ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন, তাঁর মা শাহানা হানিফ, স্বজন ফারহানা সাঈদ ও জাবেদ আহমেদের নামে থাকা ৭৯টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন আজ সোমবার এ আদেশ দেন।

এর আগে সাঈদ খোকন, তাঁর স্ত্রী ফারহানাসহ অন্যদের নামে থাকা ৭৯টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আবেদন করে দুদক। তাতে বলা হয়, সাঈদ খোকন, শাহানা হানিফ ও জাবেদ আহমেদের ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন রয়েছে। সাঈদ খোকন ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন। তাঁদের ব্যাংক হিসাব থেকে অর্থ হস্তান্তর বা স্থানান্তরের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দুদক জানতে পেরেছে। শুনানি নিয়ে আদালত সাঈদ খোকন, তাঁর মা, স্ত্রীসহ অন্যদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন।

এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর সাঈদ খোকন, তাঁর মা শাহানা হানিফ, স্বজন ফারহানা সাঈদ ও জাবেদ আহমেদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।

সাঈদ খোকন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র ছিলেন। তিনি ঢাকা–৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক হ স ব অবর দ ধ

এছাড়াও পড়ুন:

‘স্বপ্ন ছিল বুকে জড়িয়ে ধরার, এখন আশা দাফনটা যদি অন্তত করতে পারি’

সাদা রঙের দেয়াল ঘেরা সাদামাটা ছোট্ট একটি হলঘর। ডজনখানেক মা ও স্ত্রী চুপচাপ বসে আছেন সামনের সারিতে। বাবা, ভাই ও বন্ধুরা দাঁড়িয়ে আছেন পেছনের দিকে, দেয়াল ঘেঁষে। সবার চোখ স্থির ফিলিস্তিনের গাজার দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের ওই কক্ষের একটি স্ক্রিনের দিকে। সেখানে দেখানো হচ্ছে পচে-গেলে যাওয়া মরদেহের ছবি। এসব দেহাবশেষের কোনো একটি হয়তো তাঁদেরই এক প্রিয়জনের।

গাজার স্থানীয় কর্তৃপক্ষের আমন্ত্রণে এখানে এসেছে পরিবারগুলো। নিবিষ্টভাবে ছবিগুলো দেখছেন পরিবারের সদস্যরা। এ আশায় যে, ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত এই ফিলিস্তিনিদের মধ্যে যদি নিখোঁজ স্বজনকে শনাক্ত করা যায়।

মরদেহগুলো সম্প্রতি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে হওয়া বন্দী বিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ হস্তান্তর করেছে। মরদেহগুলোতে নির্যাতন ও পচনের সুস্পষ্ট চিহ্ন রয়েছে। তবে এগুলো ফেরত দেওয়া হয়েছে শনাক্তকরণের কোনো উপায় ছাড়াই। এমনকি মৃত্যুর তারিখ বা স্থানেরও উল্লেখ করা হয়নি।

গাজায় ডিএনএ পরীক্ষার সরঞ্জাম না থাকায় স্বজনদের জন্য তাঁদের প্রিয়জনকে শনাক্ত করার একমাত্র উপায় হলো পচে-গলে বিকৃত হয়ে যাওয়া মরদেহের ছবি মনোযোগ দিয়ে দেখা। এটি যেমন নিদারুণ যন্ত্রণাভরা এক প্রক্রিয়া, ঠিক তেমনই আর কোনো উপায়ও নেই।

স্ক্রিনে দেখানো পচে-গলে যাওয়া মরদেহের ছবি দেখে স্বজনদের শনাক্তের চেষ্টা। গাজার নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স; ১৮ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘স্বপ্ন ছিল বুকে জড়িয়ে ধরার, এখন আশা দাফনটা যদি অন্তত করতে পারি’