জঁমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জে “গোদনাইল প্রিমিয়ার লীগ-(জিপিএল) সিজন-২” এর ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে নাসিক ৮নং ওয়ার্ডের গোদনাইল মুসলিম নগর এলাকায় এ পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় একটি খেলার মাঠের জন্য অতিথিদের কাছে যুবসমাজ ও এলাকাবাসী দাবীর আহ্বান করেন।

এসময় জিপিএল সিজন-২ এর চ্যাম্পিয়নস দল ইনভিন্সিবল টাইটানস, রানার-আপ দল ট্রফি ফাইটার, তৃতীয় স্থান অর্জনকারী দল অগ্রগামী সংঘ এবং চতুর্থস্থান অর্জনকারী দল ইয়াং ভয়েজকে ট্রফি তুলে দেয়া হয়। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করে দর্শকদের বিনোদন দেয়া হয়।

“গোদনাইল প্রিমিয়ার লীগ-(জিপিএল) সিজন-২”র আয়োজক কমিটির উপদেষ্টা বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো: দেলোয়ার হোসেন খোকনের সভাপতিত্বে এবং উপদেষ্টা আজিম মোল্লা বাপ্পীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও বাবুল খন্দকারের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এড.

রাকিবুর রহমান সাগর, বিশিষ্ট শিক্ষক খায়রুজ্জামান, বিশিষ্ট সমাজ সেবক আবুল খায়ের জজ, হাবিবুর রহমান শিকদার, মিজানুর রহমান টুটুল, মো: সাইফুল ইসলাম ও রাসেল হোসেন এবং এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক হৃদয় শিকদার, সদস্য সচিব কাজল হোসেন, সদস্য রোমান মোল্লা, কবির মোল্লা, শফিকুল ইসলাম দিদার, শাহজালাল ভুইয়া, রিপন, জীবন শিকদার ও বাবু শিকদার প্রমূখ।

এরআগে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর বিকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পায়রা উড়ানো, জার্সি উন্মোচন, আলোচনা সভা ও আতশবাজীর মত জঁমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে জিপিএল সিজন-২ এর আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করা হয়।

এবারের টি-১০ লীগে প্রথম পর্বে ৭টি দল অংশগ্রহণ করেন। গত ২৩ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার বিকালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি উন্মোচনের মধ্য দিয়ে লীগের দ্বিতীয় পর্বে সেমি ফাইনালে ইনভিন্সিবল টাইটানস বনাম অগ্রগামী সংঘ এবং ইয়াং ভয়েজ বনাম ট্রফি ফাইটার মুখোমুখী হয় এবং ৩১ জানুয়ারী ফাইনাল খেলায় ইনভিন্সিবল টাইটানস বনাম ট্রফি ফাইটার মুখোমুখী হয় এবং এতে ইনভিন্সিবল টাইটানস চ্যাম্পিয়ন হয়।

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ জ প এল ফ ইন ল স জন ২

এছাড়াও পড়ুন:

ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক। 

 এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”

বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।” 

চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”

ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।” 

হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে। 

গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।

কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”

ঢাকা/রাঙামাটি/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১৩ ঘণ্টা পর রংপুরের রেল যোগাযোগ সচল
  • ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
  • হেরোইন বিক্রির অভিযোগে ধামরাইয়ে গ্রেপ্তার ৩
  • টেকনাফে সাড়ে ৩ লাখ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ২