সাজগোজ
দেশের অন্যতম পার্সোনাল ও বিউটি কেয়ার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘সাজগোজ’ এ বছর ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে এক্সাইটিং ‘রেড হট ভ্যালেন্টাইনস সেল’ ক্যাম্পেইন শুরু করেছে, যা আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত চলবে। ভালোবাসা দিবস আরও আনন্দময় করে তুলতে গ্রাহকরা কেনাকাটায় পাবেন এক্সক্লুসিভ ডিসকাউন্ট, ফ্রি ডেলিভারি (নির্দিষ্ট দিনে) এবং আকর্ষণীয় গিফট হ্যাম্পার জেতার সুবর্ণ সুযোগ।
ক্যাম্পেইন চলাকালে পারফিউম, স্কিনকেয়ার ও মেকআপ প্রোডাক্ট এবং গিফট বান্ডেলে ক্রেতারা পাচ্ছেন সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড়। ভালোবাসা দিবসকে সবার জন্য আরও সুন্দর ও আনন্দময় করে তুলতেই সাজগোজের এই বিশেষ আয়োজন।
ক্যাম্পেইনে আরও আছে ‘লাভ স্টোরি কনটেস্ট’, যেখানে অংশ নিলে থাকছে ৫ হাজার টাকা দামের এক্সক্লুসিভ গিফট হ্যাম্পার জেতার সুযোগ। অংশগ্রহণের জন্য আপনার প্রিয়জনের সঙ্গে একটি ছবি তুলে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্ট করতে হবে এবং ক্যাপশনে লিখতে হবে নিজের ভালোবাসার গল্প। সেরা তিনটি লাভ-স্টোরির জন্য থাকছে সাজগোজের পক্ষ থেকে ৫ হাজার টাকা দামের গিফট হ্যাম্পার।
বিস্তারিত জানতে সাজগোজের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন অথবা অ্যাপ ডাউনলোড করুন কিংবা নিকটবর্তী আউটলেটে যোগাযোগ করুন।
রুমকি’স ক্লোজেট
পহেলা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে অনলাইন শপ রুমকি’স ক্লোজেট এনেছে বাহারি সব শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ ও কুর্তির কালেকশন। পোশাকে উৎসবের লুক আনতে এবার করা হয়েছে মসলিন শাড়ি, সিল্ক শাড়ি, কটন ও হাফ সিল্ক শাড়ি। পোশাকের রং হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে লাল, হলুদ, গোলাপি, নীল ও ম্যাজেন্টা। নকশার মোটিফেও রয়েছে উৎসবের ছোঁয়া। সালোয়ার-কামিজেও আনা হয়েছে উৎসবের রং-রূপ। এক্সক্লুসিভে মসলিনে এমব্রয়ডারি, কারচুপি, কাঠাদানা, সিকুয়েন্স, অ্যাপলিক ও পার্লের কাজ করা হয়েছে। সিল্কে টাইডাই, কারচুপি, এমব্রয়ডারি এবং কটন থ্রিপিসগুলোর মধ্যে স্ক্রিন প্রিন্ট, ব্লক ও এমব্রয়ডারি করা হয়েছে। পোশাকগুলো পাওয়া যাবে ২ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে। v
সুন্দোরা
সুন্দোরা বিউটি নিয়ে এলো ভালোবাসা দিবসের বিশেষ ক্যাম্পেইন ‘গিফটস অব লাভ’। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ক্রেতা নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী উপহার বাক্স তৈরি করতে পারবেন। এ ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়ে গ্রাহকরা স্কিনকেয়ার, আইকনিক পারফিউম, বিশ্বখ্যাত মেকআপ ব্র্যান্ডের প্রসাধনী এবং সেন্টেড ক্যান্ডলসহ প্রিমিয়াম সৌন্দর্য পণ্যের সমন্বয়ে কাস্টমাইজড উপহার বাক্স তৈরি করতে পারবেন। প্রতিটি বাক্স সাজানো যাবে ব্যক্তিগত স্বাদ ও পছন্দ অনুযায়ী, যা উপহারকে আরও অর্থবহ ও স্মরণীয় করে তুলবে। বাংলাদেশের অনুমোদিত সৌন্দর্য পণ্য রিটেইলার হিসেবে নিজেদের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করতে সুন্দোরা বিউটি এবার নতুন কিছু বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড যেমন মাঞ্চ ব্ল্যাঙ্ক, জিমি চু, মেইসন মারজালা, টনিমলি, মনক্লার ও ইভস সেন্ট লরেন্ট বাংলাদেশে এনেছে। এ ব্র্যান্ডগুলোর এক্সক্লুসিভ কালেকশন শুধু সুন্দোরা বিউটির স্টোরেই পাওয়া যাবে। গ্রাহকরা প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে কেনাকাটা করতে পারেন অথবা ঢাকার বনানী, গুলশান এবং ধানমন্ডিতে অবস্থিত সুন্দোরা বিউটির স্টোরগুলোয় সরাসরি গিয়ে তাদের পছন্দের পণ্য ক্রয় করতে পারেন। v
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক য ম প ইন
এছাড়াও পড়ুন:
তুলশীগঙ্গার তীরে সন্ন্যাসতলীর শতবর্ষী ঘুড়ির মেলা
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের মহব্বতপুর গ্রাম ঘেঁষে তুলশীগঙ্গা নদীর অদূরে সন্ন্যাসতলীর বটতলা। জায়গাটিতে প্রায় একশ বছর আগে থেকে বাংলা জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষ শুক্রবার আয়োজন হয় ঘুড়ির মেলা। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। অন্তত ৫০ গ্রামের হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে শুক্রবার সন্ন্যাসতলী ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মেলার দিনক্ষণ মনে রেখে সময়মতো দোকানিদের পাশাপাশি দর্শনার্থীরা ভিড় জমান নিভৃত পল্লীতে। আগে মেলার দিন বৃষ্টি হওয়া যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু এবার ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটেছে। প্রচণ্ড গরম ও তাপপ্রবাহের মধ্যেই চলে এ আয়োজন। বৈরী পরিবেশের কারণে উৎসবের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয় প্রবীণ বাসিন্দারা বলছেন, সন্ন্যাসতলীর এ ঘুড়ি উৎসব শুরুর দিন বিকেলে বটতলায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় সন্ন্যাস পূজা পালন করেন। তাদের এ পূজা-অর্চনা ঘিরেই মূলত এ মেলার উৎপত্তি। তবে শুরুর কথা কেউ বলতে পারেননি। প্রবীণরা শুধু জানেন, একশ বছরের বেশি সময় ধরে তারা এ মেলার আয়োজন দেখে আসছেন।
মেলার নিজস্ব জায়গা না থাকলেও এর ব্যাপ্তি প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যেই এক দিনের এ মেলা ঘিরেই জেলার জামালগঞ্জ চারমাথা থেকে ঐতিহাসিক আছরাঙ্গাদীঘি পর্যন্ত রকমারি পণ্যের দোকান বসে। এখান থেকে সংসারের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন আসবাব থেকে শুরু করে ছোট মাছ ধরার বাঁশের তৈরি পণ্য খলসানি, টোপা, ডালা, চালুন কিনে নেন অনেকে।
সুতার তৈরি তৌরা জাল, গৃহস্থালি কাজে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি, বিভিন্ন ধরনের খেলনা, মিষ্টান্ন, প্রসাধনী, মাটির তৈজসপত্রসহ বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি হয়। শিশুদের বিনোদনের জন্য ছিল নাগরদোলার ব্যবস্থাও। আর মেলার বড় আকর্ষণ ঘুড়ি ওড়ানো ও বিক্রি। পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা এসেছিলেন ঘুড়ি বিক্রি করতে।
প্রচণ্ড গরমের পাশাপাশি তেমন হাওয়া-বাতাস না থাকায় এবার ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতা সেভাবে জমে ওঠেনি। তবে ঘুড়ি বেচাকেনা ও শিশু-কিশোরদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। এ উপলক্ষে আসা হাজার হাজার দর্শনার্থীর নিরাপত্তার জন্য মেলায় সার্বক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টহল ছিল।
আদমদীঘির শিববাটি গ্রামের ঘুড়ি ব্যবসায়ী সালাম হোসেনের ভাষ্য, সন্ন্যাসতলীর মেলা বড় হওয়ায় তিনি এসেছেন ঘুড়ি বিক্রির জন্য। মেলায় প্রত্যাশা অনুযায়ী ঘুড়ি বিক্রি করতে পেরে তিনি খুশি। জয়পুরহাটের পার্বতীপুর এলাকার ঘুড়ি ব্যবসায়ী মফিজ উদ্দিন ও মজনু সরদার বলেন, পূর্বপুরুষের আমল থেকে এ মেলার কথা শুনে আসছেন তারা।
মেলা উদযাপন ও পূজা কমিটির সদস্য মহব্বতপুর গ্রামের মন্টু মণ্ডল বলেন, মেলাটি হিন্দু সম্প্রদায়ের হলেও এটি আসলে সব ধর্মালম্বীর মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে।
মামুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মিলন হোসেনের ভাষ্য, এক দিনের আয়োজনে যে এত লোকের সমাগম হতে পারে, তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। মেলায় যেন অনৈতিক কর্মকাণ্ড না হয়, সে ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ক্ষেতলাল থানার ওসি মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং মেলায় আসা দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ প্রশাসন সতর্ক আছে। মেলায় অনৈতিক আচরণ লক্ষ্য করা গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।