Samakal:
2025-09-18@14:06:50 GMT

ভালোবাসা দিবসের আয়োজন

Published: 11th, February 2025 GMT

ভালোবাসা দিবসের আয়োজন

সাজগোজ  
দেশের অন্যতম পার্সোনাল ও বিউটি কেয়ার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘সাজগোজ’ এ বছর ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে এক্সাইটিং ‘রেড হট ভ্যালেন্টাইনস সেল’ ক্যাম্পেইন শুরু করেছে, যা আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত চলবে। ভালোবাসা দিবস আরও আনন্দময় করে তুলতে গ্রাহকরা কেনাকাটায় পাবেন এক্সক্লুসিভ ডিসকাউন্ট, ফ্রি ডেলিভারি (নির্দিষ্ট দিনে) এবং আকর্ষণীয় গিফট হ্যাম্পার জেতার সুবর্ণ সুযোগ। 
ক্যাম্পেইন চলাকালে পারফিউম, স্কিনকেয়ার ও মেকআপ প্রোডাক্ট এবং গিফট বান্ডেলে ক্রেতারা পাচ্ছেন সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড়। ভালোবাসা দিবসকে সবার জন্য আরও সুন্দর ও আনন্দময় করে তুলতেই সাজগোজের এই বিশেষ আয়োজন।
ক্যাম্পেইনে আরও আছে ‘লাভ স্টোরি কনটেস্ট’, যেখানে অংশ নিলে থাকছে ৫ হাজার টাকা দামের এক্সক্লুসিভ গিফট হ্যাম্পার জেতার সুযোগ। অংশগ্রহণের জন্য আপনার প্রিয়জনের সঙ্গে একটি ছবি তুলে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্ট করতে হবে এবং ক্যাপশনে লিখতে হবে নিজের ভালোবাসার গল্প। সেরা তিনটি লাভ-স্টোরির জন্য থাকছে সাজগোজের পক্ষ থেকে ৫ হাজার টাকা দামের গিফট হ্যাম্পার। 
বিস্তারিত জানতে সাজগোজের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন অথবা অ্যাপ ডাউনলোড করুন কিংবা নিকটবর্তী আউটলেটে যোগাযোগ করুন। 
 

 

রুমকি’স ক্লোজেট  
পহেলা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে অনলাইন শপ রুমকি’স ক্লোজেট এনেছে বাহারি সব শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ ও কুর্তির কালেকশন। পোশাকে উৎসবের লুক আনতে এবার করা হয়েছে মসলিন শাড়ি, সিল্ক শাড়ি, কটন ও হাফ সিল্ক শাড়ি। পোশাকের রং হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে লাল, হলুদ, গোলাপি, নীল ও ম্যাজেন্টা। নকশার মোটিফেও রয়েছে উৎসবের ছোঁয়া। সালোয়ার-কামিজেও আনা হয়েছে উৎসবের রং-রূপ। এক্সক্লুসিভে মসলিনে এমব্রয়ডারি, কারচুপি, কাঠাদানা, সিকুয়েন্স, অ্যাপলিক ও পার্লের কাজ করা হয়েছে। সিল্কে টাইডাই, কারচুপি, এমব্রয়ডারি এবং কটন থ্রিপিসগুলোর মধ্যে স্ক্রিন প্রিন্ট, ব্লক ও এমব্রয়ডারি করা হয়েছে। পোশাকগুলো পাওয়া যাবে ২ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে। v

সুন্দোরা   
সুন্দোরা বিউটি নিয়ে এলো ভালোবাসা দিবসের বিশেষ ক্যাম্পেইন ‘গিফটস অব লাভ’। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ক্রেতা নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী উপহার বাক্স তৈরি করতে পারবেন।  এ ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়ে গ্রাহকরা স্কিনকেয়ার, আইকনিক পারফিউম, বিশ্বখ্যাত মেকআপ ব্র্যান্ডের প্রসাধনী এবং সেন্টেড ক্যান্ডলসহ প্রিমিয়াম সৌন্দর্য পণ্যের সমন্বয়ে কাস্টমাইজড উপহার বাক্স তৈরি করতে পারবেন। প্রতিটি বাক্স সাজানো যাবে ব্যক্তিগত স্বাদ ও পছন্দ অনুযায়ী, যা উপহারকে আরও অর্থবহ ও স্মরণীয় করে তুলবে। বাংলাদেশের অনুমোদিত সৌন্দর্য পণ্য রিটেইলার হিসেবে নিজেদের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করতে সুন্দোরা বিউটি এবার নতুন কিছু বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড যেমন মাঞ্চ ব্ল্যাঙ্ক, জিমি চু, মেইসন মারজালা, টনিমলি, মনক্লার ও ইভস সেন্ট লরেন্ট বাংলাদেশে এনেছে। এ ব্র্যান্ডগুলোর এক্সক্লুসিভ কালেকশন শুধু সুন্দোরা বিউটির স্টোরেই পাওয়া যাবে। গ্রাহকরা প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে কেনাকাটা করতে পারেন অথবা ঢাকার বনানী, গুলশান এবং ধানমন্ডিতে অবস্থিত সুন্দোরা বিউটির স্টোরগুলোয় সরাসরি গিয়ে তাদের পছন্দের পণ্য ক্রয় করতে পারেন। v

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক য ম প ইন

এছাড়াও পড়ুন:

২০০ বছরের ঐতিহ্য নিয়ে ভোলার বৈষা দধি

ভোলার ভ্যাপসা গরম, দুপুর গড়াতে না গড়াতেই সদর রোডজুড়ে তীব্র যানজট নাগরিক জীবনকে ব্যস্ত করে ফেলে। গরমে হাঁসফাঁস করা মানুষ একটু স্বস্তি খোঁজে। আর সেই স্বস্তি এনে দিতে পারে ভোলার বিখ্যাত বৈষা দধি।

দুপুরের আগেই সব দোকানের হাঁড়ি ফাঁকা হয়ে যায়। মহিষের কাঁচা দুধে পাতানো এই দই ভোলার স্বাদ, ইতিহাস ও গর্বের এক অনন্য বহিঃপ্রকাশ।

ভোলার দোকানগুলোতে প্রতিদিন মণকে মণ বৈষা দধি তৈরি হয়। এই দইয়ের বিশেষত্ব হলো, মহিষের কাঁচা দুধ দিয়ে এটি পাতা হয়। বাজারে সচরাচর যে দই পাওয়া যায়, সেসব তৈরি হয় গরুর দুধ দিয়ে এবং দুধ জ্বালিয়ে গাঢ় করে। কিন্তু ভোলার বৈষা দধি হয় মহিষের কাঁচা দুধ দিয়ে।

জলবেষ্টিত দ্বীপ জেলা ভোলার এক অমূল্য সম্পদ মহিষ। পূর্বে মেঘনা, পশ্চিমে তেঁতুলিয়া, উত্তরে ইলিশা আর দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর—এই চার নদী ও সমুদ্রবেষ্টিত চরাঞ্চলে ঘুরে বেড়ায় হাজার হাজার মহিষ। সরকারি হিসাবে এই সংখ্যা দেড় লাখের কাছাকাছি, তবে স্থানীয় লোকজনের মতে তা দুই লাখ ছাড়িয়েছে। এই মহিষের দুধই বৈষা দধির প্রাণ।

প্রায় দুই শতাব্দী ধরে এ অঞ্চলের মানুষের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় থাকে এই দই। এ ছাড়া অতিথি আপ্যায়নের অন্যতম প্রধান উপাদান এটি। উৎসব-পার্বণ, বিয়েশাদি কিংবা যেকোনো সামাজিক আয়োজনে বৈষা দধি ছাড়া যেন ভোলার কোনো উৎসব পরিপূর্ণতা পায় না।

মুহাম্মদ শওকাত হোসেনের ‘ভোলা জেলার ইতিহাস’ বই থেকে জানা যায়, দুই শ বছর আগে থেকে ভোলায় চর জাগতে শুরু করে। বসতি হয়, মহিষ পালন শুরু হয়। দুধ সংরক্ষণের উপায় ছিল না বলে স্থানীয় বাসিন্দারা দই বানাতেন। সেখান থেকেই বৈষা দধির যাত্রা শুরু, যা পরে ছড়িয়ে পড়ে পুরো অঞ্চলে।

ভোলার মানুষের খাদ্যসংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে এই দই। এটি ভাতের সঙ্গে খাওয়া হয়, চিড়া-মুড়ির সঙ্গে মিশিয়ে তৈরি হয় মুখরোচক খাবার, আবার গরমের দিনে দই, পানি ও চিনি মিশিয়ে তৈরি করা হয় ঘোল—যা শরীরকে শীতল রাখে। শীতকালে হাঁসের মাংসের সঙ্গে টক দই ও খেজুরের গুড়—ভোলার ভোজনরসিকদের কাছে এক অনন্য স্বাদ। পান্তাভাতের সঙ্গে দই ও খেজুরের গুড় এই অঞ্চলের জনপ্রিয় একটি খাবার।

বর্তমানে প্রতি কেজি বৈষা দই বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। তবে ঈদে দাম বেড়ে যায়। ঈদের আগেই বিক্রেতারা দুধ জমাতে শুরু করেন এবং এ সময়ে প্রতিদিন ৮০০–৯০০ কেজি পর্যন্ত দই বিক্রি হয়।

ভোলার দোকানগুলোতে প্রতিদিন মণকে মণ বৈষা দধি তৈরি হয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চৌধুরীবাড়ী ব্যবসায়ী এসোসিয়েশন নির্বাচনে উৎসবের আমেজ
  • ঠাকুরগাঁওয়ে ঐতিহ্যবাহী কারাম উৎসব অনুষ্ঠিত
  • উৎসব ঘুরে প্রেক্ষাগৃহে ‘বাড়ির নাম শাহানা’
  • কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব
  • কারও কোনো অপরাধ নাই
  • বিশ্বকর্মা পূজা: গাঙ্গেয় শিল্পের উৎসব
  • আজ থেকে বুসান উৎসব, নানাভাবে রয়েছে বাংলাদেশ
  • ‎সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব : ডিসি
  • ঘুম থেকে অনন্ত ঘুমে অস্কারজয়ী রবার্ট রেডফোর্ড
  • ২০০ বছরের ঐতিহ্য নিয়ে ভোলার বৈষা দধি