়েন, সে ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, তাঁরা বলেছেন, যত ধরনের সাহায্য লাগবে, তাঁরা করবেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, বিশেষ করে সাক্ষী সুরক্ষার ব্যাপারটা। এ ব্যাপারে আইন আছে, কিন্তু তা কীভাবে বাস্তবায়ন হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অনেক ভুক্তভোগী আছেন, তাঁদের হয়তো এমন নিরাপত্তার সংকট আছে, তাঁদের হয়তো এক জায়গা থেকে সরিয়ে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার দরকার হতে পারে। সেটা বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে করা কঠিন। এ ব্যাপারে জাতিসংঘের যদি সহযোগিতা পাওয়া যায়, তাহলে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ের জন্য কাজ করা সহজ হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ