কয়েক দিনের ব্যবধানে ফের উত্তপ্ত বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত। এবার বাংলাদেশি নাগরিকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের উত্তর জেলা কোচবিহারের গিতালদহের নারায়ণগঞ্জ বিওপি এলাকায়। ঘটনা ঘিরে তুমুল উত্তাপ ছড়িয়েছে পুরো সীমান্ত এলাকায়। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে বাংলাদেশের সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতীয় সীমান্তে অনুপ্রবেশ করার সময় তিন বাংলাদেশিকে ধাওয়া করে বিএসএফের টহলরত বাহিনী। অভিযোগ পাওয়া গেছে, এ সময় বিএসএফের কর্তব্যরত বাহিনীর সদস্যদের কয়েকজনের ওপর পাল্টা আক্রমণ করে ওই বাংলাদেশিরা। আক্রমণে চার থেকে পাঁচজন বিএসএফ জওয়ান গুরুতর আহত হয়েছেন।

পুরো ঘটনা ও জওয়ান আহতের বিষয়ে বিএসএফ এখনো পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।

এদিকে সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে বিশাল ফোর্স নিয়ে ওই এলাকায় যান বিএসএফের কর্মকর্তারা। জওয়ান মোতায়েন দেখে পালিয়ে যান তারা।

এদিকে ঘটনার পর দুই পারের বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় টহল দেওয়া শুরু করেছে দিনহাটা থানার পুলিশ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এসএফ ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ

নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। 

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত পিলার ২৫৬/৭ এস কাছ দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হলে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং আটজন নারী। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।

আরো পড়ুন:

গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ

বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ

আটকরা হলেন—আছমা বেগম (৪০), খাদিজা বেগম (৩৪), পাখি বেগম (২৪), রুমা বেগম (২৫), কাকলি আক্তার (২৭), রুজিনা আক্তার (৩৩), কোহিনুর বেগম (২৬), নাসরিন বেগম (৩৩), মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬), সুমন হোসেন (২৭)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।

বিজিবি জানিয়েছে, আগ্রাদ্বিগুন বিওপির টহল কমান্ডার জেসিও সুবেদার মো. জিহাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মহেষপুরে ওই ১০ জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। মুম্বাই শহরে পুরুষ দুজন রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং নারী আটজন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে তাদেরকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। গত ২৯ জুলাই ভারতের হরিবংশীপুর বিএসএফ ক্যাম্পে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিএসএফ ওই ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলে বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা/সাজু/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চুয়াডাঙ্গায় বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক, ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
  • দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ 
  • নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
  • নওগাঁর সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে আরও ১৭ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
  • চোরাচালানে গিয়ে বিএসএফের হাতে আটক, ফিরিয়ে এনে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিজিবি
  • মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ