কুড়িগ্রামে বাংলাদেশে ঢুকে মারধর বিএসএফ-এর, আহত ৫
Published: 14th, February 2025 GMT
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কৃষ্ণানন্দ বকশী সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে পাঁচ বাংলাদেশিকে মারধর করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে বারোমাসিয়া নদীর তীরে ৫০০ গজ অভ্যন্তরে সীমান্তের ৯৩০ সাব পিলার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে ভারতের ১৩৮ নারায়ণগঞ্জ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা গোড়কমন্ডল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বিএসএফ সদস্যরা। এসময় বাংলাদেশিরা তাদের বাধা দিলে বিএসএফ সদস্যরা উত্তেজিত হয়ে তাদের মারধর করে। পরে গ্রামবাসী জড়ো হয়ে বিএসএফ সদস্যদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।
বিএসএফ-এর মারধরের ঘটনায় পাঁচ বাংলাদেশি আহত হয়েছে। তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আহতরা হলেন- কৃষ্ণানন্দ বকসী গ্রামের ইসরাইল হোসেনের ছেলে মো.
স্থানীয় রুবেল ইসলাম বলেন, “দুপুরে ভারতের জওয়ানরা বাংলাদেশের ভিতরে এলে আমরা বাধা দেই। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের মারধর করে।”
অপর বাসিন্দা বেলাল হোসেন বলেন, “বিএসএফরা স্থানীয়দের মারধর করলে আমরা গ্রামবাসী একজোট হয়ে ধাওয়া দিই। ধাওয়া খেয়ে তারা পালিয়ে যায়।”
গোরকমন্ডল বিওপি ক্যাম্পের হাবিলদার দেলোয়ার হোসেন বলেন, “গ্রামবাসীদের সাথে বিএসএফের মারধরের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আমরা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছি।”
এ বিষয়ে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শাহ্ মো. শাকিল আলম জানান, স্থানীয়দের অভিযোগ গোড়কমন্ডল সীমান্তের কৃঞ্চনন্দ গ্রামে বাংলাদেশের অভ্যান্তরে প্রবেশ করে বাংলাদেশিদের মারধর করেছে বিএসএফ। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি।”
ঢাকা/বাদশাহ্/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
তেঁতুলিয়া সীমান্তে পুশইনের সময় ভারতীয় নাগরিকসহ আটক ৫
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার পেদিয়াগঞ্জ সীমান্তে পুশইনের সময় পাঁচজনকে আটক করেছে বিজিবি। শনিবার সকালে পেদিয়াগঞ্জ বিওপির সদস্যরা তাদের আটক করে। তাদের তিনজন বাংলাদেশি ও দুইজন ভারতীয় নাগরিক।
বিজিবি জানায়, তেঁতুলিয়া পেদিয়াগঞ্জ বিওপির সীমান্তের মেইন পিলার ৪৩০/২ এস থেকে প্রায় ৭০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গুচ্ছগ্রাম থেকে ভারতের প্রতিপক্ষ ১৩২/পুরোহিতগঞ্জ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা চান্দাপাড়া এলাকা থেকে বিএসএফের পুশইন করা দুইজন নারী ও তিনজন পুরুষকে আটক করে বিজিবির টহলদল।
আটক বাংলাদেশিরা হলেন- যশোরের শার্শা থানার বড় কলোনি গ্রামের মারফত আলীর ছেলে কোরবান গাজী (৩৩), অভয়নগর থানার ডাকহিদিয়া শ্যামলনগর গ্রামের মৃত মকবুল শেখের ছেলে তরিকুল শেখ (৪২) ও নড়াইল সদর থানার গোবরা বাজারের বীরগ্রাম গ্রামের মৃত ঈশ্বর গোপাল চন্দ্র বিশ্বাসের মেয়ে শ্রী বন্দনা রানী বিশ্বাস (৩৭)।
ভারতীয় নাগরিকরা হলেন- মোছা. নাজমা (২৭) এবং মোছা. ফারজানা (২৩)। নাজমা পালঘর জেলার বুড়িগুলি থানার কান্দেওয়ালি গ্রামের ইয়াসিন সরকারের মেয়ে এবং ফারজানা পালঘর জেলার ধানিউ থানার পালঘাট ভাসাই গ্রামের মারফত আলী গাজীর মেয়ে।
আটককৃত ব্যক্তিদের তেঁতুলিয়া মডেল থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।