রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান নিয়ে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে তোলপাড় চলছে। ওই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুজ্জামান মনির। গত শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বাকেল উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন উপজেলার কাজী আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই সমাবেশে আয়োজন করেছিল। সমাবেশে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের পর থেকে রূপগঞ্জসহ নারায়ণগঞ্জ জেলা জুড়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।


সমাবেশে রূপগঞ্জ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব রহমান নিজের বক্তব্যে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়েছেন, যা নিয়ে হচ্ছে আলোচনা-সমালোচনা। পরে সভা মঞ্চ থেকে মাহাবুবকে দলের নেতাকর্মীরা অপমান করে নামিয়ে দেন। বিএনপির স্থানীয় অনেক নেতাকর্মীর দাবি, আওয়ামী লীগের সময় সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন মাহাবুব রহমান। ৫ আগষ্টের পর বিএনপিতে ফিরেন তিনি। 


নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি আবু মোহাম্মদ মাসুমের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুজ্জামান মনির। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যের আগে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।


রূপগঞ্জ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব রহমান ‘জয় বাংলা জয় .

...’ বলে বক্তব্য শেষ করেন। এ নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার ঝড় উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হচ্ছে সমালোচনা।


এ বিষয়ে বিএনপি নেতা মাহাবুব রহমান বলেন, আমি ভুল করে ‘জয় বাংলা বলে স্লোগান দিয়েছি। তবে জয় বাংলা স্লোগান আমাদের দুশমন, এটা আমাদের খানদানের দুশমন। আবেগের মধ্যেই জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বলেছিলাম। বিএনপির এ নেতার দাবি, তার বক্তব্যের শেষের দিকে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বলা ভুল হয়েছে। 


রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন বলেন, মাহাবুব রহমান আমাদের একজন প্রবীন নেতা। উনি কিভাবে জয় বাংলা বলে স্লোগান দিয়েছেন তা বুঝতে পারছি না। তাছাড়া শুনেছি, তিনি ৫ আগষ্টের আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুজ্জামানের সাথে রাজনীতি করছেন। এটি তিনি হয়তো ইচ্ছাকৃত করেননি।


রূপগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে গত ১৭ বছর আওয়ামী লীগ বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন চালিয়েছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর তার কিছু দোষর কিছু নেতার ছত্রছায়ায় তাদের দল পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে। মাহাবুব রহমান আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়েছিলেন। বিএনপির সমাবেশে তার এমন বক্তব্য মেনে নেওয়া যায় না।


এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ গোলাম ফারুক খোকন বলেন, কোনো বিএনপির নেতাকর্মী নিষিদ্ধ স্লোগান দিতে পারবে না। সংগঠন বহির্ভূত কোনো কর্মকানেড্ কেউ জড়ালে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। 


এদিকে স্থানীয়দের একাধিক সূত্র জানায়, আওয়ামীলীগের গাজী গোলাম দস্তগীর গাজীর বহু কর্মী-সমর্থক পুলিশী ঝামেলা এড়াতে বিএনপিতে ভিড়েছে। দল ভারী করতে রূপগঞ্জের শীর্ষ নেতারা তাদের কাছে নিয়েছে। তারই বহি:প্রকাশ ‘বিএনপির সমাবেশে ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান। 

 
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ জ ল ম হ ব ব রহম ন ব এনপ র ন ব এনপ র স ন ত কর ম র পগঞ জ উপজ ল আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় গভীর রাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মশাল মিছিল, আটক ৫

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ঝটিকা মশাল মিছিল থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। 

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) দিবাগত  রাত দেড়টার দিকে ফতুল্লার রঘুনাথপুর এলাকার ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের পাসপোর্ট অফিসের সামনে ছাত্রলীগ ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী মশাল হাতে নিয়ে একটি ঝটিকা মিছিল বের করেন। 

বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর দ্রুত জেলা যুবদল-ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং মিছিলটি প্রতিহত করেন।

পরে যুবদলের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে ফাহিম আহম্মেদ (২৩),  নিরব হোসেন (১৮), ফয়সাল (২০), অনিক আহমেদ অনিন (২১) এবং আবিরসহ (১৫) মোট পাঁচজন কর্মীকে আটক করে পুলিশের কাছে দেয়।

খবর পেয়ে ফতুল্লা থানা পুলিশের টহল দলের উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দন চন্দ্র সরকার দ্রুত ঘটনাস্থলে যান এবং আটকদের হেফাজতে নেন।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি ব্যানার, কয়েকটি মশাল, লাঠি এবং একটি পিকআপভ্যানও জব্দ করে।

এ বিষয়ে ফতুল্লা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান জানান, মিছিল করার সময় ছাত্রলীগের ৫ জনকে আটকের পর তাদের থানায় আনা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে বর্তমানে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যে কারণে নারায়ণগঞ্জ-৪ খালি রাখলো বিএনপি
  • বিএনপি কৃষকদের ফারমার্স কার্ড দিবে : সাখাওয়াত
  • তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে বন্দরে মহানগর বিএনপির কৃষক সভা
  • ১১২ টাকায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনে চাকরি পেলেন ১৪ জন
  • সোনারগাঁয়ের কাইকারটেক হাটে নির্বাচনী প্রচারণায় মামুন মাহমুদ 
  • রূপগঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
  • তারুণ্যের চোখে আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার
  • বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন না’গঞ্জ জেলা আঞ্চলিক কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত
  • নির্বাচন আসলেই ধর্মকে ব্যবহারের চেষ্টা দেখা যায় : সালাহউদ্দিন আহমেদ
  • ফতুল্লায় গভীর রাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মশাল মিছিল, আটক ৫