যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু’র দায়িত্ব পাচ্ছেন দক্ষিণ এশীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ পল কাপুর। তাঁকে মনোনীত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সিনেটে পাস হলে ডোনাল্ড লু’র স্থলাভিষিক্ত হবেন পল কাপুর।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড জানিয়েছে, পল কাপুরের নিয়োগ দক্ষিণ এশিয়ার প্রতি, বিশেষ করে– ভারত ও পাকিস্তানের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গিতে একটি কৌশলগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত পল কাপুর যুক্তরাষ্ট্রের নেভাল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্কুলের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক বিভাগের অধ্যাপক। তিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি এবং আমহার্স্ট কলেজ থেকে বিএ করেছেন। বর্তমান একাডেমিক অবস্থানের আগে তিনি ক্লেরমন্ট ম্যাককেনা কলেজে পড়াতেন এবং স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং প্রফেসর ছিলেন।

পল কাপুর আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি পরিকল্পনায় সক্রিয়ভাবে জড়িত। ২০২০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনি স্টেট ডিপার্টমেন্টের পলিসি প্ল্যানিং স্টাফের দায়িত্বে ছিলেন। এ ছাড়া দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া, ইন্দো-প্যাসিফিক নিরাপত্তা এবং যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনায় অবদান রেখেছেন। এর বাইরে তিনি যুক্তরাষ্ট্র-ভারত ‘ট্র্যাক ১.

৫’ কৌশলগত সংলাপ এবং দুই দেশের মধ্যে অন্যান্য প্রতিরক্ষা-সম্পর্কিত বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির প্রার্থীর তালিকায় নেই তারকারা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে কয়েকজন জনপ্রিয় তারকার মনোনয়ন পাওয়ার গুঞ্জন থাকলেও শেষ পর্যন্ত প্রার্থী তালিকায় তাদের নাম নেই।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭ আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন:

শাহরুখের অজানা এই সাত তথ্য জানেন?

মালয়েশিয়ায় পরীমণির দশ দিন

তবে আলোচনায় থাকা কোনো তারকা প্রার্থী চূড়ান্ত তালিকায় আসেননি। সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন (নীলফামারী–৪), মনির খান (ঝিনাইদহ–৩) ও রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা (সিরাজগঞ্জ–১) মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।

তাদের মধ্যে বেবী নাজনীন ও মনির খানের আসনে যথাক্রমে আবদুল গফুর সরকার ও মেহেদী হাসান মনোনয়ন পেয়েছেন। কনকচাঁপার আসনের প্রার্থী এখনো ঘোষণা হয়নি।

২০১৮ সালের নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ–১ আসন থেকেই বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন কনকচাঁপা। তখন আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। এবারের নির্বাচনে আবারো লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে জানা যায়।

মনির খান ও কনকচাঁপা দুজনই বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাসাসের কেন্দ্রীয় নেতা। এছাড়া দলটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও চলচ্চিত্র অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বলের নামও আলোচনায় ছিল।

উজ্জ্বল বলেন, “দল যদি মনে করে আমার প্রার্থী হওয়া দরকার, আমি প্রস্তুত।”

বিএনপির এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে আপাতত স্পষ্ট—বিনোদন অঙ্গনের জনপ্রিয় মুখগুলো এবারো দলীয় প্রার্থী তালিকার বাইরে থাকছেন।

ঢাকা/রাহাত/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ