জনপ্রিয় ব্রিটিশ গায়ক এড শিরান এখন আছেন ভারত সফরে। তবে গতকাল রোববার অনুরাগীদের চমকে দিয়ে রাস্তার পাশেই গাইতে শুরু করেন তিনি। এরপর পুলিশ এসে তাঁকে থামিয়ে দেয়। যে ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি দিচ্ছেন অনেকে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের

রোববার এড শিরান বেঙ্গালুরুর চার্চ রোডে পারফর্ম করতে শুরু করেন। কিন্তু তাঁকে মাঝপথেই থামিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ এসে তাঁর সেই পারফরম্যান্স ভেস্তে দেয়। কেউ কেউ এ ক্ষেত্রে গায়ককে কটাক্ষ করেছেন তো কেউ আবার পুলিশকে। কী ঘটেছিল আসলে? এদিন এই গায়কের এক ভক্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনার ভিডিও পোস্ট করেছেন।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এড শিরান তাঁর জনপ্রিয় গান ‘শেপ অব ইউ’ গাইছেন। তাঁর পরনে সাদা টি–শার্ট। এদিন যখন পুলিশ এসে তাঁর প্লাগ খুলে দেয়, তখন গায়ককে বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের অনুমতি নেওয়া ছিল এখানে থাকার, কিন্তু এই পুলিশ এসে সেটা বন্ধ করে দিচ্ছে।’
এই ভিডিও দেখে গায়কের এক অনুসারী এক্সে লিখেছেন, ‘আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন শিল্পী বেঙ্গালুরুর চার্চ রোডে গান গাইছিলেন। তাঁর অনুমতি নেওয়া ছিল, তা–ও পুলিশ প্লাগ খুলে দিল। অত্যন্ত দুঃখজনক।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘বেশ করেছে। নিয়ম সবার জন্যই এক।’

অনেকেই পুলিশকে সমর্থন করেছেন। তাঁদের মতে, এটা বেশিক্ষণ চললে ভিড় হোক যেত। ‘পুষ্পা ২’ ছবির প্রিমিয়ারের সময় যেমন হয়েছিল, অঘোষিতভাবে অভিনেতা হলে যাওয়ায় হুড়োহুড়ি পড়ে মৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটে, এদিনও ঘটতে পারত বলে মনে করছেন অনেকেই।

বেঙ্গালুরু পুলিশের একটি সূত্র বার্তা সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছে, শিরান রাস্তার পাশে পারফর্ম করার জন্য আবেদন করলেও সেটার অনুমোদন দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য পিসি মোহন বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক শিল্পীদেরও স্থানীয় নিয়ম মেনে চলতে হবে।’

আরও পড়ুনবন্ধুকেই বিয়ে করবেন এড শিরান২১ জানুয়ারি ২০১৮

এড শিরান এখন ১৫ দিনের ভারত সফরে রয়েছেন। এরই মধ্যে তিনি পুনে, হায়দরাবাদ, চেন্নাইয়ে পারফর্ম করেছেন। এর পর তাঁর শিলং ও দিল্লিতে পারফর্ম করার কথা রয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প ল শ এস কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

রোজার আগেই নির্বাচন, এরপর আগের কাজে ফিরে যাবেন

অন্তর্বর্তী সরকার সময়মতো ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে পবিত্র রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের পর তিনি তাঁর আগের কাজে ফিরে যাবেন।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভাকে এসব কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন থেকে ভিডিও ফোনকলে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে কথা বলেন জর্জিয়েভা।

এ সময় তাঁরা বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক সংস্কার, আঞ্চলিক পরিস্থিতি এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচনের পূর্ববর্তী চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।

আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং এই কৃতিত্ব তাঁর নিজের।

অর্থনীতির সংকটকালীন পরিস্থিতি স্মরণ করে আইএমএফ প্রধান বলেন, ‘আপনার অর্জন আমাকে মুগ্ধ করেছে। অল্প সময়ে আপনি অনেক কিছু করেছেন। যখন অবনতির ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি ছিল, তখন আপনি দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন। আপনি সঠিক সময়ে সঠিক ব্যক্তি।’

ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বিশেষভাবে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের স্থিতিশীলতা এবং রিজার্ভ পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারের সাহসী পদক্ষেপ, বাজারভিত্তিক বিনিময় হার প্রবর্তনের প্রশংসা করেন।

অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের এক সংকটময় সময়ে আইএমএফ প্রধানের অবিচল সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘চমৎকার সহায়তার জন্য ধন্যবাদ।’ তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, গত বছর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তাঁদের প্রথম সাক্ষাৎ বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথ সুগম করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।

কথোপকথনে আইএমএফ প্রধান অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয় বৃদ্ধি এবং ব্যাংকিং খাতে গভীর সংস্কার বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘শক্ত অবস্থানে থাকতে হলে সংস্কার অনিবার্য। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অমূল্য মুহূর্ত।’

অধ্যাপক ইউনূস জানান, তাঁর সরকার ইতিমধ্যে ব্যাংকিং খাত পুনর্গঠন এবং রাজস্ব সংগ্রহ জোরদারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এক বিধ্বস্ত ও সম্পূর্ণ ভেঙে পড়া অর্থনীতি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। কিছু ব্যক্তি আক্ষরিক অর্থে ব্যাগভর্তি টাকা ব্যাংক থেকে নিয়ে পালিয়ে গেছে।’

এ ছাড়া আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। এর মধ্যে ছিল নেপালে চলমান যুব আন্দোলন এবং আসিয়ানভুক্তির জন্য বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা। অধ্যাপক ইউনূস আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি জোরদারের লক্ষ্যে ঢাকার বৃহৎ অবকাঠামো উদ্যোগ—যেমন নতুন বন্দর ও টার্মিনাল প্রকল্প—সম্পর্কেও অবহিত করেন।

আলোচনাকালে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং অর্থসচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফের রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার 
  • আমার স্বামীর উপরে কু-নজর পড়েছে: অঙ্কিতা
  • সম্পদ বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকের ওপর ক্ষেপলেন ট্রাম্প
  • ‘আমি থানার ওসি, আপনার মোবাইল হ্যাকড হয়েছে’
  • অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে কেন চটে গেলেন ট্রাম্প, আলবানিজের কাছে নালিশেরও হুমকি দিলেন
  • কালিয়াকৈরে এক মাসে ২০ ডাকাত গ্রেপ্তার 
  • বাঁশির সুরে বিরহের কষ্ট ভুলতে চান রিকশাচালক শফিকুল
  • রোজার আগেই নির্বাচন, এরপর আগের কাজে ফিরে যাবেন
  • ট্রেন থেকে পড়ে ৮ দিন ধরে হাসপাতালে ছেলে, ফেসবুকে ছবি দেখে ছুটে এলেন মা
  • ভাড়া বাসায় একা থাকতেন বৃদ্ধা, তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার