রাবিতে উদযাপন হয়নি বসন্তবরণ উৎসব, প্রেমবঞ্চিত সংঘের বিক্ষোভ
Published: 14th, February 2025 GMT
প্রতি বছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ এবং চারুকলা বিভাগ বসন্তবরণ উদযাপন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেও এ বছর কোনো বিভাগের আয়োজনে বসন্ত বরণ উদযাপন অনুষ্ঠিত হয়নি।
এদিকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছেন প্রেমবঞ্চিত সংঘের সদস্যরা। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই বিক্ষোভ হয়। পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ‘তুমি কে, আমি কে বঞ্চিত, বঞ্চিত’, এমন নানা স্লোগান দেন অংশগ্রহণকারীরা।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সংগঠনটির সদস্যরা বলেন, এই কর্মসূচি ৯ বছর ধরে পালিত আসছে। সমাজে প্রেম ও ভালোবাসার অভাব পরিলক্ষিত। অবশ্যই আমরা প্রেমের বিরুদ্ধে না, তবে পবিত্র প্রেমের নামে এই বৈষম্য চাই না। আমরা চাই সমতা। এজন্য ভালোবাসা দিবসে এই কর্মসূচি।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন প্রেমবঞ্চিত শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিলটি পরিবহন মার্কেট থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিম পাড়া এলাকায় মেয়েদের সকল হল ঘুরে সেন্টার লাইব্রেরি ও পারিস রোড হয়ে বুদ্ধিজীবী চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বসন ত উৎসব
এছাড়াও পড়ুন:
ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।
কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।
এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।
অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।
একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।
যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’