নওগাঁর পাঁচটি আসনে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা
Published: 9th, February 2025 GMT
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক না হলেও নওগাঁর পাঁচটি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। রোববার নওগাঁ জেলা জামায়াতের আমির খন্দকার মুহাম্মদ আবদুর রাকিব প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
খন্দকার আবদুর রাকিব জানান, সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার ব্যাপারে দলের কেন্দ্র থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ কেন্দ্র থেকে নওগাঁর ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে জামায়াতের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড। নওগাঁ-৩ আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। হয়তো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দু-এক দিনের মধ্যে সেখানে প্রার্থী ঘোষণা করা হবে।
নওগাঁর ১১টি উপজেলা নিয়ে ৬টি সংসদীয় আসন। এর মধ্যে নিয়ামতপুর, পোরশা ও সাপাহার উপজেলা নিয়ে গঠিত নওগাঁ-১ আসনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মপরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মাহবুবুল হককে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁর বাড়ি সাপাহারে। তিনি উপজেলার আল হেরা ইসলামি একাডেমি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। পত্নীতলা ও ধামইরহাট উপজেলা দুটি নিয়ে গঠিত নওগাঁ-২ আসনে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির এনামুল হককে প্রার্থী ঘোষণা করেছে দলটি। তাঁর বাড়ি ধামইরহাটের ছাতুন কুড়িগ্রামে।
মান্দা উপজেলা নিয়ে গঠিত নওগাঁ-৪ আসনে জেলা জামায়াতের আমির খন্দকার মুহাম্মদ আবদুর রাকিবকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁর বাড়ি উপজেলার পশ্চিম নুরুল্ল্যাবাদ গ্রামে। নওগাঁ-৫ (সদর) আসনে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা দেওয়া হয়েছে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আ স ম সায়েমকে। রানীনগর ও আত্রাই উপজেলা নিয়ে গঠিত নওগাঁ-৬ আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে আত্রাই উপজেলা জামায়াতের আমির মোহাম্মদ খবিরুল ইসলামকে। বদলগাছী ও মহাদেবপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত নওগাঁ-৩ আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত পিলার ২৫৬/৭ এস কাছ দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হলে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং আটজন নারী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।
আরো পড়ুন:
গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ
আটকরা হলেন—আছমা বেগম (৪০), খাদিজা বেগম (৩৪), পাখি বেগম (২৪), রুমা বেগম (২৫), কাকলি আক্তার (২৭), রুজিনা আক্তার (৩৩), কোহিনুর বেগম (২৬), নাসরিন বেগম (৩৩), মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬), সুমন হোসেন (২৭)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।
বিজিবি জানিয়েছে, আগ্রাদ্বিগুন বিওপির টহল কমান্ডার জেসিও সুবেদার মো. জিহাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মহেষপুরে ওই ১০ জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। মুম্বাই শহরে পুরুষ দুজন রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং নারী আটজন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে তাদেরকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। গত ২৯ জুলাই ভারতের হরিবংশীপুর বিএসএফ ক্যাম্পে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিএসএফ ওই ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলে বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা/সাজু/রফিক