কুড়িগ্রামের রাজারহাটে বসতঘরে আগুন লেগে আইরিন (৫) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার সময় শিশুটি ঘরের ভেতরে তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের পশ্চিম সুখদেব গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আইরিন ওই গ্রামের আল-আমিনের মেয়ে।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, গত রাতে শিশুটিকে ঘরে রেখে পরিবারের সদস্যরা পার্শ্ববর্তী এলাকায় ওয়াজ শুনতে যান। রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন লেগে বাড়ির সবগুলো ঘর পুড়ে যায়। এ সময় ঘরের ভেতরে থাকা শিশুটি পুড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

আরো পড়ুন:

দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন, হেলপারের মৃত্যু

কাফির বাড়িতে আগুন দেওয়ার অভিযোগ

রাজারহাট ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই চার কক্ষের টিনের ঘর ও রান্নাঘর সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। এ সময় ঘরের ভেতর তালাবদ্ধ শিশু আইরিনও মারা যায়। তার মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।’’

ঢাকা/সৈকত/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ১০

বরিশালের হিজলায় লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের চাদর বিছানো নিয়ে বিরোধের জেরে সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শৌলা লঞ্চঘাটে এই ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম খালেক মাঝি। তিনি হরিণাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

যাত্রী ও লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, সোমবার সকাল ৮টায় মুলাদীর মৃধারহাট থেকে এমভি জানডা নামক একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চটি ৯টায় হিজলার শৌলা লঞ্চঘাটে ভেড়ে। এ স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে বসার চেষ্টা করেন। এ সময় ডেকে আগে বিছিয়ে রাখা চাদরে জায়গা পেতে যাত্রীপ্রতি এক হাজার টাকা দাবি করেন খালেক ও তাঁর সহযোগীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে যাত্রীদের ওপর হামলা করা হয়। এতে ১০ জন যাত্রী আহত হন। তখন যাত্রীরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালেক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর পাল্টা হামলা করেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মাঝি বলেন, লঞ্চের মধ্যে গোলযোগ দেখে তিনি তা থামাতে গিয়েছিলেন। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লঞ্চ কর্মচারী জানিয়েছেন, শৌলা লঞ্চঘাট খালেক মাঝিকে চাঁদা না দিলে সাধারণ যাত্রীরা ডেকে বসতে পারেন না। তারা খালেক মাঝির কাছে অনেকটা জিম্মি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ